Sawan First Somwar: শ্রাবণে ভুলেও খাবেন না 'এই' সবজি, খাবার! অবশ্যই খাবেন কী? সামান্য ভুলে তছনছ সংসার, রুষ্ঠ হবেন মহাদেব

*১১ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে শ্রাবণ মাস। আজ শ্রাবণের প্রথম সোমবার। হর-হর মহাদেবের প্রতিধ্বনি শোনা যাচ্ছে সর্বত্র। ভক্তরা শিবের মন্দিরে আসতে শুরু করেছেন। হিন্দু ধর্ম অনুসারে, শ্রাবণ মাসকে অত্যন্ত শুভ এবং পবিত্র বলে মনে করা হয় এবং এই মাস মহাদেবকে উৎসর্গ করা হয়। মাসজুড়ে ভক্তরা শিবের পূজায় মগ্ন থাকেন। শ্রাবণ মাসের সোমবারে ভক্তরা উপোস করে। এ বছর ১৪ জুলাই, ২১ জুলাই, ২৮ জুলাই ও ৪ অগাস্ট শ্রাবণের সোমবার।

*বিশ্বাস করা হয়, শ্রাবণে কিছু জিনিস এড়িয়ে চলা উচিত এবং কিছু জিনিস অবশ্যই খাওয়া উচিত। শ্রাবণে কী খাবেন, আর কী খাবেন না, জানুন...

*ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক দৃষ্টিকোণ থেকে শ্রাবণ মাসে অনেক কিছু খাওয়া নিষিদ্ধ বলে মনে করা হয়। বেগুন, দুধ, দই---এই দিনগুলিতে খাওয়া উচিত নয়। শাক সবজি খাওয়াও এড়ানো উচিত। বেগুন এবং শাক না খাওয়ার পিছনে কারণ হ'ল বর্ষাকালে আর্দ্রতা এবং আর্দ্রতা সংক্রমণের কারণ হতে পারে। ব্যাকটেরিয়া, জীবাণু আর্দ্রতায় দ্রুত বৃদ্ধি পায়, তাই এগুলো খাওয়া ক্ষতিকর হতে পারে।

*শাক সবজিতে পোকামাকড়ও থাকে, এটি স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। বেগুন তাড়াতাড়ি হজম হয় না, তাই বর্ষাকালে এটি কম খাওয়া উচিত।

*আপনি যদি সোমবার উপবাস করতে যাচ্ছেন তবে সাধারণ লবণ খাবেন না। পরিবর্তে, আপনার শিলা লবণ ব্যবহার করা উচিত, কারণ এটি পবিত্র বলে মনে করা হয় এবং উপবাসেও ব্যবহৃত হয়। উপোসের জন্য যে খাবার-পানীয়ই বানান না কেন, তা রক সল্টে তৈরি করুন।

*এই দিনগুলিতে আপনার রসুন এবং পেঁয়াজ খাওয়াও এড়ানো উচিত। এ সবই উপবাসের ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ বলে মনে করা হয়। এগুলো তামসিক খাবার। এছাড়াও, দই, বাটার মিল্ক, তরকারির মতো ঠান্ডা জিনিস খাওয়া এড়ানো উচিত।

*যে কোনও উপবাস-উৎসবে মাংস এবং মাছ খাওয়া এড়াতে পরামর্শ দেওয়া হয়। শ্রাবণে খাঁটি ও সাত্ত্বিক খাবার খান। আমিষ থেকে এক মাস দূরে থাকুন।

*কেউ কেউ এই মাসে  চাল, গমের আটার মতো শস্যও খান। আপনি শুধুমাত্র সাবুদানা, জল, চেস্টনাট এবং বেকউইট ময়দা খেতে পারেন। এই শস্যগুলি কেবল উপবাসের জন্য পারফেক্ট। এটি আর্দ্র বৃষ্টির দিনে আপনাকে শারীরিকভাবে হালকা বোধ করবে। এগুলো তাড়াতাড়ি হজমও হয়।

*বাইরের কোনও খাবার খাবেন না, শ্রাবণ মাসে রোজার সময় এগুলি খাওয়া অশুভ। প্যাকেটজাত খাবার, ভাজাপোড়া জিনিস, জাঙ্ক ফুড ইত্যাদি এক মাস এড়িয়ে চলুন। উপোস আপনার শরীরকে বিশুদ্ধ করে, শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ অপসারণেও সহায়তা করে। যে কোনও প্যাকেটজাত স্ন্যাকস, বিস্কুট, ভাজা জিনিসে অনেক ধরনের প্রিজারভেটিভ, সাধারণ লবণ ইত্যাদি থাকে, যা আপনার উপোস ভাঙতে পারে।

*শ্রাবণ মাসে শুধু হালকা ও হজমযোগ্য জিনিস খাওয়া উচিত। ঘরে তৈরি টাটকা খাবার খান। রোজার সময় শরীর সুস্থ থাকলে, ক্লান্তি, দুর্বল বোধ না করলে পুষ্টিকর ও সাত্ত্বিক খাবার খান। এগুলো ক্ষুধা যেমন কমাবে, তেমনই শরীরে শক্তি জোগাবে।

*সাবুদানা খিচুড়ি, কুট্টু আটা হালুয়া, সিংহরা ময়দার পুডিং খান, কারণ এগুলি দ্রুত হজম হয়। এগুলো পুষ্টিগুণে ভরপুর। রাজগিরা পুরি খান, কারণ এটিকে সুপারফুড বলা হয়। এছাড়া ফল থেকে তৈরি রায়তা, কাঁচা কলার টিক্কি খেতে পারেন।