Mauni Amavasya 2025: বিবিধ পবিত্র যোগের সমাহার, ২৯ জানুয়ারি বছরের প্রথম অমাবস্যায় মৌন থাকুন, সঙ্গে এই কাজ করলেই গ্রহ দোষ থেকে মুক্তি লাভ

Last Updated:
Mauni Amavasya 2025: সনাতন ধর্মের আচার-অনুষ্ঠান পালিত হয়ে থাকে পঞ্জিকা মতে। তবে সুবিধার জন্য ইংরেজি বা গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারে সেই পুণ্য তিথি দাগিয়ে রাখা হয়। এই ভাবে দেখলে নতুন বছরের প্রথম অমাবস্যা পড়তে চলেছে ২৯ জানুয়ারি, ২০২৫ তারিখে।
1/9
Story- Dr. Gaurav Kumar Dixit: সনাতন ধর্মের আচার-অনুষ্ঠান পালিত হয়ে থাকে পঞ্জিকা মতে। তবে সুবিধার জন্য ইংরেজি বা গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারে সেই পুণ্য তিথি দাগিয়ে রাখা হয়। এই ভাবে দেখলে নতুন বছরের প্রথম অমাবস্যা পড়তে চলেছে ২৯ জানুয়ারি, ২০২৫ তারিখে। Representative Image
Story- Dr. Gaurav Kumar Dixit: সনাতন ধর্মের আচার-অনুষ্ঠান পালিত হয়ে থাকে পঞ্জিকা মতে। তবে সুবিধার জন্য ইংরেজি বা গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারে সেই পুণ্য তিথি দাগিয়ে রাখা হয়। এই ভাবে দেখলে নতুন বছরের প্রথম অমাবস্যা পড়তে চলেছে ২৯ জানুয়ারি, ২০২৫ তারিখে। Representative Image
advertisement
2/9
বলতেই হয়, হাতে বেশি সময় নেই। এই অমাবস্যা পালনের জন্য তাই প্রস্তুত থাকা দরকার। হিন্দু ধর্মে প্রতিটি তিথিরই নিজস্ব মাহাত্ম্য আছে, এর মধ্যে অমাবস্যা অন্যতম। এই বছর ২৯ জানুয়ারি তারিখে যে অমাবস্যা পড়েছে, তা মৌনী অমাবস্যা নামে সমধিক প্রসিদ্ধ। Representative Image
বলতেই হয়, হাতে বেশি সময় নেই। এই অমাবস্যা পালনের জন্য তাই প্রস্তুত থাকা দরকার। হিন্দু ধর্মে প্রতিটি তিথিরই নিজস্ব মাহাত্ম্য আছে, এর মধ্যে অমাবস্যা অন্যতম। এই বছর ২৯ জানুয়ারি তারিখে যে অমাবস্যা পড়েছে, তা মৌনী অমাবস্যা নামে সমধিক প্রসিদ্ধ। Representative Image
advertisement
3/9
আসলে, মাঘ মাসের অমাবস্যাকে বলা হয়ে থাকে মৌনী অমাবস্যা। মৌনী কথাটা এসেছে মৌন বা নীরবতা থেকে। মানে, এই দিন অমাবস্যার রীতি পালন করতে হবে কথা না বলে। এই দিনে নীরবে স্নান ও দান করার অনেক গুরুত্ব রয়েছে। এটা বিশ্বাস করা হয় যে কেউ যদি এই দিনে সম্পূর্ণ নীরবতা পালন করে স্নান করেন এবং অর্থ দান করেন তবে তিনি অতুলনীয় স্বাস্থ্য, মানসিক শান্তি এবং জ্ঞান লাভ করে থাকেন। সুষ্ঠু, সমৃদ্ধ এক জীবন যাপন করতে হলে যার প্রয়োজন রয়েছে বইকি! Representative Image
আসলে, মাঘ মাসের অমাবস্যাকে বলা হয়ে থাকে মৌনী অমাবস্যা। মৌনী কথাটা এসেছে মৌন বা নীরবতা থেকে। মানে, এই দিন অমাবস্যার রীতি পালন করতে হবে কথা না বলে। এই দিনে নীরবে স্নান ও দান করার অনেক গুরুত্ব রয়েছে। এটা বিশ্বাস করা হয় যে কেউ যদি এই দিনে সম্পূর্ণ নীরবতা পালন করে স্নান করেন এবং অর্থ দান করেন তবে তিনি অতুলনীয় স্বাস্থ্য, মানসিক শান্তি এবং জ্ঞান লাভ করে থাকেন। সুষ্ঠু, সমৃদ্ধ এক জীবন যাপন করতে হলে যার প্রয়োজন রয়েছে বইকি! Representative Image
advertisement
4/9
ফলে, যাঁরা কোনও রকম ভয় থেকে কষ্ট পাচ্ছেন বা কোনও প্রকার বিভ্রান্তিতে রয়েছেন, তাঁদের পক্ষে এই মৌনী অমাবস্যা পালন করা মঙ্গলদায়ক হবে। ২৯ জানুয়ারি কোন সময়ে এই অমাবস্যার শুভ যোগ রয়েছে, তা এবার জেনে নেওয়া যাক। একই সঙ্গে জেনে নেওয়া যাক শনি, রাহু, কেতু দোষ থেকে মুক্তি পেতে হলে এই মৌনী অমাবস্যায় কী করতে হবে। Representative Image
ফলে, যাঁরা কোনও রকম ভয় থেকে কষ্ট পাচ্ছেন বা কোনও প্রকার বিভ্রান্তিতে রয়েছেন, তাঁদের পক্ষে এই মৌনী অমাবস্যা পালন করা মঙ্গলদায়ক হবে। ২৯ জানুয়ারি কোন সময়ে এই অমাবস্যার শুভ যোগ রয়েছে, তা এবার জেনে নেওয়া যাক। একই সঙ্গে জেনে নেওয়া যাক শনি, রাহু, কেতু দোষ থেকে মুক্তি পেতে হলে এই মৌনী অমাবস্যায় কী করতে হবে। Representative Image
advertisement
5/9
এই প্রসঙ্গে বলে রাখা উচিত হবে যে মৌনী অমাবস্যায় ব্রাহ্ম মুহূর্তে স্নান এবং দানের গুরুত্বই সর্বাধিক। ২৯ জানুয়ারি, ২০২৫ তারিখে দিন ব্রাহ্ম মুহূর্ত পড়েছে ভোর ৫টা ২৫ মিনিট থেকে সকাল ৬টা ১৯ মিনিট পর্যন্ত। রয়েছে আরও শুভ যোগ। যেমন, বিজয় মুহূর্ত পড়েছে দুপুর ২টো ২২ মিনিট থেকে দুপুর ৩টে ০৫ মিনিট পর্যন্ত। আবার, অমৃত কাল রাত ৯টা ১৯ মিনিট থেকে রাত ১০টা ৫১ মিনিট পর্যন্ত চলবে। এই সব সময়েই স্নান করা এবং দান করা শুভ গণ্য হবে। অবশ্য রাতে স্নানের বিধান নেই। যদি কেউ ব্রাহ্ম মুহুর্তে স্নান বা দান করতে না পারেন, তবে তিনি সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত যে কোনও সময় স্নান করে দান করতে পারেন। Representative Image
এই প্রসঙ্গে বলে রাখা উচিত হবে যে মৌনী অমাবস্যায় ব্রাহ্ম মুহূর্তে স্নান এবং দানের গুরুত্বই সর্বাধিক। ২৯ জানুয়ারি, ২০২৫ তারিখে দিন ব্রাহ্ম মুহূর্ত পড়েছে ভোর ৫টা ২৫ মিনিট থেকে সকাল ৬টা ১৯ মিনিট পর্যন্ত। রয়েছে আরও শুভ যোগ। যেমন, বিজয় মুহূর্ত পড়েছে দুপুর ২টো ২২ মিনিট থেকে দুপুর ৩টে ০৫ মিনিট পর্যন্ত। আবার, অমৃত কাল রাত ৯টা ১৯ মিনিট থেকে রাত ১০টা ৫১ মিনিট পর্যন্ত চলবে। এই সব সময়েই স্নান করা এবং দান করা শুভ গণ্য হবে। অবশ্য রাতে স্নানের বিধান নেই। যদি কেউ ব্রাহ্ম মুহুর্তে স্নান বা দান করতে না পারেন, তবে তিনি সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত যে কোনও সময় স্নান করে দান করতে পারেন। Representative Image
advertisement
6/9
শুধু তাই নয়, কুম্ভ স্নানের সঙ্গেও এই মৌনী অমাবস্যার স্নানের এক বিশেষ যোগ এই বছর সংগঠিত হয়েছে, যা তিথিকে আরও গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে। এর ফলে এই বছর বিশেষ করে মৌনী অমাবস্যায় স্নান ও দান করার গুরুত্ব বহুগুণ বেড়ে গিয়েছে। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, এই বছর মৌনী অমাবস্যা অর্থাৎ ২৯ জানুয়ারি, ২০২৫ তারিখে সূর্য ও চন্দ্র উভয়েই মকর রাশিতে অধিষ্ঠান করবেন। একই সময়ে, বৃহস্পতি পঞ্চম ঘরে অবস্থিত হওয়ায় একটি অতীব শুভ এবং মঙ্গল ফলদায়ক পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে মৌনী অমাবস্যায় স্নান ও দান বিশেষ ফলদায়ক হবে। এছাড়াও এই দিনে সিদ্ধি যোগও তৈরি হচ্ছে, যা এই দিনের পবিত্রতা ও গুরুত্বকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। মহাকুম্ভের কারণে মৌনী অমাবস্যায় রাজকীয় স্নানেরও আয়োজন করা হবে। এই কাকতালীয় যোগগুলি বছরের প্রথম অমাবস্যাকে আরও বিশেষ ও শুভ করে তুলেছে। Representative Image
শুধু তাই নয়, কুম্ভ স্নানের সঙ্গেও এই মৌনী অমাবস্যার স্নানের এক বিশেষ যোগ এই বছর সংগঠিত হয়েছে, যা তিথিকে আরও গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে। এর ফলে এই বছর বিশেষ করে মৌনী অমাবস্যায় স্নান ও দান করার গুরুত্ব বহুগুণ বেড়ে গিয়েছে। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, এই বছর মৌনী অমাবস্যা অর্থাৎ ২৯ জানুয়ারি, ২০২৫ তারিখে সূর্য ও চন্দ্র উভয়েই মকর রাশিতে অধিষ্ঠান করবেন। একই সময়ে, বৃহস্পতি পঞ্চম ঘরে অবস্থিত হওয়ায় একটি অতীব শুভ এবং মঙ্গল ফলদায়ক পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে মৌনী অমাবস্যায় স্নান ও দান বিশেষ ফলদায়ক হবে। এছাড়াও এই দিনে সিদ্ধি যোগও তৈরি হচ্ছে, যা এই দিনের পবিত্রতা ও গুরুত্বকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। মহাকুম্ভের কারণে মৌনী অমাবস্যায় রাজকীয় স্নানেরও আয়োজন করা হবে। এই কাকতালীয় যোগগুলি বছরের প্রথম অমাবস্যাকে আরও বিশেষ ও শুভ করে তুলেছে। Representative Image
advertisement
7/9
বলা হয়ে থাকে যে নীরবতা পালন করে মৌনী অমাবস্যায় স্নান এবং দান করলে জীবন যেমন সমৃদ্ধ হয়ে থাকে, তেমনই এই তিথিতে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম পালন করতে পারলে শনির সঙ্গে সম্পর্কিত জীবন পথের বাধা, যেমন ঢাইয়া, সাড়ে সাতি ইত্যাদি দোষ দূর হয়। একই সঙ্গে মুক্তি পাওয়া যায় রাহু এবং কেতু দোষ থেকেও। তার জন্য কী করতে হবে সেটা এবার জেনে নেওয়া যাক। Representative Image
বলা হয়ে থাকে যে নীরবতা পালন করে মৌনী অমাবস্যায় স্নান এবং দান করলে জীবন যেমন সমৃদ্ধ হয়ে থাকে, তেমনই এই তিথিতে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম পালন করতে পারলে শনির সঙ্গে সম্পর্কিত জীবন পথের বাধা, যেমন ঢাইয়া, সাড়ে সাতি ইত্যাদি দোষ দূর হয়। একই সঙ্গে মুক্তি পাওয়া যায় রাহু এবং কেতু দোষ থেকেও। তার জন্য কী করতে হবে সেটা এবার জেনে নেওয়া যাক। Representative Image
advertisement
8/9
মৌনী অমাবস্যার দিনে যে কোনও শিব মন্দিরে যেতে হবে গ্রহ দোষ থেকে মুক্তি লাভের জন্য। সেখানে শিবকে রুদ্রাক্ষের মালা অর্পণ করতে হবে। এর পরে, ধূপ নিবেদন করে ভগবান শিবের আরতি করতে হবে এবং ওই নিবেদিত রুদ্রাক্ষের জপমালাতে ভগবান শিবের এই মন্ত্র জপ করতে হবে- রূপম দেহি, যশো দেহি, ভোগম দেহি চ শঙ্কর। ভুক্তি মুক্তি ফলম্ দেহি, গৃহিতবর্ঘ্য নমোস্তুতে। বিধিমতে ভগবান শঙ্করের পূজা এবং মন্ত্র জপ করার পরে হয় এই রুদ্রাক্ষের মালা নিজের পার্সে রাখতে হবে বা তা কণ্ঠে ধারণ করতে হবে। এছাড়া কুষ্ঠ রোগীদের খাদ্য দান করা অবশ্য কর্তব্য। পাশাপাশি, তিল থেকে তৈরি মিষ্টি, কালো বা নীল রঙের কম্বল, উলের কাপড় ইত্যাদি দরিদ্রদের বিতরণ করতে হবে। Representative Image
মৌনী অমাবস্যার দিনে যে কোনও শিব মন্দিরে যেতে হবে গ্রহ দোষ থেকে মুক্তি লাভের জন্য। সেখানে শিবকে রুদ্রাক্ষের মালা অর্পণ করতে হবে। এর পরে, ধূপ নিবেদন করে ভগবান শিবের আরতি করতে হবে এবং ওই নিবেদিত রুদ্রাক্ষের জপমালাতে ভগবান শিবের এই মন্ত্র জপ করতে হবে- রূপম দেহি, যশো দেহি, ভোগম দেহি চ শঙ্কর। ভুক্তি মুক্তি ফলম্ দেহি, গৃহিতবর্ঘ্য নমোস্তুতে। বিধিমতে ভগবান শঙ্করের পূজা এবং মন্ত্র জপ করার পরে হয় এই রুদ্রাক্ষের মালা নিজের পার্সে রাখতে হবে বা তা কণ্ঠে ধারণ করতে হবে। এছাড়া কুষ্ঠ রোগীদের খাদ্য দান করা অবশ্য কর্তব্য। পাশাপাশি, তিল থেকে তৈরি মিষ্টি, কালো বা নীল রঙের কম্বল, উলের কাপড় ইত্যাদি দরিদ্রদের বিতরণ করতে হবে। Representative Image
advertisement
9/9
(Disclaimer: প্রতিবেদনের লেখা তথ্য News18 বাংলার নিজস্ব মত নয় ৷ সঠিক ফল পাওয়ার জন্য বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ )
(Disclaimer: প্রতিবেদনের লেখা তথ্য News18 বাংলার নিজস্ব মত নয় ৷ সঠিক ফল পাওয়ার জন্য বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ )
advertisement
advertisement
advertisement