গোটা দেশের ভক্তরা মা আদি শক্তিকে তুষ্ট করার জন্য নবরাত্রিতে মা জগদম্বার ৯টি রূপের পূজা করছেন। কথিত রয়েছে যে, নবরাত্রির সময় মা তাঁর ভক্তদের মধ্যেই বিরাজ করেন এবং তাঁদের সমস্ত ইচ্ছা পূরণ করেন। নবরাত্রির সময়ে ভক্তরা সিদ্ধিলাভ করার জন্য মায়ের মন্ত্র জপ করে থাকেন। অন্য দিকে আবার গ্রহ-নক্ষত্রের কারণে তাঁদের অসুবিধারও সম্মুখীন হতে হয়। মাঝে মাঝে বিয়েতে বাধা আসে। এমনকী, সঠিক জীবনসঙ্গী পাওয়ার ক্ষেত্রেও অনেকেই সমস্যার মুখোমুখি হয়ে থাকেন। কিন্তু এমন সমস্যা থেকে মুক্তির উপায় কী?
পৌরাণিক কাহিনি থেকে জানা যায় যে, ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে পাওয়ার জন্য গোপীরা নবরাত্রির সময় যমুনার তীরে মা কাত্যায়ণীর পূজা করেছিলেন। আর তাঁদের ইচ্ছায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ একটি রাস রচনা করেছিলেন। তাই বলা হয় যে, যদি কারও বিবাহে বিলম্ব হয়, তাহলে নবরাত্রির সময়ে বিধি-আচার মেনে মা কাত্যায়ণীর পূজা করতে হবে। যার ফলে সমস্ত বাধা-বিপত্তির অবসান ঘটবে।
পূজা পদ্ধতি কী?- জ্যোতিষাচার্য কল্কি রাম পরামর্শ দিয়েছেন যে, সকালে ব্রাহ্মমুহুর্তে স্নান এবং ধ্যান করতে হবে। এর পর বিধি-নিয়ম মেনে মা কাত্যায়ণীর পূজা করার জন্য প্রদীপ জ্বালাতে হবে। দেবীর উদ্দেশ্যে হলুদ নিবেদন করতে হবে। নিজের মনের বাসনা পূরণ করার জন্য মন্ত্র পাঠ করতে হবে এবং মাতা কাত্যায়ণীর কাছে প্রার্থনা করতে হবে।