ব্রত-উপবাস-পুজোর ভোগে পেঁয়াজ-রসুন কেন চলে না? আসল কারণ জানলে চমকে যাবেন!

Last Updated:
Knowledge: কেন পূজা এবং উপবাসের সময় বা নিরামিষে রসুন এবং পেঁয়াজকে বর্জন করা হয়েছে?
1/6
আমাদের সনাতন ধর্মে নানা বিশ্বাস প্রচলিত আছে, আর যাঁরা এই নিয়ম-নীতি বা আচার মেনে চলেন তাদের সনাতনী বলা হয়। সনাতন ধর্ম অনুযায়ী নিরামিষে, বিশেষ করে উৎসব ও উপবাসের সময় রসুন ও পেঁয়াজ খাওয়া নিষিদ্ধ। এখন প্রশ্ন হল যে কেন পূজা এবং উপবাসের সময় বা নিরামিষে রসুন এবং পেঁয়াজকে বর্জন করা হয়েছে?
আমাদের সনাতন ধর্মে নানা বিশ্বাস প্রচলিত আছে, আর যাঁরা এই নিয়ম-নীতি বা আচার মেনে চলেন তাদের সনাতনী বলা হয়। সনাতন ধর্ম অনুযায়ী নিরামিষে, বিশেষ করে উৎসব ও উপবাসের সময় রসুন ও পেঁয়াজ খাওয়া নিষিদ্ধ। এখন প্রশ্ন হল যে কেন পূজা এবং উপবাসের সময় বা নিরামিষে রসুন এবং পেঁয়াজকে বর্জন করা হয়েছে?
advertisement
2/6
অযোধ্যার বিখ্যাত পণ্ডিত পবন দাস শাস্ত্রী জানিয়েছেন যে, শাস্ত্র অনুযায়ী যখন দেবতা এবং অসুররা তাঁদের গৌরব এবং সম্পদের জন্য হারিয়ে যাওয়া স্বর্গ ফেরত পেতে সমুদ্র মন্থন করেছিলেন, সেই সময় সমুদ্র থেকে অমৃতের কলস বেরিয়ে আসে।
অযোধ্যার বিখ্যাত পণ্ডিত পবন দাস শাস্ত্রী জানিয়েছেন যে, শাস্ত্র অনুযায়ী যখন দেবতা এবং অসুররা তাঁদের গৌরব এবং সম্পদের জন্য হারিয়ে যাওয়া স্বর্গ ফেরত পেতে সমুদ্র মন্থন করেছিলেন, সেই সময় সমুদ্র থেকে অমৃতের কলস বেরিয়ে আসে।
advertisement
3/6
এরপর দেবতা ও অসুরদের মধ্যে অমৃত আহরণ নিয়ে প্রচণ্ড যুদ্ধ শুরু হয়। পরে ভগবান বিষ্ণু মোহিনী রূপ ধারণ করে দেবতা ও অসুরদের অমৃত বিতরণ করতে শুরু করেন। প্রথমে ছিল দেবতাদের অমৃত পান করার পালা।
এরপর দেবতা ও অসুরদের মধ্যে অমৃত আহরণ নিয়ে প্রচণ্ড যুদ্ধ শুরু হয়। পরে ভগবান বিষ্ণু মোহিনী রূপ ধারণ করে দেবতা ও অসুরদের অমৃত বিতরণ করতে শুরু করেন। প্রথমে ছিল দেবতাদের অমৃত পান করার পালা।
advertisement
4/6
ভগবান বিষ্ণু মোহিনীর রূপ ধারণ করে দেবতাদের অমৃত দিতে লাগলেন, কিন্তু ঠিক সেই সময়ে এক অসুর এসে দেবতা রূপে দেবতাদের মাঝে প্রবেশ করেন এবং অমৃত গ্রহণ করেন।
ভগবান বিষ্ণু মোহিনীর রূপ ধারণ করে দেবতাদের অমৃত দিতে লাগলেন, কিন্তু ঠিক সেই সময়ে এক অসুর এসে দেবতা রূপে দেবতাদের মাঝে প্রবেশ করেন এবং অমৃত গ্রহণ করেন।
advertisement
5/6
রসুন ও পেঁয়াজ খাওয়া নিষেধ কেন?  কথিত আছে যে এরপর ভগবান সূর্য ও চন্দ্রদেব সেই অসুরকে চিনতে পেরেছিলেন। তারপর ভগবান বিষ্ণু তাঁর চক্র দিয়ে সেই অসুরের মাথা ধড় থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেন, কিন্তু সেই অসুর তাঁর মুখে থাকা অবশিষ্ট অমৃত পান করে। মস্তক ছিন্ন করার পরে অমৃতের যে কটি ফোঁটা মাটিতে পড়েছিল তা থেকেই রসুন এবং পেঁয়াজের উৎপত্তি হয়।
রসুন ও পেঁয়াজ খাওয়া নিষেধ কেন? কথিত আছে যে এরপর ভগবান সূর্য ও চন্দ্রদেব সেই অসুরকে চিনতে পেরেছিলেন। তারপর ভগবান বিষ্ণু তাঁর চক্র দিয়ে সেই অসুরের মাথা ধড় থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেন, কিন্তু সেই অসুর তাঁর মুখে থাকা অবশিষ্ট অমৃত পান করে। মস্তক ছিন্ন করার পরে অমৃতের যে কটি ফোঁটা মাটিতে পড়েছিল তা থেকেই রসুন এবং পেঁয়াজের উৎপত্তি হয়।
advertisement
6/6
শুধু তাই নয়, ধর্মীয় শাস্ত্র অনুসারে ভগবান বিষ্ণু যে অসুরের শিরশ্ছেদ করেছিলেন তা রাহু এবং ধড় কেতু নামে পরিচিত। রসুন এবং পেঁয়াজের উৎপত্তি অসুরের অংশ থেকে। রাশিচক্রে যেমন রাহু বা কেতুর অবস্থান আশঙ্কাজনক তেমনই পূজায় ও উপবাসে পেঁয়াজ- রসুন বর্জনীয়।
শুধু তাই নয়, ধর্মীয় শাস্ত্র অনুসারে ভগবান বিষ্ণু যে অসুরের শিরশ্ছেদ করেছিলেন তা রাহু এবং ধড় কেতু নামে পরিচিত। রসুন এবং পেঁয়াজের উৎপত্তি অসুরের অংশ থেকে। রাশিচক্রে যেমন রাহু বা কেতুর অবস্থান আশঙ্কাজনক তেমনই পূজায় ও উপবাসে পেঁয়াজ- রসুন বর্জনীয়।
advertisement
advertisement
advertisement