জ্যোতিষ আর জ্যোতির্বিজ্ঞানের মধ্যে পার্থক্য সহজেই করা যায়। জ্যোতির্বিজ্ঞানের মতো শুধু গণনা নয়, পাশাপাশি আধ্যাত্মিকতাতেও ভর করে থাকে জ্যোতিষ। তবে দুইয়েরই কাজ গ্রহ-নক্ষত্র নিয়ে, তারা যে সচল এই নিয়ে জ্যোতিষ এবং জ্যোতির্বিজ্ঞানের মধ্যে কোনও মতভেদ নেই। সব সময়েই এই গ্রহ-নক্ষত্রেরা ভ্রাম্যমাণ, জ্যোতিষ মতে এক রাশি থেকে অন্য রাশিতে তাদের নিত্য গতায়াত, যা গোচর নামে সুপ্রসিদ্ধ। এই গোচর কালে মাঝে মাঝে একই রাশিতে যখন মিলিত হয় গ্রহেরা, তখন তৈরি হয় বিশেষ কোনও যোগ।
ভোপালের জ্যোতিষাচার্য বিনোদ সোনি পোদ্দার এই প্রসঙ্গে আমাদের অবগত করেছেন কেদারযোগের বিষয়ে। বৃহস্পতি এবং চন্দ্রের গোচরে তৈরি হয় এই যোগ। জ্যোতিষাচার্য উল্লেখ করতে ভোলেননি যে এই কেদারযোগ অতিদুর্লভ, প্রায় ৫০০ বছরের ব্যবধানে তা আবার সংঘটিত হতে চলেছে ১২টি রাশি ভাগ্যাকাশে। সব যোগই যে শুভকর হবে, তার কোনও মানে নেই। এমনও হয়ে থাকে যে কোনও যোগ কারও পক্ষে শুভ হলেও অন্যের পক্ষে তা সাব্যস্ত হল অশুভ রূপে। কিন্তু এই কেদারযোগ সব রাশির পক্ষেই মঙ্গলদায়ক বলে সিদ্ধ হতে চলেছে।