Kaushiki Amavasya: আজ কৌশিকী অমাবস্যা তিথি শুরু কখন? বাড়িতে ঠিক 'এই' সময় নিষ্ঠাভরে পুজো করুন 'এভাবে', সব বাধা কাটবে, অর্থাভাব ছুঁতে পারবে না
- Published by:Shubhagata Dey
- news18 bangla
Last Updated:
Kaushiki Amavasya: শুধুই মন্দিরে নয়, এদিন ঘরে ঘরে মা কালীর পুজো করা হয় ৷ শোনা যায়, এই পুজোর নিয়ম নিষ্ঠা অনেক। আর তা করলে ভক্তের মঙ্গল সুনিশ্চিত। এই পুজোর মাহাত্ম্য এবং সঠিক নিয়মকানুন জানতে হবে।
*আজ ২২ অগাস্ট, শুক্রবার কৌশিকী অমাবস্যা। কৌশিকী অমাবস্যার পবিত্র তিথিতে অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটে বলে বিশ্বাস ভক্তদের। তন্ত্রসাধনার সঙ্গে যুক্তদের কাছে এই দিনটির বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। দেবী পার্বতী অশুভ শক্তি বিনাশের উদ্দেশ্যে নিজের দেহকোষ থেকে ভয়ঙ্কর এক দেবীর সৃষ্টি করেন। তিনিই দেবী কৌশিকী নামে পরিচিত। ভাদ্র মাসের অমাবস্যা তিথি কৌশিকী অমাবস্যা নামে খ্যাত।
advertisement
*সনাতন ধর্মে কৌশিকী অমাবস্যার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। কথিত আছে, পুরাযুগে শুম্ভ-নিশুম্ভ নামে দুই অসুরের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল দেবকূল। সেই সময় তাঁরা মহাদেবের শরণাপন্ন হন৷ মহাদেব দেবীদুর্গাকে শুম্ভ ও নিশুম্ভকে বধ করার অনুরোধ করেন। সেই মতো দেবীদুর্গার কোষ থেকে দেবী কৌশিকীর উৎপত্তি হয়। দেবী কৌশিকী এরপর শুম্ভ ও নিশুম্ভকে বধ করেন, সেই দিনটি ছিল অমাবস্যা তিথি। দেবী কৌশিকী শুম্ভ ও নিশুম্ভকে বধ করে দেবতাকূলকে রক্ষা করেছিলেন৷ তাই এই অমাবস্যা 'কৌশিকী অমাবস্যা'।
advertisement
*বীরভূমে মোট পাঁচটি সতীপীঠ রয়েছে, পাশাপাশি সিদ্ধপীঠ তারাপীঠেরও অবস্থান। মা তারার দর্শনে প্রতিদিন তারাপীঠ মন্দিরে হাজার হাজার পর্যটক সমাগম হয়। তবে তারাপীঠের সবচেয়ে বড় উৎসব এই ভাদ্র মাসের কৌশিকী আমাবস্যা। তারাপীঠে কৌশিকী অমাবস্যা তিথিতে আড়ম্বরের সঙ্গে মা তারার পুজো হয়। ভক্ত সমাগমে এ দিন তিন ধারণের জায়গা থাকে না।
advertisement
*তবে শুধুই মন্দিরে নয়, এদিন ঘরে ঘরে মা কালীর পুজো করা হয় ৷ শোনা যায়, এই পুজোর নিয়ম নিষ্ঠা অনেক। আর তা করলে ভক্তের মঙ্গল সুনিশ্চিত। এই পুজোর মাহাত্ম্য এবং সঠিক নিয়মকানুন জানতে হবে। এক বিশিষ্ট পুরোহিত জানিয়েছেন, অমাবস্যার পুজো বিশেষত রাতেই হওয়া উচিত। কেউ রাতে করতে না পারলে সূর্যাস্তের পরও পুজো করতে পারেন।
advertisement
advertisement
advertisement
*জবার মালা, বেল পাতার মালা, অপরাজিতার মালা এই তিন রকমের মালা লাগবে। ১০৮ বেলপাতা দিয়ে হোম করা ভাল। শাস্ত্র মেনে প্রতিমা নিয়ে আসা থেকে প্রাণ প্রতিষ্ঠা, পুজো, হোম যজ্ঞ, ভোগ নিবেদন সবই করতে হবে। পুজো সমাপ্ত হলে আসবে বিসর্জনের পালা। বিধান অনুযায়ী বিসর্জন দেওয়া হয়। বিসর্জনের জন্য যোনি মুদ্রা মাকে প্রদর্শন করে মাকে বলা হয়, মা তুমি যেখান থেকে এসেছো সেখানেই ফিরে যাও। আমি আবার পুনরায় তোমাকে আহ্বান করে নিয়ে আসব।
advertisement
advertisement
*জ্যোতিষ মতেও এইদিন কিছু নিয়ম পালন করলে জীবনের সুখ শান্তি বজায় থাকে ৷ এদিন গঙ্গাস্নান করুন৷ স্নান করে সূর্য দেবতাকে প্রণাম করুন৷ দু’দিন উপোস রাখতে পারলে খুবই ভাল ৷ সেটা না-পারলে এই দু’দিন আমিষ খাবেন না৷ তারা মায়ের পায়ে সিঁদুর ও লাল রক্তজবা নিবেদন করুন৷ অমাবস্যা তিথিতে সন্ধের পর বাড়ির সদর দরজার সামনে দু'টি তিলের তেলের প্রদীপ জ্বালান৷ তিথি চলাকালীন ঘরে এঁটো বাসন রেখে দেবেন না। ঘর পরিষ্কার রাখুন৷ দরিদ্রকে সামর্থ্য মতো কিছু দান করুন ৷