Chhath Puja Uposh: ছট পুজোর মাহাত্ম্য অনেক, সূর্যদেবতার পুজোয় ৩৬ ঘণ্টা উপবাস থাকতে হয় মহিলাদের, তবেই সংসারে বয় মঙ্গলের ধারা

Last Updated:
Chhat Puja Rituals: ছট পুজোয় সুর্য দেবের পুজো করা হয়! কেন জানেন?
1/8
প্রতিবছর কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থী তিথিতে শুরু হয় ছট পুজো। এই পুজোয় সকল মহিলা ৩৬ ঘন্টা উপোস করেন। এই পুজো মহিলারা করেন তাঁদের সন্তানের সুখ, সমৃদ্ধি, পরিবারের সুখ সমৃদ্ধি মঙ্গল কামনার জন্য।
প্রতিবছর কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থী তিথিতে শুরু হয় ছট পুজো। এই পুজোয় সকল মহিলা ৩৬ ঘন্টা উপোস করেন। এই পুজো মহিলারা করেন তাঁদের সন্তানের সুখ, সমৃদ্ধি, পরিবারের সুখ সমৃদ্ধি মঙ্গল কামনার জন্য।
advertisement
2/8
বঙ্গীয় পুরোহিত সভার সভাপতি চন্ডী চরণ হালদার জানিয়েছেন, পঞ্জিকা মতে ষষ্ঠী তিথিতে ৭ নভেম্বর সকাল ১২ টা ৪১ মিনিট থেকে ছট পুজো শুরু হবে, ৮ নভেম্বর ১২ টা ৩৫ মিনিটে শেষ হবে পুজো। উদয় তিথি অনুসারে ৭ নভেম্বর পালিত হবে ছট।
বঙ্গীয় পুরোহিত সভার সভাপতি চন্ডী চরণ হালদার জানিয়েছেন, পঞ্জিকা মতে ষষ্ঠী তিথিতে ৭ নভেম্বর সকাল ১২ টা ৪১ মিনিট থেকে ছট পুজো শুরু হবে, ৮ নভেম্বর ১২ টা ৩৫ মিনিটে শেষ হবে পুজো। উদয় তিথি অনুসারে ৭ নভেম্বর পালিত হবে ছট।
advertisement
3/8
ছট পুজোর ইতিহাস বেশ পুরনো এবং এই পুজোর উৎপত্তি প্রায় হাজার বছরের বেশি পুরনো বলে ধরা হয়। প্রাচীন কালে আর্যরা সূর্যকে শক্তির উৎস মনে করে পুজও করত।
ছট পুজোর ইতিহাস বেশ পুরনো এবং এই পুজোর উৎপত্তি প্রায় হাজার বছরের বেশি পুরনো বলে ধরা হয়। প্রাচীন কালে আর্যরা সূর্যকে শক্তির উৎস মনে করে পুজও করত।
advertisement
4/8
মণিকর্ণিকা ও কাশীর মতো তীর্থস্থানে এই পুজোর প্রচলন থাকলেও, বিহার এবং ঝাড়খণ্ডের অঞ্চলে ছট পুজো বিশেষ মর্যাদায় পালন করা হয়। এটি মূলত একটি পরিবেশকেন্দ্রিক উৎসব, যেখানে প্রাকৃতিক উপাদানের মাধ্যমে সূর্যকে সন্তুষ্ট করার প্রথা প্রচলিত।
মণিকর্ণিকা ও কাশীর মতো তীর্থস্থানে এই পুজোর প্রচলন থাকলেও, বিহার এবং ঝাড়খণ্ডের অঞ্চলে ছট পুজো বিশেষ মর্যাদায় পালন করা হয়। এটি মূলত একটি পরিবেশকেন্দ্রিক উৎসব, যেখানে প্রাকৃতিক উপাদানের মাধ্যমে সূর্যকে সন্তুষ্ট করার প্রথা প্রচলিত।
advertisement
5/8
ছট পুজোর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল পরিবারের স্বাস্থ্য এবং সমৃদ্ধির জন্য প্রার্থনা করা। এতে মা ও সন্তানের কল্যাণ কামনা করা হয়। এই পুজোতে সূর্যের পাশাপাশি ছটী মাইয়া বা গঙ্গা ও যমুনা দেবীকে পুজো করা হয়। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে এই পুজোতে অংশ নেয় এবং বিশেষভাবে মহিলারা উপবাস করেন সন্তান ও পরিবারের মঙ্গলার্থে।
ছট পুজোর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল পরিবারের স্বাস্থ্য এবং সমৃদ্ধির জন্য প্রার্থনা করা। এতে মা ও সন্তানের কল্যাণ কামনা করা হয়। এই পুজোতে সূর্যের পাশাপাশি ছটী মাইয়া বা গঙ্গা ও যমুনা দেবীকে পুজো করা হয়। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে এই পুজোতে অংশ নেয় এবং বিশেষভাবে মহিলারা উপবাস করেন সন্তান ও পরিবারের মঙ্গলার্থে।
advertisement
6/8
ছট উৎসবে ছটি মাতা অর্থাত্‍ ষষ্ঠী দেবীর পূজা করা হয়, যা ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণেও উল্লেখ আছে। একটি কিংবদন্তি অনুসারে, প্রথম মনু স্বয়ম্ভুর পুত্র রাজা প্রিয়ব্রতের কোন সন্তান ছিল না। এ কারণে তিনি মন খারাপ করতেন। মহর্ষি কাশ্যপ রাজাকে পুত্র লাভের জন্য যজ্ঞ করতে বললেন। মহর্ষির আদেশ অনুসারে রাজা যজ্ঞ করলেন।
ছট উৎসবে ছটি মাতা অর্থাত্‍ ষষ্ঠী দেবীর পূজা করা হয়, যা ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণেও উল্লেখ আছে। একটি কিংবদন্তি অনুসারে, প্রথম মনু স্বয়ম্ভুর পুত্র রাজা প্রিয়ব্রতের কোন সন্তান ছিল না। এ কারণে তিনি মন খারাপ করতেন। মহর্ষি কাশ্যপ রাজাকে পুত্র লাভের জন্য যজ্ঞ করতে বললেন। মহর্ষির আদেশ অনুসারে রাজা যজ্ঞ করলেন।
advertisement
7/8
এর পরে, রানী মালিনী একটি পুত্রের জন্ম দেন, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত শিশুটি মৃত জন্মগ্রহণ করে। এতে রাজা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা গভীরভাবে শোকাহত হন। তারপর আকাশ থেকে একটি রথ মাটিতে অবতরণ করল যাতে মাতা ষষ্ঠী বসেছিলেন। রাজা তাঁর কাছে প্রার্থনা করলে তিনি নিজের পরিচয় দিয়ে বললেন- আমি ব্রহ্মার মানস কন্যা ষষ্ঠী দেবী।
এর পরে, রানী মালিনী একটি পুত্রের জন্ম দেন, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত শিশুটি মৃত জন্মগ্রহণ করে। এতে রাজা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা গভীরভাবে শোকাহত হন। তারপর আকাশ থেকে একটি রথ মাটিতে অবতরণ করল যাতে মাতা ষষ্ঠী বসেছিলেন। রাজা তাঁর কাছে প্রার্থনা করলে তিনি নিজের পরিচয় দিয়ে বললেন- আমি ব্রহ্মার মানস কন্যা ষষ্ঠী দেবী।
advertisement
8/8
তিনি এও জানান, আমি পৃথিবীর সকল শিশুকে রক্ষা করি এবং নিঃসন্তান দম্পতিদের সন্তান লাভের বর দিই। এর পরে, দেবী মৃত শিশুর দিকে তার হাত বাড়িয়ে,তাকে আশীর্বাদ করেছিলেন, যা তাকে জীবিত করেছিল। দেবীর এই কৃপায় রাজা খুব খুশি হলেন এবং তিনি ষষ্ঠী দেবীর পূজা প্রচলন করলেন। এর পরেই ধীরে ধীরে এই পূজা সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে বলে ধারণা করা হয়।
তিনি এও জানান, আমি পৃথিবীর সকল শিশুকে রক্ষা করি এবং নিঃসন্তান দম্পতিদের সন্তান লাভের বর দিই। এর পরে, দেবী মৃত শিশুর দিকে তার হাত বাড়িয়ে,তাকে আশীর্বাদ করেছিলেন, যা তাকে জীবিত করেছিল। দেবীর এই কৃপায় রাজা খুব খুশি হলেন এবং তিনি ষষ্ঠী দেবীর পূজা প্রচলন করলেন। এর পরেই ধীরে ধীরে এই পূজা সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে বলে ধারণা করা হয়।
advertisement
advertisement
advertisement