Sleep Habits: ভোর ৩-৪ টের সময় ঘুম ভাঙলে ভুলে তাকাবেন না আয়নায়, ব্রহ্ম মুহুর্তেই লুকিয়ে সাফল্য-সমৃদ্ধির রহস্য

ধর্মীয় শাস্ত্রে, ব্রহ্ম মুহুর্তকে দিনের সবচেয়ে শুভ এবং শক্তিশালী সময় হিসাবে বিবেচনা করা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে যারা এই সময়ে ঘুম থেকে ওঠেন এবং তাদের দিন শুরু করেন তাদের দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পান, যার সর্বদা চমৎকার স্বাস্থ্য এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ থাকবে। তাহলে, আসুন ব্রহ্ম মুহুর্ত, এর তাৎপর্য এবং এই সময়ে কী করবেন তা জেনে নেওয়া যাক।

এই সময়ে কী করা উচিত? জ্যোতিষী সন্তোষ কুমার বলেন, "যদি আপনি তিনটে থেকে চারটের মধ্যে ঘুম থেকে ওঠেন, তাহলে বুঝতে হবে প্রকৃতি আপনাকে একটি বার্তা দিচ্ছে। প্রকৃতি বলছে যে তোমার এই সময়ে ঘুম থেকে ওঠা উচিত এবং এই সময়ের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করা উচিত।"

জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, ভোর ৩টা থেকে ভোর ৫টার মধ্যে সময়কে ব্রহ্ম মুহুর্ত বলা হয়। এটিকে অক্ষয় মুহুর্তও বলা হয়, কারণ এই সময়ে করা যেকোনও শুভ কাজ, উপাসনা বা ধ্যান চিরস্থায়ী ফল দেয়।

বিশ্বাস করা হয় যে এই সময়কালে প্রকৃতির ইতিবাচক শক্তি তার শীর্ষে থাকে এবং বায়ুমণ্ডল শান্ত থাকে, যার ফলে মনোযোগ দেওয়া সহজ হয়। যারা ব্রহ্ম মুহুর্তের সময় ঘুম থেকে ওঠেন তারা চিন্তাভাবনা বৃদ্ধি, মানসিক স্পষ্টতা এবং সারা দিন ধরে উদ্যমী বোধ করেন।

জ্যোতিষী পণ্ডিত দয়ানাথ মিশ্র ব্যাখ্যা করেন যে ব্রহ্মমুহুর্ত একটি অলৌকিক সময়, এবং এই সময়ে সম্পাদিত আধ্যাত্মিক অনুশীলনগুলি দ্রুত সাফল্য লাভ করে। তিনি কিছু সহজ প্রতিকারের কথা বলেছেন যা একজন ব্যক্তির অগ্রগতির পথ প্রশস্ত করতে পারে।

কর দর্শন: চোখ খোলার সঙ্গে সঙ্গে, অলসতা ত্যাগ করুন এবং আপনার বিছানায় বসুন। প্রথমে, আপনার হাতের তালু একসঙ্গে রাখুন এবং দেবতার দর্শন করুন।

মন্ত্র জপ: ভক্তি সহকারে হাতের তালুর দিকে তাকিয়ে এই মন্ত্রটি জপ করুন। করাগ্রে বসতে লক্ষ্মী, করমধ্যয়ে সরস্বতী, করমূলে তু গোবিন্দঃ, প্রভাতে করদর্শনম্। (এর অর্থ: তালুর সামনের দিকে দেবী লক্ষ্মী, মাঝখানে দেবী সরস্বতী এবং তলায় ভগবান গোবিন্দ বাস করেন)

পৃথিবীকে প্রণাম: বিছানা থেকে নামার আগে, পৃথিবী মাকে প্রণাম করুন এবং তারপর ভগবান গণেশের নাম জপ করে দিন শুরু করুন।

পণ্ডিত মিশ্রের মতে, ব্রহ্ম মুহুর্তের পবিত্রতা বজায় রাখার জন্য কিছু জিনিস এড়ানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে ঘুম থেকে ওঠার পরপরই খেলে শরীরে নানা ধরণের রোগ হতে পারে।

আপনার মনকে সম্পূর্ণ শান্ত রাখুন এবং কোনও ধরণের খারাপ বা নেতিবাচক চিন্তা আপনার মনে আনবেন না। কারোর জন্য অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করবেন না, এতে মানসিক চাপ বৃদ্ধি পায়।

সকালে ঘুম থেকে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে আয়নায় তাকানো এড়িয়ে চলা উচিত, কারণ এটি নেতিবাচক শক্তিকে আকর্ষণ করতে পারে।