Bhoot Chaturdashi 2025: আজই সেই ভয়ঙ্কর রাত...! ভূত চতুর্দশীতে 'এই' কাজ করলেই সর্বনাশ, জীবন 'নরক', গ্রাস করবে মৃত্যুর কালো ছায়া

অমাবস্যার আগের রাত। চতুর্দশী তিথিতে হিন্দু মতে ভূত চতুর্দশী পালন করা হয়। আগামী কালীপুজো৷ ইতিমধ্যেই চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি৷ তার আগের রাতই ভূত চতুর্দশী৷

এই রাত্রিই ভূত চতুর্দশী ভয় নয়, বিশ্বাসের উৎসব। অন্ধকারকে জয় করতে,শুভ শক্তির আহ্বানে, জ্বলে ওঠে চৌদ্দ প্রদীপ। আর ঘরে ঘরে রান্না হয় চৌদ্দ রকম শাক।

লোকবিশ্বাস বলছে, নরকাসুর রাজা প্রতিবছর এই তিথিতে ভূতপ্রেতদের নিয়ে পৃথিবীতে আসেন, তাঁদের উপস্থিতিতেই খুলে যায় স্বর্গ আর নরকের দুয়ার। তাই এই দিনে প্রদীপ জ্বালিয়ে মানুষ অন্ধকার দূর করে, আর চৌদ্দ শাক খেয়ে আহ্বান জানায় সুস্থতা ও সমৃদ্ধির।

ভূত চতুর্দশীর দিন নেগেটিভ শক্তির প্রভাব বেশি থাকে বলে মনে করা হয়৷ এদিন এই কাজগুলি করলে জীবনে নেমে আসে চরম দুর্ভোগ৷ কালো ছায়া পিছু ছাড়ে না৷ জেনে নিন কোন কাজগুলি করা বারণ৷

ভূত চতুর্দশীর দিন বাড়ির প্রতিটা কোণ পরিস্কার রাখা উচিত৷ ঘরের কোন জায়গায় যেন নোংরা না থাকে৷ তবে সন্ধের পর ভুলেও ঝাঁড়ু দেবেন না৷ এতে মা লক্ষ্মী রুষ্ট হন৷।

ভূত চতুর্দশীর দিন শ্মশান অথবা কবরস্থানের ধারে-কাছেও যেতে নিষেধ করা হয়। বলা হয় যে,এই সব জায়গায় নানা রকম নেগেটিভ শক্তি থাকে। যা জীবনে দুর্ভোগ ডেকে আনে৷

ভূত চতুর্দশীর দিন বাড়িতে কাঁচের ভাঙা জিনিস না রাখাই ভাল৷ বিশেষত, ভাঙ্গা বা ফেটে যাওয়া আয়নায় মুখ দেখা উচিত নয়। কারণ এগুলিও অশুভ শক্তির লক্ষণ।

ভূত চতুর্দশী এবং কালীপুজোর দিন সন্ধের পর দুধ বা দুধ জাতীয় কোনও জিনিস কাউকেদেবেন না।এতে আপনার বাড়ি থেকে পজিটিভ শক্তি কমতে থাকবে, এবং বাড়বে নেগেটিভ এনার্জি।

ভূত চতুর্দশীতে ঘরে সর্বদা আলো জ্বালিয়ে রাখবেন৷ কোথাও যেন কোনও অন্ধকার না থাকে৷ সন্ধের সময় প্রদীপ জ্বালান৷ এতে অশুভ শক্তির দূর হয়৷

ভূত চতুর্দশীর দিন রাতের বেলা মহিলারা চুল খুলে ঘুমাবেন না। এতে মা লক্ষ্মী রুষ্ট হন । নেগেটিভ শক্তি ঘরে ঢুকে বিরাট ক্ষতি করতে পারে পরিবারের সদস্যদের।

পশ্চিম ও দক্ষিণ ভারতে এই তিথি পরিচিত ‘নরক চতুর্দশী’ নামে। অন্ধকার আর অত্যাচারের অবসান ঘটিয়ে, আলো আর ন্যায় প্রতিষ্ঠার সেই জয়গানই আজও স্মরণ করা হয় চৌদ্দ প্রদীপের আলোর মধ্য দিয়ে।