রান্নাঘর হল ঘরের এমন একটি জায়গা বাড়ির যে অংশ বিশুদ্ধ থাকা খুবই জরুরি। কারণ এখানে গোটা পরিবারের সদস্যদের জন্য খাবার রান্না করা হয়। এখানে বিশুদ্ধতায় কোনও খামতি থাকলে তা রন্ধনকারী-সহ গোটা পরিবারকে কোনও না কোনওভাবে প্রভাবিত করে। আমাদের প্রবীণরা আমাদের অনেক ধর্মীয় ঐতিহ্য সম্পর্কে অবহিত করে থাকেন।
আমরা প্রায়ই বাড়ির বড়দের বলতে শুনি রুটি কখনই গুণে গুণে বানানো উচিত নয়। শুধু তাই নয়, বাসি আটা দিয়ে রুটি বানানোও অনুচিত। এর পেছনে কিন্তু আছে গুরুত্বপূর্ণ কারণ। শাস্ত্র অনুসারে, এটি করা উচিত নয় কারণ এটি জীবনে খারাপ প্রভাব ফেলে। রুটি তৈরিও গ্রহের সঙ্গে সম্পর্কিত। আসুন জেনে নেওয়া যাক, শাস্ত্রে রুটি বানানোর নিয়ম ঠিক কী এবং কেন?
গুনে গুনে রুটি বানাবেন না:
নিউক্লিয়ার ফ্যামিলির ক্রমবর্ধমান প্রবণতা বাড়ছে সমাজে। আর এই ছোট পরিবারে প্রায়ই গিন্নিরা গুনে গুনে রুটি তৈরি করেন বা করান। কিন্তু জানেন কি শাস্ত্র অনুসারে, এই পদ্ধতিটি ভুল। এতে ঘরের সুখ-শান্তি নষ্ট হয়, সমৃদ্ধি আসে না। জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে এতে পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্যের উপর খারাপ প্রভাব পড়তে পারে।
গুনে গুনে রুটি বানালে বাকি আটা মাখার মণ্ড ফ্রিজে রেখে দেওয়ার অভ্যেস থাকলে জেনে রাখুন এটি শাস্ত্রমতে অত্যন্ত অশুভ। কারণ রুটি সূর্য ও মঙ্গলের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। টাটকা রুটি যেমন আমাদের শক্তি দেয়, বাসি রুটি তেমনই দেয় নেতিবাচকতা। শুধু তাই নয়, বাসি আটা রাহুর সঙ্গে সম্পর্কিত বলে মনে করা হয়। রাহু মানসিক অবস্থাকে ভারসাম্যপূর্ণ থাকতে দেয় না। বাড়িতে ঝামেলা লেগেই থাকে এর ফলে। আপনার অজান্তেই আপনার পরিবারকে নেতিবাচকতা গ্রাস করতে থাকে আপনার ছোট্ট একটি ভুলে।
পরিবারে সুখ সমৃদ্ধি চাইলে খাবার তৈরির সময় শুধু পরিবার নয়, প্রতিদিন গরু-কুকুরদের জন্যও রুটি বানান। প্রথম রুটিটা বানিয়ে তা একটি গরুকে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করুন। খাওয়ান কুকুরকেও। এই দুই পশুকে রুটি খাওয়ানোর পরই পরিবারের সদস্যরা বাকি রুটি খান। কারণ জ্যোতিষমতে, গরুকে রুটি খাওয়ালে পিতৃদোষ দূর হয়। আর কুকুরকে রুটি খাওয়ালে শত্রুতার ভয় দূর হয়।