Shani Vakri 2023: শনির বক্রিতে কারও পৌষমাস কারও সর্বনাশ, প্রচুর টাকায় পকেট ভরবে, বিপদ চরমে

শনিদেব কর্মফলদাতা। এই রূপেই তাঁকে চিহ্নিত করেছে সনাতন শাস্ত্র। সেই জন্যই নবগ্রহের মধ্যে তিনি একই সঙ্গে অর্জন করেছেন ভক্তের প্রীতি এবং ভীতি। প্রতীকী ছবি ৷

কেন না, সৎ পথে থাকতে পারলে তিনি আমাদের জীবন পূর্ণ করেন আশীর্বাদে, সৌভাগ্যে। কিন্তু অসৎ পথে চললেই শনিদেবের বক্রদৃষ্টির মুখে আণাদের পড়তে হয়, শুরু হয় অনন্ত দুর্ভাগ্যের দিনযাপন। প্রতীকী ছবি ৷

এ হেন শনিদেব এবার অবস্থান করছেন বক্রী মার্গে। পূর্ণিয়ার প্রখ্যাত জ্যোতিষবিদ পণ্ডিত দয়ানাথ মিশ্র এই ব্যাপারে আলোকপাত করেছেন। প্রতীকী ছবি ৷

তিনি জানিয়েছেন যে গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থানে কেবল আমাদের ভাগ্যই তাড়িত হয় না, একই সঙ্গে পৃথিবীও প্রভাবিত হয়। প্রতীকী ছবি ৷

এক্ষেত্রে শনিদেবের ভূমিকা অপরিসীম। নবগ্রহের মধ্যে তাঁর গুরুত্ব এবং মাহাত্ম্য সর্বাধিক আমাদের জীবনে, সেই কারণেও শনির বক্রী দশা নিয়ে বিশেষ আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। প্রতীকী ছবি ৷

পণ্ডিত মিশ্র এই প্রসঙ্গে বক্রী দশা কী তাও ব্যাখ্যা করতে ভোলেননি। তিনি জানিয়েছেন, সহজ ভাবে বললে বক্রী মানে হল উল্টো। প্রতীকী ছবি ৷

অর্থাৎ কোনও গ্রহ যখন তার গতিপথের উল্টো দিকে অবস্থান করে, তখন সে বক্রী মার্গে রয়েছে বলতে হবে। আর সব গ্রহ বক্রিদশা কাটিয়ে অভিমুখে অগ্রসর হলেও শনির বক্রী দশা সহজে শেষ হয় না। প্রতীকী ছবি ৷

কেন না, শনি গ্রহমধ্যে সর্বাধিক ধীরগতি, তিনি এক রাশিতে অন্তত ৩০ মাস বা আড়াই বছর অবস্থান করেন, যা শনির ঢাইয়া দশা নামে সুপরিচিত। প্রতীকী ছবি ৷

সেই কারণেই পণ্ডিত মিশ্র বলছেন যে শনির এই বক্রী অবস্থান রাশিচক্রের ১২টি জাতক-জাতিকাদের অনেকের জীবনেই সঙ্কট ডেকে আনতে পারে। প্রতীকী ছবি ৷

এই আশঙ্কা বিশেষ করে প্রযোজ্য হতে পারে মেষ, সিংহ এবং বৃশ্চিক রাশির জাতক-জাতিকাদের ক্ষেত্রে। সব রাশির জাতক-জাতিকারাই শনির বক্রী অবস্থানে সঙ্কটে পড়লেও এই তিন রাশির দুর্ভোগের সম্ভাবনা সর্বাধিক- অতএব এদের সৎ পথে থাকা উচিত, সতর্ক থাকা উচিত। প্রতীকী ছবি ৷

একই সঙ্গে পণ্ডিতজি এও বলতে ভোলেননি যে বক্রী অবস্থানে থাকলেও শনিদেব কুম্ভ রাশির জাতক-জাতিকাদের কৃপা করবেন, কেন না কুম্ভ তাঁর নিজের রাশি। এই রাশির জাতক-জাতিকারা সৌভাগ্যের মুখ দেখবেন। প্রতীকী ছবি ৷

পাশাপাশি পণ্ডিত মিশ্র রাজনীতির জগতেও আলোড়নের ইঙ্গিত দিয়েছেন শনির বক্রী অবস্থানের কারণে। প্রতীকী ছবি ৷

তাঁর বক্তব্য, সঠিক সময় বলা সম্ভব নয়, তবে মাসখানেক বা দেড়েকের মধ্যেই এই রাজনৈতিক আলোড়নের রূপরেখাটি স্পষ্ট হয়ে প্রকাশ্যে আসবে। প্রতীকী ছবি ৷