Astrology Tips: কোন কোন রাশির উপর শনির দৃষ্টি! সাড়ে সাতি আর ঢাইয়া থেকে বাঁচতে কী কী করবেন, এখনই জেনে নিন

শনির নাম শুনলে অনেকেই ভয় পেয়ে যান। অনেক সময় মনে হয় সমস্যা হঠাৎ করে বেড়ে গিয়েছে, কঠোর পরিশ্রমের ফল পাওয়া যাচ্ছে না এবং জীবনে বাধা-বিপত্তি বাড়ছে। আসলে এই প্রভাব শনির সাড়ে সাতি বা ঢাইয়ার হতে পারে। কিন্তু এগুলো কি সত্যিই এত খারাপ? বিস্তারিত জানাচ্ছেন ভোপালের জ্যোতিষী এবং বাস্তু পরামর্শদাতা পণ্ডিত হিতেন্দ্র কুমার শর্মা।

শনি খুব ধীরে গমন করে। এটি প্রায় আড়াই বছরে এক রাশি থেকে অন্য রাশিতে গমন করে। এটি যখন একটি নির্দিষ্ট স্থানে গমন করে, তখন কিছু রাশিতে সাড়ে সাতি বা ঢাইয়া শুরু হয়। একই সঙ্গে কিছু রাশির জন্য এই সময়কাল শেষ হয়।

পণ্ডিত হিতেন্দ্র কুমার শর্মার মতে, শনি যখন কোনও ব্যক্তির জন্ম রাশি থেকে দ্বাদশ, প্রথম এবং দ্বিতীয় ঘরে আসে, তখন সেই ব্যক্তির সাড়ে শাতি শুরু হয়। এটি মোট সাড়ে সাত বছর স্থায়ী হয়।

শনি যখন জন্ম রাশি থেকে চতুর্থ বা অষ্টম ঘরে গোচর করে, তখন তাকে ঢাইয়া বলা হয়। এটি প্রায় আড়াই বছর স্থায়ী হয়। এটিকে 'লাঘু কল্যাণী' বা 'কান্তকি'ও বলা হয়।

এই সময়ে একজন ব্যক্তি চাকরি, ব্যবসা, স্বাস্থ্য এবং সম্পর্কের ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হন। কখনও কখনও আদালতের মামলা, মানহানি বা মানসিক চাপও বৃদ্ধি পায়। কিছু মানুষের জন্য এই সময়টি আত্মসমালোচনা এবং পরিবর্তনের সুযোগও হয়ে ওঠে।

শনির অবস্থা ভাল না থাকে, তাহলে সবচেয়ে কার্যকর সমাধান হল হনুমানজির পুজো করা। শনিদেব নিজেই বলেছেন যে তিনি হনুমানজির ভক্তদের কষ্ট দেন না।

এই সময়ে কুম্ভ, মীন এবং মেষ রাশির জাতক-জাতিকারা সাড়ে সাতির প্রভাবে রয়েছে। ধনু রাশি চতুর্থ ঘরের ধৈয়ার প্রভাবে এবং সিংহ রাশি অষ্টম ঘরের ধৈয়ার প্রভাবে রয়েছে।