পশ্চিম মেদিনীপুরঃ এক রাতেই প্রতিমা তৈরি, এক রাতেই পূজো, সেই রাতেই বিসর্জন। এমনই কঠোর নিয়ম আচারের মধ্য দিয়ে বিগত ২০০ বছরেরও বেশী সময় ধরে পূজিতা হয়ে আসছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গলমহল শালবনীর কর্নগড়ের রক্ষা কালি মা। বৈশাখ মাসের সংক্রান্তির আগের রাতে ঘটা করে পালন হয় এই রক্ষা কালী মায়ের পূজো, যা কর্নগড়বাসীর কাছে দেশ পূজো হিসেবেও পরিচিত। পুজোর আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, কোন এক সময় ঐ এলাকায় মহামারী দেখা দিয়েছিল। একে একে মহামারীতে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছিল গ্রামের মানুষ। সেই সময় গ্রামবাসীরা আজকের দিনে রক্ষাকালি মাতার পুজোর উদ্যোগ নেন। জানা যায়, সূর্য ডোবার পর শুরু হয় প্রতিমা তৈরির প্রক্রিয়া। মাটি দিয়ে প্রতিমা তৈরির পরেই সেই প্রতিমা কালো রং করা হয়।
আরও পড়ুনঃ Toll Tax: রেট বাড়ছে টোল প্লাজায়! তবে কী ফের মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা?
রঙ করা শেষ হতেই প্রতিমা তুলে নিয়ে গিয়ে স্থাপন করা হয় গ্রামের মন্দিরে। রাতেই আয়োজন করা হয় পুজোর। সারা রাত পূজো হওয়ার পর ভোর নাগাদ সূর্য উদয়ের আগেই বিসর্জন দেওয়া হয় এই জাগ্রত রক্ষাকালি মাকে। পুজোকে ঘিরে বসে একরাতের মেলা। দূরদূরান্ত থেকে কয়েক হাজার মানুষ আসেন পূজো দিতে। প্রায় তিন শতাধিক পাঠা বলি দেওয়া হয় এই এক রাতেই। জঙ্গলমহল শালবনী ব্লকের কর্নগড় অঞ্চলের এই প্রাচীন কঠোর নিয়মের কালী পূজো সম্পর্কে অনেকেই হয়তো জানেন না।স্থানীয় মানুষদের কাছ থেকে শোনা যায়, এই প্রতিমা তৈরিতে ব্যবহার করা হয় মদ, যদিও প্রতিমা তৈরির সময় মৃৎশিল্পী ছাড়া আর কাউকেই প্রবেশ করতে দেওয়া হয়না সেই গৃহে বলে স্থানীয় মানুষদের দাবি।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Paschim medinipur, Shalboni