#পশ্চিম মেদিনীপুর : পুলিশ প্রশাসনের নাকের ডগায় হচ্ছিল নাবালিকের বিয়ে! রুখে দিল কন্যাশ্রী ক্লাব। মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প কন্যাশ্রী! তাই বিভিন্ন স্কুলে কন্যাশ্রী মেয়েদের নিয়ে তৈরি করা হয়েছে কন্যাশ্রী ক্লাব! আর এবার সেই কন্যাশ্রীর মেয়েরা রুখে দিল নাবালিকার বিয়ে! ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুরের গোলাড় গ্রামে। সূত্রের খবর, গোলাড় সুশীলা বিদ্যাপীঠের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীর সাথে ওই গ্রামেরই চন্দন দোলই নামে এক যুবকের বিবাহ ঠিক হয়। বৃহস্পতিবার স্কুল ছুটি হওয়ার পর দুজনে পালিয়ে গিয়ে বিয়েও করে বলে অভিযোগ। সেই খবর পেয়ে নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে নাবালিকার বাড়িতে উপস্থিত হয় কন্যাশ্রী ক্লাবের সদস্যারা।
মেয়ের পরিবারের লোকেদের কাছে বারবার জানতে চাইলেও, তারা বিভিন্ন ভাবে তাদের মেয়ে কোথায় আছে তা বলতে রাজি হননি বলে অভিযোগ। এরপর ছেলের পরিবারের সাথেও কথা বলে কন্যাশ্রী ক্লাবের সদস্যারা, ছেলের পরিবারের তরফে জানানো হয়, তাদের ছেলে বন্ধুর বাড়ি গেছে। কিন্তু প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা এই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছালেই নড়েচড়ে বসে দুই পরিবারের সদস্যরা। ইতিমধ্যেই ঐ নাবালিকার মা জানিয়েছেন, তাদের মেয়ের ১৮ বছর বয়স হলে তারা বিয়ে দেবেন।
আরও পড়ুনঃ বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে "গণতন্ত্রের সংকট" শীর্ষক স্মারক বক্তৃতা
পুলিশ প্রশাসনের তরফে উভয় পরিবারের সদস্যদের বোঝানো দেওয়া হয়েছে ১৮ বছরে বয়সের আগে কোনো ভাবেই যেন না মেয়ের বিয়ে দেওয়া হয়, নাবালিকা মেয়ের বিয়ে দেওয়া আইনত অপরাধ বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে দুই পরিবারকে। বারবার প্রশাসনের তরফে নাবালিকা বিবাহ রোধে সচেতন করা সত্বেও লুকিয়ে চুপিয়ে নাবালিকা বিয়ে দেওয়ার প্রবণতা যে এখনও রয়েছে, তাই মনে করছেন সচেতন মহল।
Partha Mukherjeeনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Keshpur, Paschim medinipur