Paschim Bardhaman: যাত্রা শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে কাঁকসার গাঙবিলে আজও হয় যাত্রাপালা
- Published by:Soumabrata Ghosh
Last Updated:
স্মার্ট টিভির সঙ্গে পাল্লা দিতে না পেরে যাত্রাপালা এখন আর প্রায় দেখা পাওয়া যায় না বললেও ভুল হবে না। তবে ঐতিহ্যের এই যাত্রাপালা শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে এখনো কিছু উদ্যোক্তারা আয়োজন করেন। তেমনি উদাহরণ দেখা গেল কাঁকসার গাঙবিলে।
কাঁকসা: এক দশক আগেও গ্রাম বাংলার বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হত যাত্রাপালার। কখনো উদ্যোক্তারা বাইরে থেকে দল নিয়ে যাত্রাপালা অনুষ্ঠান করাতেন। কখনও আবার উদ্যোক্তারা নিজেই তালিম নিয়ে যাত্রাপালার পাঠ পরিবেশন করতেন। কিন্তু কালের নিয়মে হারিয়ে যেতে বসেছে সেই যাত্রাপালা। কঠিন অবস্থার মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন যাত্রা শিল্পীরা। একটা সময় এই যাত্রাপালা দেখতে বহু মানুষ একজোট হতেন। কিন্তু স্মার্ট টিভির সঙ্গে পাল্লা দিতে না পেরে যাত্রাপালা এখন আর প্রায় দেখা পাওয়া যায় না বললেও ভুল হবে না। তবে ঐতিহ্যের এই যাত্রাপালা শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে এখনো কিছু উদ্যোক্তারা আয়োজন করেন। তেমনি উদাহরণ দেখা গেল কাঁকসার গাঙবিলে। সেখানে গ্রামীণ কালী পূজা উপলক্ষে যাত্রাপালার আয়োজন করা হয়েছিল। দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে এই যাত্রাপালার অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আসছেন তারা। এই সময় যখন যাত্রাশিল্প যখন ক্ষয়িষ্ণু অবস্থায় রয়েছে, তখন সেই যাত্রা শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে উদ্যোগ নিয়েছেন গাঙবিল গ্রামের কালী পূজা কমিটির উদ্যোক্তারা। প্রত্যেক বছরই যাত্রাপালার আয়োজন করেন তারা। যদিও গত দু'বছর করোনা এর জন্য সেই অর্থে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যায়নি। তবে চলতি বছরে সংক্রমণ আয়ত্তে থাকায়, তারা আবার যাত্রাপালার আয়োজন করেছিলেন পুরোনো নিয়মে। উদ্যোক্তারা বলছেন, আগামী বছরগুলিতেও তারা এইভাবে যাত্রাপালার আয়োজন করে যেতে চান। আর এই যাত্রাপালা দেখতে স্থানীয়দের ভিড় ছিল দেখার মতো। যাত্রাপালা প্রাঙ্গণে বহু মানুষ সন্ধ্যে থেকে বসে ভিড় জমিয়েছিলেন যাত্রাপালার অনুষ্ঠান দেখতে। উদ্যোক্তাদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন যাত্রাপালা পরিবেশন করতে আসা শিল্পীরাও।
Location :
First Published :
March 30, 2022 4:41 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/পশ্চিম বর্ধমান/
Paschim Bardhaman: যাত্রা শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে কাঁকসার গাঙবিলে আজও হয় যাত্রাপালা