#নয়াদিল্লি: ফোন কানেকশনের মতো ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে সরকারি নজরদারি নিঃসন্দেহেই একটি বিতর্কিত বিষয়। কিন্তু এবার ভারত সরকারের তথ্য এবং সম্প্রচার মন্ত্রক যে পদক্ষেপ করতে চলেছে, তার প্রশংসা না করে থাকা যায়। এখানে কিছুটা হলেও দেশের মানুষের ফোন কানেকশন এবং সেই সূত্রে আসা মেসেজ/কল খুঁটিয়ে দেখবে কেন্দ্র, তবে মূল নজরটা থাকবে টেলিকমিউনিকেশন সংস্থাগুলোর উপরে। কেন না, যাতে দেশের মানুষকে পেমেন্ট ফ্রড, স্প্যাম মেসেজ/কল নিয়ে সমস্যায় পড়তে না হয়, সে কারণে একটি ডিজিটাল ইনটেলিজেন্স ইউনিট তৈরি করতে চলেছে সরকার। পাশাপাশি এই লক্ষ্যে একটি ফ্রড ম্যানেজমেন্ট এবং কনজিউমার প্রোটেকশন ইউনিটও তৈরি করা হচ্ছে। সম্প্রতি এক সভায় এই কথা জানিয়েছেন টেলিকম মন্ত্রকের প্রধান রবিশঙ্কর প্রসাদ (Ravi Shankar Prasad)। এই ডিজিটাল ইনটেলিজেন্স ইউনিটের প্রধান কাজ হবে টেলিকমিউনিকেশন সংস্থাগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে তার গ্রাহকদের আইনগত স্বার্থটি সুরক্ষিত রাখা, এই কথা জানিয়েছেন তিনি।
যাকে আমরা সহজ ভাবে স্প্যাম মেসেজ/কল বলে থাকি, তার পোশাকি নাম আনসলিসিটেড কমার্সিয়াল কমিউনিকেশন। এটি টেলিকম মন্ত্রক তো বটেই, পাশাপাশি TRAI বা টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার পক্ষেও একটি দুশ্চিন্তার বিষয়। এই মর্মে প্রসাদ জানিয়েছেন যে সরকারের অধীন টেলিকমিউনিকেশন সংস্থা এবং বেসরকারি সংস্থা, যেমন, BSNL, Vi, Airtel, Reliance, সবাইকেই এই বিষয়ে লিখিত ভাবে সাবধান করা হয়েছে। যাতে এই সব নেটওয়ার্ক থেকে ফ্রডের মতো কোনও ঘটনা না ঘটে, সেই মর্মে জরিমানা ধার্য করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার অঙ্কটাও নেহাত কম নয়, একেবারে ৩০ কোটি! কিন্তু শুধু জরিমানা করে দেশের মানুষের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখা যায় না। সেই মর্মেই এই ডিজিটাল ইনটেলিজেন্স ইউনিট তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, দেশে দিন দিন বেড়েই চলেছে নেটওয়ার্ক সিস্টেম ব্যবহার করে আর্থিক জালিয়াতির বিষয়টি। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার একটি রিপোর্টে জানানো হয়েছে যে দেশে ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে স্প্যাপ, ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড জালিয়াতি সব মিলিয়ে ২২০ কোটি টাকা তছরুপের নজির প্রকাশ্যে এসেছে। সমীক্ষা এবং পরিসংখ্যান বলছে যে এই প্রবণতা দেশের জামতাড়া এবং মেওয়াটে সর্বাধিক। সেই দিক থেকে সরকারের এই উদ্যোগ যে দেশের মানুষকে স্বস্তি দেবে, তা বলাই যায়!