Tokyo Olympics 2020: অসমের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে উঠে আসা লাভলীনা, বক্সারে মুষ্টিতে টোকিও অলিম্পিক্সে পদকের স্বপ্ন
- Published by:Debalina Datta
- news18 bangla
Last Updated:
টোকিও অলিম্পিক্সে সোনার স্বপ্ন, গ্রামে নেই বক্সিং প্রশিক্ষক, নেই বক্সিং রিং, তবুও অদম্য ইচ্ছাশক্তি ও প্রস্তুতি লাভলীনার ...
#টোকিও: Tokyo 2020 Olympic Games করোনা ভাইরাসের ধাক্কায় এক বছরের জন্যে পিছিয়ে গিয়েছিল৷ জুলাই ২৩ তারিখে তিরন্দাজি, শ্যুটিং, রোয়িং, এবং ইকুস্ট্রিয়ান গেমসের প্রথম দিনেই আয়োজিত হচ্ছে৷ তবে জাপানে ভারতীয়দের জন্য দিনের শুরুটাই ভালো হয়নি৷ বিশ্বের এক নম্বর দীপিকা কুমারী ব্যক্তিগত রাউন্ডে (women's recurve category) নবম হয়ে শেষ করেন৷ এদিকে এদিন বিকেল সাড়ে চারটায় হবে টোকিও অলিম্পিক্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান৷ পরের দিন যে যে অ্যাথলিটের ইভেন্ট রয়েছে তারা এদিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন না যেহেতু করোনা ভাইরাস প্রভাব রয়েছে৷ অতনু দাস এদিন নিজের ইন্ডিভিজুয়াল ইভেন্টে অংশ নেবেন৷
এদিন বক্সিং রিংয়ে নামবেন ভারতের লাভলীনা বোরগোহেন (Lovlina Borgohain) তিনি ৬৯ কিলো বিভাগে নামবেন৷ মাত্র ২৪ বছরের বক্সার অসমের এক ছোট্ট গ্রাম থেকে টোকিও-র টিকিট নিশ্চিত করেছেন৷ অসমের গোলাঘাট জেলার সরুপথর বিধানসভার বরোমুখিয়া গ্রামের বাসিন্দা লাভলীনা৷ তাঁর গ্রামে মাত্র ২০০০ মানুষের বাস৷ তিনি দুবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে পদক জিতেছেন৷ তিনিই প্রথম ভারতীয় বক্সার হিসেবে এবারের অলিম্পিক্সের টিকিট পেয়েছিলেন৷ লাভলীনা ১.৭৭ মিটার লম্বা৷ লাভলীনাকে নিয়ে তাঁর পরিবার ও তাঁর প্রতিবেশীদের গর্বের শেষ নেই৷ লাভলীনার বাবা আশা মেয়ে পদক এনে দেশের মুখ উজ্জ্বল করবেন৷
advertisement

advertisement
তাঁর এক প্রতিবেশী স্বপন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘গ্রামে বক্সিংয়ের কোনও প্রশিক্ষক নেই, রিং নেই, খালি নিজের পরিশ্রমে লাভলীনা এই জায়গায় পৌঁছেছে৷ আশা ও স্বর্নপদক জিতে দেশের নাম উজ্জ্বল করবে৷’’ ম্যাচের আগে অসমে প্রস্তুতি সেরেছেন এই ২৪ বছরের বক্সার৷ ১৩ বছর বয়সে লাভলীনা ও তাঁর যমজ বোনকে কিক বক্সিং শেখানোর জন্য পাঠানো হয় .তাঁরা জাতীয় স্তরে পৌঁছে গিয়েছিলেন৷ এরপর লাভলীনা বক্সিংয়ে চলে আসেন৷ তাঁর মা মমোনী জানিয়েছেন তাঁর মেয়ে স্কুলে থাকাকালীন সবধরণের খেলায় অংশ নিতেন৷
advertisement
তিনি আরও জানিয়েছেন , ‘‘একবার লাভলীনা-র বাবা কাগজে মুড়ে মিষ্টি নিয়ে এসেছিলেন, সেখানে মহম্মদ আলির বিষয়ে খবর বেরিয়েছিল৷ সেটা পড়েই বক্সিংয়ে প্রথম আগ্রহ তৈরি হয়৷ ’’
ক্লাস ৯ থাকাকালীন সাইয়ের এক প্রশিক্ষকের নজর তাঁর ওপর পড়ে তখন থেকেই তিনি বক্সিংয়েই আরও উন্নতি শুরু করেন৷ লাভলীনা মহম্মদ আলির পাশাপাশি মাইক টাইসনেরও ফ্যান৷
Location :
First Published :
July 23, 2021 8:31 AM IST