#টোকিও: চিরকাল কম কথা বলেন, উচ্ছ্বাস বা হতাশা দেখিয়ে প্রকাশ করেন না। একটু যেন চাপা স্বভাবের মেয়ে দীপিকা কুমারি। ঝাড়খণ্ডের এই মেয়ের হাতে পদক দেখা যাবে কিনা উত্তর দেবে সময়। কিন্তু নিজেকে প্রস্তুত করতে খামতি রাখেননি তিনি। চলতি বছরেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন ভারতীয় তীরন্দাজ দীপিকা কুমারি। জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছেন বাংলার তারকা তীরন্দাজ অতনু দাসকে।
তারপর থেকেই স্বপ্নের ফর্মে রয়েছেন দীপিকা। প্যারিসে কিছুদিন আগেই তীরন্দাজি বিশ্বকাপে জোড়া সোনা জেতেন। সেই সুবাদে উঠে আসেন বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর স্থানে। আসন্ন অলিম্পিকসে এই ফর্ম ধরে রেখে দেশকে পদক এনে দিতে বদ্ধপরিকর তিনি। তবে একই সঙ্গে কোনওরকম আত্মতুষ্টি যাতে কাজ না করে, নজর রাখছেন সেদিকেও।
এর আগে দু’টি অলিম্পিকসে অংশ নিয়েছিলেন দীপিকা। কিন্তু প্রত্যাশা জাগিয়েও সফল হননি। বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর স্থানে থেকেই ২০১২ লন্ডন গেমসে অভিযান শুরু করেছিলেন তিনি। সেবার প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিতে হয়েছিল তাঁকে। এমনকী, ২০১৬ রিও গেমসেও শেষ ষোলোর গণ্ডি টপকাতে ব্যর্থ হন দীপিকা। ওই দুই আসরের ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে টোকিওতে এগোতে চান তিনি।
টোকিও রওনা হওয়ার আগে এক সাক্ষাৎকারে ২৭ বছর বয়সি তীরন্দাজ কন্যা জানান, ‘গত দু’বার যে ভুল করেছি, এবার তার পুনরাবৃত্তি করতে চাই না। অতীতের ব্যর্থতা নিয়ে খুব বেশি ভাবতেও চাই না। বরং যাবতীয় নেতিবাচক চিন্তা ভুলে স্বাভাবিক পারফরম্যান্স মেলে ধরাই হবে আমার একমাত্র লক্ষ্য। দেশের হয়ে ওলিম্পিকসে প্রতিনিধিত্ব করাটা যে কোনও অ্যাথলিটের কাছে গর্বের বিষয়। দেশবাসী আমাদের দিকে তাকিয়ে থাকবে। তাঁদের আর হতাশ করতে চাই না।’
ভারতীয়দের মধ্যে এই প্রথম একই ইভেন্টে অংশগ্রহণ করবেন কোনও দম্পতি। মিক্সড রিকার্ভ বিভাগে পদকের লক্ষ্যে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়বেন দীপিকা ও অতনু দাস। পাশাপাশি মেয়েদের ব্যক্তিগত রিকার্ভ ইভেন্টেও লক্ষ্যভেদে মরিয়া দীপিকা। তাঁকে ঘিরে এবারও আশায় বুক বাঁধছেন অনুরাগীরা।
প্রত্যাশার চাপ ধীরে ধীরে অনুভব করছেন তিনিও। কিন্তু প্রস্তুতি নেওয়ার সময় যোগ্য পার্টনার না থাকায় অনুশীলন করেছেন অতনুর সঙ্গেই। দীপিকা মনে করেন প্র্যাকটিসের সময় লক্ষ্যটাই গুরুত্বপূর্ণ। উল্টোদিকে নিজের স্বামী বা অন্য কেউ, খুব একটা পার্থক্য তৈরি করে না।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Tokyo Olympics 2020