#গোয়া: এর থেকে বোধহয় খারাপ শুরু সম্ভব নয়। আশঙ্কার কালো মেঘ কাটবে কিনা জানা নেই। সেই ইঙ্গিত এখনও পাওয়া যাচ্ছে না। হারের হ্যাটট্রিক। তার ওপর এখনও পর্যন্ত একটা গোল করতে পারেনি তাঁর দল। তিনটি ম্যাচে হজম করতে হয়েছে সাত গোল। এর মধ্যেই আবার বৃহস্পতিবার জামশেদপুরের বিরুদ্ধে নামতে চলেছে লাল হলুদ। যে প্রতিপক্ষ এটিকে মোহনবাগানকে হারিয়ে এই মুহূর্তে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে রয়েছে। ফাওলার কিন্তু আশা হারাতে রাজি নন। সেটাই অবশ্য স্বাভাবিক। চেষ্টা করছেন দলকে ঘুরে দাঁড় করাতে। লিভারপুল থেকে মহিলা মনোবিদ অনলাইন ক্লাস নিচ্ছেন ফুটবলারদের। মুখে তিনি বলছেন কোনও চাপ নেই। কিন্তু সেটা তো বলতে হয়, তাই বলা। ভেতর ভেতর ব্রিটিশ কোচ চাপ অনুভব করছেন।
নর্থইস্ট ম্যাচ হারের পর থেকে অনুশীলনে দলের ডিফেন্স এবং মাঝমাঠের মধ্যে আক্রমণ গড়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। নিজে কিংবদন্তি স্ট্রাইকার ছিলেন। তাই হাতে ধরে জেজে, বলবন্তদের ভুলভ্রান্তি দেখিয়ে দিয়েছেন। কঠিন ম্যাচের আগে লাল-হলুদের হেডস্যার বলছেন,"এখনও পর্যন্ত যা দেখলাম তাতে যে কোন দল নিজেদের দিনে যে কোনও প্রতিপক্ষকে হারিয়ে দিতে পারে। জামশেদপুর শীর্ষে থাকা এটিকে মোহনবাগানকে হারিয়েছে। ওদের কোচ ওয়েন কয়েল আমার দীর্ঘদিনের চেনা। ওঁর বিরুদ্ধে খেলেছি। ম্যানেজার হিসেবেও বেশ সফল। দলটাকে তৈরি করতে জানে।" ভুল বলেননি রবি। জামশেদপুরের ভালসকিস যেমন সুযোগসন্ধানী স্ট্রাইকার, তেমনই ডিফেন্সে এজে এবং হার্টলি দায়িত্ব নিয়ে খেলে। জ্যাকিচাঁদ, উইলিয়াম, মুবাশিরদের মত ভারতীয়রা বেশ ভাল। মনরয় সেটপিস থেকে বিপদ তৈরি করতে পারেন। কিন্তু এত কিছু মাথায় রাখলে নিজেদের খেলা তো ডিফেন্সিভ হয়ে পড়বে। তাহলে জেতার জন্য কি করবেন লাল-হলুদ কোচ? তাঁর পরিষ্কার কথা,"আমি ভয় পেতাম যদি আমরা সুযোগ তৈরি করতে না পারতাম। আমরা কিন্তু যথেষ্ট সুযোগ তৈরি করছি। কিন্তু সেগুলো কাজে লাগাতে হবে। প্রত্যেকে পরিশ্রম করছে। একটা গোল পেলেই সব বদলে যাবে। গোলের জন্য শুধু স্ট্রাইকারদের দিকে তাকিয়ে থাকলে চলবে না। যে কাউকে এই দায়িত্ব নিতে হবে। আমি নিশ্চিত আমাদের গোল আসবে। কিছু সিদ্ধান্ত আমাদের বিরুদ্ধে গেছে। কিন্তু আর এসব ভাবলে চলবে না। পজিটিভ হতে হবে। আশা করছি জামশেদপুরের বিরুদ্ধে নতুন অক্সিজেন পাবে দল।"
অনুশীলনে অ্যারন আমাদিকে ডিফেন্সে খেলানো হয়েছে। স্কট নেভিল সেরকম ভরসা দিতে পারেননি। বিপক্ষ দলে রয়েছেন গতবারের সর্বোচ্চ স্কোরার লিথুয়ানিয়ার ভালসকিস। এবারও তিনি কতটা ভয়ঙ্কর প্রমাণ করেছেন এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে। তাই এমন স্ট্রাইকারকে আটকাতে নিশ্চয়ই ফর্মুলা ভেবে রেখেছেন রবি। ফক্স কবে চোট কাটিয়ে উঠতে পারবেন কবে জানা নেই। নিজেদের আন্ডারডগ বলছেন লাল-হলুদ কোচ। চাপ কমানোর কৌশল? অনুশীলনে অবশ্য বিভিন্ন ফর্মেশন ঝালিয়ে নিয়েছেন কোচ। তিলক স্টেডিয়ামে শেষপর্যন্ত জয়ের তিলক মাথায় ইস্টবেঙ্গল মাঠ ছাড়তে পারে কিনা সেটাই দেখার।
Written By: Rohan Roy Chowdhury
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: East Bengal, Robbie Fowler