বাংলা -৯৬/৪ জয়ের জন্য বাংলার প্রয়োজন আর ২৫৪ রান
#আলুর: চতুর্থ দিন থেকে রঞ্জিতে ব্যাটসম্যানদের পক্ষে কাজটা অনেক কঠিন হতে চলেছে সেটা জানাই ছিল। পিচ ভাঙছে, বল করবে। ফলে চ্যালেঞ্জ কঠিন। প্রথম ইনিংসে ৬৮ রানের লিড পাওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ২৮১ রান করল মধ্যপ্রদেশ। পাঁচ উইকেট নিয়েছেন শাহবাজ আহমেদ। জমে উঠেছে চতুর্থ দিনের খেলা। ৩৫০ রানের টার্গেট ছিল বাংলার।
প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও শূন্য রানে আউট অভিষেক রমন। এবার তো একেবারে প্রথম বলেই। বোলার সেই কার্তিকেয়। বাঁ হাতি বোলারের ডেলিভারিকে ডিফেন্ড করতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে আউট হলেন অভিষেক রমন। বড় একটা ওপেনিং পার্টনারশিপের খুব দরকার ছিল বাংলার। সেটা হল না।
বিনা যুদ্ধে যে বাংলা হারবে না, সেটা কার্যত স্পষ্ট অভিমন্যু ঈশ্বরনের ব্যাটিং দেখে। অনুভব আগরওয়ালের ওভারে তিনটি চার মারলেন তিনি। অন্যদিকে কার্তিকেয়কে বাউন্ডারি মারলেন ঘরামি। এক সময় জাতীয় দলে ঢোকার মুখে ছিলেন তিনি। তারপর বিভিন্ন কারণে পিছিয়ে গিয়েছেন তিনি সেই তালিকায়। এই ম্যাচে তাঁর ক্যাপ্টেন্সি নিয়েও নানান প্রশ্ন উঠেছে।
সবমিলিয়ে কিছুটা চাপে অভিমন্যু ঈশ্বরন। কিন্তু এই ম্যাচে ভালো খেললেই এসব চাপ উধাও হয়ে যাবে সেটা খুব ভালো করেই জানেন তিনি। ম্যাচ উইনিং ইনিংস তাঁর থেকে চায় দল। পিচে বেশ কিছুটা সহায়তা আছে বোলারদের জন্য, তাই সাবধান থাকতে হবে। চূড়ান্ত ভুল আম্পায়ারের। রিভার্স সুইপ করার সময় এলবিডব্লুউ আউট দেওয়া হয় তাঁকে।
বল স্পষ্ট গ্লাভসে লাগল - ইংরেজিতে 'বিগ ডেভিয়েশন' বলাই যায়। আম্পায়ার অবশ্য আঙুল তুলে দেন। হতাশ সুদীপ। ভালো ছন্দে ছিলেন। ৩২ বলে ১৯ রান করে আউট করেন। অনুষ্টুপ মজুমদার নন, চারে এলেন অভিষেক পোড়েল। ডান হাতি- বাঁ হাতি জুটির জন্য অভিষেককে আগে নামিয়ে দিল বাংলা? নাকি অভিষেকের থেকে ঋষভ পন্তের মতো ইনিংসের আশা করা হচ্ছে?
কাজে এল না অভিষেক পোড়েলকে চারে পাঠানোর কৌশল। সাত রান করেই প্যাভিলিয়নে ফিরলেন বাংলার উইকেটকিপার। বরাতজোরে বেঁচে গেলেন মনোজ তিওয়ারি। ২৬ তম ওভারের শেষ বলে ক্যাচ ফরোয়ার্ড শর্ট লেগে ক্যাচ উঠেছিল। তা ধরতে পারেনি মধ্যপ্রদেশ। কিন্তু এদিন বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না মনোজ। কার্তিকের বলে তুলে মারতে গিয়ে লং অনে ক্যাচ দিলেন।
ব্যাটের নীচের দিকে লাগায় সঠিক টাইম হল না। এই আউট যেন বার্তা দিয়ে গেল রঞ্জির সেমিফাইনালে বাংলার যাওয়া কার্যত অসম্ভব। বিশেষ করে দুর্দান্ত ছন্দ ছিলেন মনোজ। এখন পুরোটাই তাকিয়ে থাকতে হবে অভিমুন্য ঈশ্বরন এবং অনুষ্টুপ মজুমদারের দিকে। বাংলার অধিনায়ক অভিমুন্য ধৈর্য দেখিয়ে খেললেন। অর্ধশত রান পূর্ণ করলেন।
অন্যদিকে অনুষ্টুপ আজ নিজের উইকেট বাচিয়ে রাখলেন। এই জায়গা থেকে বাংলার ম্যাচ বাঁচানো প্রচন্ড কঠিন। চতুর্থ দিনের শেষে ম্যাচ ৭০ শতাংশ মধ্যপ্রদেশের পক্ষে। তবু মহান অনিশ্চয়তার খেলা ক্রিকেট। পঞ্চম দিন সকালে যদি বাংলার ব্যাটসম্যানরা লড়াই চালিয়ে এই রান তাড়া করে জিততে পারেন, তাহলে সেটা দারুণ অ্যাচিভমেন্ট হবে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।