#দুবরাজপুর: ১৯৬২ সালে দুবরাজপুরের শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রমে স্বামী ভূপানন্দ মহারাজের উদ্যোগে প্রথম কাগজের রথ তৈরি হয়। এই রথ আশ্রমের আবাসিক ছাত্র ও সাধারণ মানুষের জন্য প্রচলন করেছিলেন ৷ দুবরাজপুর শহর পরিক্রমা করে সেই রথ। পরবর্তীতে ১৯৭৯ সালে তৈরি হয় কাঠের রথ। সেই রথের চাকাও রীতি মেনে প্রতিবছর ঘুড়েছে শহরে। এই রথে চড়ে শহর ঘোড়েন জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা ও ঠাকুর সত্যানন্দ দেব ৷
এই রথ দেখার জন্য দুবরাজপুর বাসি রাস্তার দু’ধারে দাঁড়িয়ে থাকে দীর্ঘক্ষণ ধরে ৷ এই রথের সময় দুবরাজপুর রামকৃষ্ণ আশ্রমে দূরদূরান্ত থেকে প্রাক্তন ছাত্র ও বহু সন্ন্যাসীরা আসেন৷ কিন্তু এই প্রথমবার দুবরাজপুরের রাস্তায় টানা হবে না রথ। করোনা পরিস্থিতির কথা ভেবেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আশ্রম কর্তৃপক্ষ। তবে প্রথা মেনে আশ্রম চত্বরে রথ টানা হবে ৷
রথ টানবে শুধুমাত্র আশ্রমের সন্ন্যাসী ও ব্রহ্মচারীরা ৷ রীতি মেনে পুজো অর্চনা হবে ৷ দুবরাজপুর রামকৃষ্ণ আশ্রমের শীর্ষ সেবক স্বামী সত্য শিবানন্দ মহারাজ জানান, ভক্তদের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বিগ্রহ দর্শন করে ফিরে যাওয়ার জন্য ৷ এছাড়াও রথযাত্রা উপলক্ষে রথের শেষে প্রসাদ খাওয়ানোর ব্যবস্থা থাকে সেটি এবার বাতিল করা হয়েছে ৷ প্রসাদ হিসেবে এবার শুধু শুকনো বাদাম ও বাতাসা দেওয়া হবে ৷ সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখে কিন্তু এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুবরাজপুর রামকৃষ্ণ আশ্রম ৷