কলকাতা: জেল থেকে জেলেদের জালে চোর। গঙ্গায় সাঁতার কাটছে চোর। আর ঘাটে দাঁড়িয়ে অসহায় হয়ে দেখছে পুলিশ।
গঙ্গার পার থেকে মাঝে মাঝে ‘চোর চোর’ বলে চিৎকার। জলে চোর আর স্থলে পুলিশের অসহায় অবস্থা। মজা দেখতে গঙ্গার পারে বেশ ভিড়ও জমে গেল। কিন্তু পুলিশের কবল থেকে পালিয়ে যাওয়া চোর ধরা পড়বে কী করে?
সমস্যা সমাধানে জলে ঝাঁপ দিলেন এক সাঁতারু। তবে পেশাদার নয়। চোর ধরতে ঝাঁপ বিশ্বজিৎ অধিকারী নামে এক স্থানীয় যুবকের | ততক্ষণে সময় গড়িয়েছে অনেকটাই । সাঁতার কাটতে কাটতে চোর তখন মাঝ গঙ্গায়।
আরও পড়ুন- তছনছ করে তাণ্ডব চালাতে পারে Cyclone ‘মোকা’! কন্ট্রোল রুমের নম্বরগুলি লিখে রাখুন
অতদূর সাঁতার কেটে কিছুটা দমেরও সমস্যায় পরে চোর। একদিকে দমের ঘাটতি, অন্যদিকে পুলিশের জালে ধরা পড়ার ভয় । মাঝ গঙ্গায় তখন হাবুডুবু খাচ্ছে এক ব্যক্তি, ডুবে যাওয়া ব্যক্তি উদ্ধারে তখন মাঝিদের নৌকা।
মাঝিরা অবশ্য জানে না হাবুডুবু খাওয়া ব্যক্তির আসল পরিচয় । ডুবে যাওয়া ব্যক্তিকে যেভাবে উদ্ধার করে তাঁরা ঠিক সেভাবেই উদ্ধার কার্য শুরু করেছে মাঝিদের দল, পাশাপাশি উদ্ধারকারী বিশ্বজিত বাবুও পৌঁছে যান সেখনে।
ফের মাঝ গঙ্গা থেকে পাকড়াও পলাতক অভিযুক্ত। নৌকা করে উদ্ধার করে ঘাটে অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশের কাছে তুলে দেওয়া হল চোরকে। থানায় চোর নিয়ে ফিরল পুলিশ।
রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে বালিতে। জানা গিয়েছে, বালি থানা এলাকায় বেশ কয়েকটি চুরির ঘটনায় বালি থানার পুলিশ সকালেই বালি নিমতলা থেকে লাল্টু নামে জনৈক যুবককে গ্রেফতার করে ।
আরও পড়ুন- আয়ুর্বেদিক ওষুধেই হবে মিরাকেল, এলাকায় বহু মানুষের ভরসা এখন এই চিকিৎসা
লকআপের বাইরে বসিয়ে চলছিল জিজ্ঞাসাবাদ, তারই মধ্যে বিশ্রামের সময় পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে থানা থেকে দৌড়ে পালায় লাল্টু । পুলিশের অসতর্কতার সুযোগ নিয়ে থানা থেকে পালিয়ে জিটি রোড পেরিয়ে সোজা গঙ্গার দিকে দৌড়য় লাল্টু ।
পেছনে চোর চোর চিৎকারে ধাওয়া করে পুলিশ। গঙ্গা কাছে হওয়ায় চোরকে খুব একটা পরিশ্রম করতে হয়নি। সোজা গিয়ে জলে ঝাঁপ। বালি রবীন্দ্র ভবন ঘটে গিয়ে সোজা গঙ্গায় ঝাঁপ।
এ যাত্রায় পলাতক চোর কে ধরতে পারলেও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন । হাওড়া সিটি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, সেই সময় কর্তব্যে থাকা পুলিশের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হবে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।