#বর্ধমান: এবার আর গত লোকসভা ভোটের মত দ্বিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে না বলে মন্তব্য করলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। সোমবার বর্ধমানের দেওয়ানদিঘিতে দলীয় জনসভায় মূল বক্তা ছিলেন তিনি। এক দশক আগেও বর্ধমান ছিল বামফ্রন্টের লাল দুর্গ। সেই লাল ফিকে হয়ে সবুজ হয়েছিল আগেই। গত লোকসভা নির্বাচনে সেই সবুজকে পেছনে ফেলে উড়েছে গেরুয়া আবির। বিজেপি শিবিরে চলে যাওয়া সমর্থন ফিরিয়ে আনতে তৎপর সিপিএম তথা বাম নেতৃত্ব। গত সপ্তাহে এই জেলায় একাধিক সভা করেছেন মহম্মদ সেলিম৷ রবিবার বর্ধমানের জামালপুরের পর সোমবার দেওয়ানদিঘিতে সভা করলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক।
বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন ‘‘এটা ২০১৯ সাল নয়। ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে বামপন্থীরা সাড়ে সাত শতাংশ ভোট পেয়েছিল। লোকসভায় আমরা একটা আসনও জিততে পারিনি। কংগ্রেস পেয়েছিল সাড়ে পাঁচ শতাংশ ভোট। সব মিলিয়ে তেরো শতাংশ ভোট পেয়েছিল বাম এবং কংগ্রেস। বাকি ভোটটা মূলত তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে ভাগ হয়েছিল। একে বলা হয় দ্বিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা। ভোটের মেরুকরণ ঘটেছিল। মাঝখানে আর কেউ নেই। কিন্তু এটা ২০২১ সাল। এর মধ্যে অনেক কিছু বদলে গিয়েছে। এরাজ্যেও অনেক পরিবর্তন ঘটেছে। এবার একটা তৃতীয় পক্ষ মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। তাই এবারের লড়াই দ্বিমুখী হওয়ার কোনও সুযোগ নেই। আমরা এমন একটা জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি। এবার ত্রিমুখী লড়াই হবেই। তাই বিজেপি এবং তৃণমূলের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।’’
তিনি বলেন, ‘‘বামপন্থীরা বরাবরই লড়াইয়ের ময়দানে আছে। এবার সীমানা বড় করার চেষ্টা হচ্ছে।মআপনাদের একতাকে এই শাসকরা ভয় পায়। কত মানুষকে এক করা যায় সেই চেষ্টা চালাচ্ছি আমরা। এখন বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা চলছে। কেন্দ্রে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। এ রাজ্যে ক্ষমতায় তৃণমূল। এখন যত বিরোধী শক্তি আছে সবাইকে একজোট হতে হবে। এদের আগে সরাতে হবে। তারপর আবার কংগ্রেসের সঙ্গে লড়াই হবে। কারণ কেন্দ্রে বিজেপি আর রাজ্য তৃণমূল থাকলে বড় বিপদ। সেইসঙ্গে একটা সেকুলার ফ্রন্ট তৈরি করা হচ্ছে। সেই মোর্চায় সামাজিক শক্তিগুলি রয়েছে। সংখ্যালঘু, আদিবাসীদের বিভিন্ন সংগঠন তাতে রয়েছে। মতুয়া, উচ্চবর্ণের গরিব সকলেই রয়েছেন। সবাইকে নিয়ে একটা মঞ্চ তৈরি হয়েছে। তাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। শুধু তৃণমূলকে হারালে হবে না, বিজেপিকেও দিল্লি থেকে সরাতে হবে।’’
Saradindu Ghosh