লকডাউনে বন্ধই থাক দোকান, লোকসান কমাতে এমনটাই চাইছেন মিষ্টি ব্যবসায়ীরা 

Last Updated:

বড় মিষ্টির দোকানের মালিকরা বলছেন, ছানার যোগান অনিয়মিত। কর্মীরাও কখন কে আসবেন ঠিক ঠিকানা নেই। এলেই বা তারা থাকবে কোথায়?

#বর্ধমান: লকডাউনের সময় মিষ্টির দোকান বন্ধই থাক! বলছেন বর্ধমানের বড় মিষ্টি ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলছেন, এই সময় দোকান খোলা মানে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। কর্মী কারিগরদেরও বাড়ির লোকরা কাজে আসতে দিতে চাইছেন না। বাস, ট্রেন বা অন্যান্য যান চলাচল বন্ধ। তাদের আসা যাওয়ার উপায়ও নেই। তার ওপর লাভ ক্ষতির হিসেবও করছেন ব্যবসায়ীরা। এই অবস্থায় দোকান খুললে ক্ষতির বহর আরও বাড়তে বলেই মনে করছেন তাঁরা। সব মিলিয়ে লক ডাউন চলাকালীন দোকান খুলতে রাজি নন অনেকেই। মুখ্যমন্ত্রী অনুমতি দিলেও বর্ধমানের বিখ্যাত মিষ্টির দোকানগুলো এখনও খোলেনি। তবে অনেক ছোট দোকান খুলেছিল। বিক্রি তেমন না হওয়ায় অনেকে আবার দোকান বন্ধ রাখার কথাও ভাবছেন।
বড় মিষ্টির দোকানের মালিকরা বলছেন, ছানার যোগান অনিয়মিত। কর্মীরাও কখন কে আসবেন ঠিক ঠিকানা নেই। এলেই বা তারা থাকবে কোথায়? শহরের স্বল্প পরিসরে তাদের রাখার ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হবে কি করে! তারাই যে করোনার সংক্রমণ নিয়ে আসবেন না তার নিশ্চয়তা কোথায়?
তবে এসবের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে লাভ ক্ষতির হিসেব। মালিকরা বলছেন, বড় মিষ্টির দোকানের সবারই নিজস্ব কারখানা আছে। সেখানে সারাদিন তৈরি হয় সীতাভোগ, মিহিদানা, রসগোল্লা, ল্যাংচা, রকমারি সন্দেশ, মিষ্টি দই। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কারখানা চলে। অনেকে নিজের দোকানের চাহিদা মিটিয়েও অন্যান্য দোকানে তা সাপ্লাই দেয়। কিন্তু যে পরিমান মিষ্টি তৈরি হয় তার সিকি ভাগও শুনশান দুপুরে বিক্রি হবে না। শহরের বাসিন্দারা এখন মিষ্টি কিনবেন সকাল সন্ধে বাজার থেকে ফেরার পথে। দুপুরে আলাদা করে কেউ মিষ্টি কিনতে বের হবেন না। লক ডাউনের জেরে বাইরের খদ্দেররাও নেই। তাই ক্রেতার দেখা মিলবে না ধরে নিয়েই দোকান বন্ধ রেখেছেন মিষ্টির বড় প্রতিষ্ঠানগুলি। তারা বলছেন, এমনিতেই লোকসান যা হওয়ার হয়েছে। তা আর বাড়িয়ে লাভ নেই।
advertisement
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
লকডাউনে বন্ধই থাক দোকান, লোকসান কমাতে এমনটাই চাইছেন মিষ্টি ব্যবসায়ীরা 
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement