শক্তিগড়ের ল্যাংচা কী করে আবিষ্কার হল জানেন? এর পেছনে রয়েছে রাজবাড়ির এক মজাদার গল্প!

Last Updated:

কিন্তু তার এমন অদ্ভুত নাম হল কি করে। সেই নামের পেছনে রয়েছে মজাদার এক গল্প।

#বর্ধমান: শক্তিগড়ের ল্যাংচার নাম শুনলেই জিভে জল আসে। কিন্তু তার এমন অদ্ভুত নাম হল কি করে। সেই নামের পেছনে রয়েছে মজাদার এক গল্প। চলুন শুনে নেওয়া যাক সেই কাহিনী।
নদিয়ার রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের পরিবারের এক কন্যার বিয়ে হয়েছিল বর্ধমান রাজার এক পুত্রর সঙ্গে। সময়ের ব্যবধানে মেয়েটি সন্তানসম্ভবা হয়। সব খাবারেই তার অনীহা।কিছুই তার মুখে রোচে না। তার শাশুড়ি রানিমা নানান সুখাদ্য নিয়ে আসেন। কিন্তু পুত্রবধূ কিছুই মুখে তুলতে চায় না। একদিন তিনি বৌমাকে বললেন,বলো তো মা, তোমার এখন কী খেতে ইচ্ছে করছে?বধূ চোখ নামিয়ে লজ্জিত মুখে বলল, ল্যাংচা।
advertisement
ল্যাংচা! সে আবার কী! চিন্তায় পড়লেন রানিমা জানতে চাইলেন, সে কেমন খাবার। সেই বধূ তখন লজ্জায় একশেষ। কিছুই আর বলতে চায় না। পরদিন সেই বধূ তার স্বামীকে তার জানায়,  'ল্যাংচা' কোন খাবারের নাম নয়। তবে রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের প্রাসাদে সে একটা মিষ্টি খেয়েছিল। সেই মিষ্টির নাম মনে নেই। তবে যে সেই মিষ্টি তৈরি করত তার একটা পা খোঁড়া। তার তৈরি ঘিয়ে ভাজা একটি বিশেষ মিষ্টিই খাওয়ার সাধ জেগেছে রাজার পুত্রবধূর। ছেলের কাছ থেকে সেই তথ্য জেনে মহারাজকে সেকথা জানালেন রানিমা।
advertisement
advertisement
সাধের পুত্রবধূর শখ বলে কথা! রাজার নির্দেশে তক্ষুনি এক বিশ্বস্ত কর্মচারীকে নদীয়া পাঠালেন মহারাজ। রাজার জরুরি পত্র নিয়ে ঘোড়া ছোটালেন সেই রাজ কর্মচারী।  রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের অনুমতিতে সেই খোঁড়া ময়রাকে বর্ধমানে নিয়ে  আসা হল।
বর্ধমানের মহারাজ সেই ব্যক্তিকে বর্ধমানের বড়শুল গ্রামে  ভূসম্পত্তি দান করলেন। ঘর করে দিলেন। তাঁর দোকান হল বাদশাহী সড়কের উপর শক্তিগড় গ্রামে। প্রতিদিন তার ভিয়েন থেকে একমণ করে সেই বিচিত্র মিষ্টি সরবরাহ হত বর্ধমান রাজপ্রাসাদে। ল্যাংড়া ময়রার সেই মিষ্টি ল্যাংচা নামে খ্যাতি পেল। আজ বড়শুলের কাছে দু নম্বর জাতীয় সড়কের দু ধারে ল্যাংচার দোকানের রমরমা। তার পেছনে রাজ পরিবারের অবদান কখনোই ভোলার নয়।
advertisement
Saradindu Ghosh
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
শক্তিগড়ের ল্যাংচা কী করে আবিষ্কার হল জানেন? এর পেছনে রয়েছে রাজবাড়ির এক মজাদার গল্প!
Next Article
advertisement
সাউথ ব্লক ছেড়ে নতুন ঠিকানায় প্রধানমন্ত্রীর দফতর! সেন্ট্রাল ভিস্তায় গড়ে উঠল ‘সেবাতীর্থ’ কমপ্লেক্স, অমিত শাহ বললেন 'সোনালি যাত্রাপথ'!
সাউথ ব্লক ছেড়ে নতুন ঠিকানায় প্রধানমন্ত্রীর দফতর! সেন্ট্রাল ভিস্তায় গড়ে উঠল ‘সেবাতীর্থ’
  • প্রধানমন্ত্রীর দফতর সাউথ ব্লক ছেড়ে সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের নতুন কমপ্লেক্সে যাচ্ছে.

  • সেবাতীর্থ কমপ্লেক্সে থাকবে ক্যাবিনেট সচিবালয় ও NSA অজিত ডোভালের দফতর.

  • সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের অংশ হিসেবে নতুন প্রশাসনিক পরিকাঠামো গড়ে উঠেছে.

VIEW MORE
advertisement
advertisement