হোম /খবর /দক্ষিণবঙ্গ /
বালি তোলার সময়সীমা বাড়বে? রাজ্যের কাছে জানতে চলেছে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন

বালি তোলার সময়সীমা বাড়বে? রাজ্যের কাছে জানতে চলেছে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন

সাধারণত বর্ষা আসার পরপরই বন্ধ হয়ে যায় নদীবক্ষ থেকে বালি তোলার কাজ। বিগত বছরগুলিতে দেখা গেছে ১৫ জুনের পর থেকে বালি তোলা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

  • Last Updated :
  • Share this:

#বর্ধমান: বালি তোলার সময় বাড়ানো হবে কি না রাজ্যের কাছে কাছে জানতে চাইতে চলেছে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। লকডাউনের কারণে আড়াই মাস বালি তোলার কাজ পুরোপুরি বন্ধ ছিল। তার ফলে সরকারের প্রচুর রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে। বালি না ওঠায় থমকে গিয়েছিল বিভিন্ন নির্মাণ কাজ। সামনেই বর্ষার মরশুম। সেই সময় বালি তোলার কাজ বন্ধ থাকে। এবার কবে থেকে বালি তোলার কাজ বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হবে তা জানতে রাজ্যের কাছে চিঠি পাঠাতে চলেছে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন।

সাধারণত বর্ষা আসার পরপরই বন্ধ হয়ে যায় নদীবক্ষ থেকে বালি তোলার কাজ। বিগত বছরগুলিতে দেখা গেছে ১৫ জুনের পর থেকে বালি তোলা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এবার আনলক পর্ব চালু হওয়ার পর বালি তোলার অনুমতি মিলেছে। গত কয়েক দিন ধরে বালি তোলার কাজ চললেও লকডাউনে দীর্ঘদিন তা বন্ধ  থাকায় আগামী কয়েক মাসের চাহিদা অনুযায়ী বালি তোলা যায়নি। তাই এবার বালি তোলার কাজে সময়সীমা বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বর্ষার কারণে দামোদর, অজয়ের জল বেড়ে গেলে বালি তোলা যাবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।

এই সময় যে বালি তোলা হয় তাতেই আগামী কয়েক মাসের নির্মাণ কাজ চলে। এখনও প্রয়োজন মতো বালি মজুত করা যায়নি। তাই বালি তোলা বা তা মজুত করে রাখার জন্য সময়সীমা বাড়ানো হবে কিনা তা রাজ্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরের কাছে জানতে চাওয়া হবে। সেখান থেকে যেমন নির্দেশ আসবে তা মেনে কাজ হবে।

পূর্ব বর্ধমান জেলায় দামোদরের বেশ কিছু ঘাট বালি তোলার জন্য লিজ দেওয়া হয়েছে। লকডাউনের জন্য বালি তোলা যায়নি। আবার বর্ষার কারণে আগামী কয়েক মাস বালি তোলা যাবে না। তার ফলে প্রচুর আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে  ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছে বালি ঘাটের লিজ প্রাপ্তরা। জেলা প্রশাসনের কাছে বালি তোলার সময়সীমা বাড়ানোর জন্য আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা। জেলাশাসক জানান, সাধারণত ১৫ জুনের পর বালি তোলার কাজে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়ে যায়।এবছর সেই সময়সীমা বাড়ানো হবে কিনা তা জানতে চাওয়া হচ্ছে।

SARADINDU GHOSH

Published by:Arindam Gupta
First published:

Tags: East Burdwan, Sand