#বনগাঁ: পাসপোর্ট দেখার নামে পেট্রাপোল সীমান্তে অন্তঃসত্ত্বাকে প্রায় ৬ ঘণ্টা ঠায় রোদে দাঁড় করিয়ে রাখার অভিযোগ অভিবাসন দফতরের কয়েকজন আধিকারিকের বিরুদ্ধে। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ওই মহিলা। পরিবারের দাবি, ৮ মাস আগে বালিগঞ্জের বাসিন্দা এক ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে হয় বাংলাদেশের বাসিন্দা ওই মহিলার। কয়েকমাস ভারতে কাটানোর পর স্ত্রীকে নিয়ে বাংলাদেশ গিয়েছিলেন স্বামী। অভিযোগ, ফেরার সময় পাসপোর্ট দেখার নাম করে অন্তঃসত্ত্বাকে প্রায় ৬ ঘণ্টা রোদে দাঁড় করিয়ে রাখেন কয়েকজন অভিবাসন আধিকারিক।
দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকায় মহিলার রক্তক্ষরণ শুরু হয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মহিলাকে সেখান থেকে তাঁকে বনগাঁ হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হলে নিয়ে আসা হয় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। পেট্রাপোল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন কথা বলে ওই মহিলাকে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকী ওই আধিকারিক ওই মহিলার পাসপোর্ট ইচ্ছা করে ছিঁড়ে দিয়ে ঘুষ নেওয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। ওই মহিলার স্বামী ভারতীয় হওয়ার সমস্ত পরিচয় দিলে হেনস্থার পরিমাণ একটু কমলেও, অন্তঃসত্ত্বাকে আটকে রাখা হয় ।
ওই মহিলার স্বামীর অভিযোগ টাকার জন্য ইমিগ্রেশান দফতরের আধিকারিরা সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে যে ভাবে অত্যাচার করে এর প্রতিবাদ হওয়া উচিত । শুধু তাই নয় মহিলা যাত্রীরা রেহায় পায় না ।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Harassment, Petrapol Border, Pregnat Woman