#মেমারি: মেমারি শহরে ড্রোন উড়িয়ে লকডাউন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলো পুলিশ। ড্রোন ক্যামেরায় দেখা হল আশপাশ এলাকার লক ডাউন চিত্র। নজরদারি চালালো পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ। ড্রোন থেকে শহরের বিভিন্ন বাজার এলাকা, রেল স্টেশন চত্বর, বাসস্ট্যান্ড এলাকার ওপর নজরদারি চালানো হয়। করোনা আক্রান্তের হদিস মেলায় ইতিমধ্যেই মেমারির সোমেশ্বর তলা এলাকা কনটেইনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করেছে জেলা পুলিশ। ওই এলাকার বাসিন্দাদের বাইরে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। বাইরের লোকেদের জন্য ওই এলাকায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে ওই এলাকা।
মেমারির সোমেশ্বর তলায় এলাকার এক যুবক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।ওই যুবক কলকাতার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেই সময় তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এরপর তিনি বাড়ি ফিরে এলে তিনি করোনায় আক্রান্ত বলে রিপোর্ট আসে। এর পরেই ওই এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ। এলাকার বাসিন্দাদের ঘরের বাইরে না বেরনোর জন্য আবেদন জানানো হয়। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কাউকেই এলাকার বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বাইরের এলাকার বাসিন্দারা ওই এলাকায় ঢুকতে পারবেন না বলে নির্দেশ জারি করেছে পুলিশ প্রশাসন। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জরুরি নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী সহ যাবতীয় জিনিসের প্রয়োজন হলে বাসিন্দারা পুলিশে দেওয়া নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারবেন। পুলিশ তাদের প্রয়োজনীয় জিনিস বাইরে থেকে এনে দেবে। এরই পাশাপাশি এলাকার বাসিন্দারা কেউ বাইরে বের হচ্ছেন কিনা তা বুঝতে ড্রোন উড়িয়ে নজরদারি চালানো হয়। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে নতুন করে কেউ আক্রান্ত না হলে একুশ দিন এলাকা কন্টেইনমেন্ট জোনের মধ্যে থাকবে। এই দিনগুলোতে নিয়মিত ড্রোন উড়িয়ে রাস্তায় মানুষের গতিবিধি দেখা হবে। অনাবশ্যক বাসিন্দারা জমায়েত হচ্ছেন এমন ছবি ধরা পড়লে সেখানে পৌঁছে যাবে পুলিশ প্রশাসন। বর্ধমান শহরের সুভাষ পল্লী খন্ডঘোষের বাদুলিয়াতেও ড্রোনের সাহায্যে নজরদারি চালানো হয়।
Saradindu Ghosh