বাপরে! গৃহস্থের বাড়িতে ওটা কে? বর্ধমানে আমজনতার হাড়হিম

Last Updated:

সাপেরা এই সময়ে লম্বা শীত ঘুমেই থাকে বলে জানতেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু বন দফতরের গত কয়েক বছরের তথ্য বলছে সারা বছরের সঙ্গে শীতের সময়েও সমানতালে গৃহস্থের বাড়ি কিংবা রাইস মিল, কারখানা প্রভৃতি জায়গা থেকে প্রচুর পরিমাণে উদ্ধার হচ্ছে বিষধর গোখরো, চন্দ্রবোড়া, এমনকি কেউটেও।

#বর্ধমান: বিরল প্রজাতির বিষধর কেউটে উদ্ধার হল বর্ধমানে।বর্ধমান শহরের বিজয়রাম হরিনারায়ণপুর কুঁড়েপাড়া এলাকার বাসিন্দা রাকেশ দাসের বাড়ি থেকে বন দফতরের উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা উদ্ধার করল বিরল প্রজাতির সাদা কেউটে। এই ধরনের বিরল প্রজাতির ভয়ংকর বিষধর সাপের হদিশ মেলায় বন দফতরের কর্মীরাও আশ্চর্য হয়ে পড়েছেন।
জানা গেছে, এই মনোক্লেড কোবরা কিছুটা ও আকৃতির বা মনোসেলেট হুড প্যাটার্নের হয়। এই প্রজাতির সাপেদের বয়স কম থাকার সময় বিভিন্ন রঙের হয়। এমনকি এদের জন্মের পরও একাধিক রংয়ের হয়। তবে বয়সের সাথে সাথে হালকা হয়ে যায়।  সাধারণত সব সাদা রঙের হয়ে যায়। প্রাপ্তবয়স্ক একটি কেউটে ৪.৫ থেকে ৭.৫ ফুট দৈর্ঘ্যে পৌঁছায়। তবে এর থেকেও অনেক বড় নমুনাও রেকর্ড করা হয়েছে কিন্তু তারা বিরল। বর্ধমান শহরের মধ্যে জনবসতি পূর্ণ এলাকায় কীভাবে সাদা মনোক্লেড কোবরা প্রজাতির সাপ উদ্ধার হল, তাও আবার খোদ গৃহস্থের বাড়ি থেকে এই বিষয়টি রীতিমত ভাবাচ্ছে পরিবেশবিদ ও বন দফতরের আধিকারিকদের।
advertisement
advertisement
পরিবেশবিদরা বলছেন, মানুষ বন্যপ্রাণী থেকে শুরু করে পরিবেশে বসবাসকারী বিভিন্ন সরীসৃপদের স্বাভাবিক বাসযোগ্য জায়গাগুলিতে দখলদারি চালাচ্ছে। ফলে নিশ্চিন্তে ওইসব প্রাণীরা নিজেদের স্বভাব অনুযায়ী থাকার নিশ্চয়তা পাচ্ছে না। অন্যদিকে ইঁদুরের গর্তেই সাপেরা বাসা বাঁধে। এদিকে ইঁদুররাই কার্যত সুরক্ষিত নয়, আর তাই তারাও গৃহস্থের বাড়িতেই বাসা বাঁধছে। বাড়ছে ইঁদুরের উপদ্রব। স্বাভাবিকভাবেই ঝোপ, জঙ্গল ছেড়ে এইসব বিষধররা নিরুপায় হয়ে জনবসতির মধ্যে নিশ্চিন্তে থাকার জায়গা খুঁজতে চলে আসছে। এরই মধ্যে যে বিষয়টি লক্ষ্য করার মতো সেটা হলো বন দফতরের লাগাতার প্রচার ও প্রয়াসে সাধারণ মানুষ আগের থেকে অনেক বেশি বন্যপ্রাণ নিয়ে সচেতন, সতর্ক হয়েছেন। আর তার ফলেই এই সব প্রাণীরা লোকচক্ষুর সামনে আসলেই খবর পাচ্ছে বনদপ্তর। আর বনদপ্তর সর্বাঙ্গীন ভাবে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে সহযোগিতার দায়িত্ব পালন করে চলেছে।
advertisement
সাপেরা এই সময়ে লম্বা শীত ঘুমেই থাকে বলে জানতেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু বন দফতরের গত কয়েক বছরের তথ্য বলছে সারা বছরের সঙ্গে শীতের সময়েও সমানতালে গৃহস্থের বাড়ি কিংবা রাইস মিল, কারখানা প্রভৃতি জায়গা থেকে প্রচুর পরিমাণে উদ্ধার হচ্ছে বিষধর গোখরো, চন্দ্রবোড়া, এমনকি কেউটেও।
Click here to add News18 as your preferred news source on Google.
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে  ক্লিক করুন এখানে ৷ 
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
বাপরে! গৃহস্থের বাড়িতে ওটা কে? বর্ধমানে আমজনতার হাড়হিম
Next Article
advertisement
MGNREGA: মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! কোটি কোটি কৃষক শ্রমিকদের স্বার্থে আঘাত, কেন্দ্রের নয়া ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
  • মনরেগা প্রকল্পের নাম বদল নিয়ে এবার মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব সোনিয়া গান্ধি

  • কংগ্রেসে নেত্রীর দাবি, মনরেগা প্রকল্পকে কার্যত ধ্বংস করে দিল বিজেপি

  • প্রকল্পকে বদলের আইনকে ‘কালো আইন (ব্ল্যাক ল)’ বলে উল্লেখ্য সোনিয়ার৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement