#বর্ধমান: সোশ্যাল মিডিয়ায় নম্বর দিয়েই দায় শেষ! অ্যাডমিট কার্ড ছাড়াই হয়ে গেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা৷ এমন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ,শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় নম্বর পাঠিয়ে নিয়ে নেওয়া হল গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা। পিএইচডি এবং এমফিলের পরীক্ষা( কোর্স ওয়ার্ক) হয়েছে এডমিট কার্ড ছাড়াই।
পরীক্ষার্থী ছিলেন কয়েকশো জন! সচিত্র এডমিট কার্ডে এই কোর্স ওয়ার্ক হওয়ার কথা। অথচ পরীক্ষার মাত্র দুদিন আগে হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে একটি করে নম্বর পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এডমিট কার্ড বদলে সেই নম্বর দেখেই পরীক্ষা নিয়ে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন Siliguri News : প্রথম মহিলা টোটো চালক আশার আলো দেখাচ্ছেন নকশালবাড়ির আরও মহিলাদের
এর মধ্য দিয়েই অস্বচ্ছতা ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে। একদিনও ক্লাস না করেই অনেকে পিএইচডি তকমা পেয়ে গিয়েছে এমনও অভিযোগ উঠেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিমাই চন্দ্র সাহা বলেন, আজ এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকে এই বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ঠিক কী ঘটেছে তা তদন্ত করে দেখবে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। তবে একদিনও ক্লাস না করে পিএইচডি ডিগ্রি পেয়ে গিয়েছে - এমন অভিযোগ আগে শুনিনি। খোঁজ নিয়ে দেখা হবে। অভিযোগ সত্য হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর স্তরে প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষা হয়েছে ২ বছর আগে। ফলও প্রকাশিত হয়েছে নির্দিষ্ট সময়ে। তা সত্ত্বেও মার্কশিট পায়নি ছাত্রীছাত্রীরা।একই অবস্থা দ্বিতীয়,তৃতীয় সেমিষ্টারের ক্ষেত্রেও। প্রশ্ন উঠেছে,কেন ছাত্র ছাত্রীরা নির্দিষ্ট সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পরেও মার্কশিট হাতে পেল না? এই নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সোশাল মিডিয়া সহ বিভিন্ন মাধ্যমে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে বিরোধীরা।একই অভিযোগে সরব হয়েছেন বিজেপি বর্ধমান জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র ও ভারতের ছাত্র ফেডারেশন পূর্ববর্ধমান জেলা কমিটির সম্পাদক অনির্বাণ রায় চৌধুরী।
পাশাপাশি ঘুরপথে এর ফলে ছাত্র ছাত্রীদের ভুগতে হচ্ছে এই অভিযোগ তুলে এর সঙ্গে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খন্দেকর।
যদিও বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিমাই সাহা জানিয়েছেন,সমস্ত নিয়ম মেনেই ট্রেন্ডার হয়।গ্লোবাল টেন্ডারের মাধ্যমেই তা হয়েছে।সমস্ত নিয়ম মেনে আলোচনা করে চুক্তি করা হয়। ৫ বছরের জন্য চুক্তি করা হয়। পড়ুয়াদের কাছে সামান্য টাকা নিয়ে এটা হবে।পিজি থেকে ইউজি সবেতেই হবে।কাজ করলে টাকা পাবে প্রতি বছরের ভিত্তিতে। মার্কশিট সরস্বতী প্রেস থেকেই হয়। ছাত্র ছাত্রীদের ড্যাশবোর্ড দেওয়া হবে।সবার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।