#বর্ধমান: বিধ্বংসী ঝড় আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অনেকেই। কারও বিঘের পর বিঘে জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। কারও আবার উড়ে গিয়েছে মাথা গোঁজার ঠাঁই। অনেকেই সেই ক্ষতি এখনও সামাল দিয়ে উঠতে পারেননি। অনেকে আমফানের সরকারি ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন। অনেকের কপালে আবার সেটুকুও জোটেনি। তেমনই পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের আমফানের ক্ষতিগ্রস্তরা টাকা না পেয়ে বিডিও অফিসের দ্বারস্থ হলেন। অবিলম্বে ক্ষতিপূরণের টাকার আর্জি জানিয়ে ব্লক আধিকারিকের কাছে স্মারক লিপি জমা দিলেন তাঁরা।
পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার ব্লকের মহাচান্দা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত পারহাট গ্রামের বেশ কিছু বাসিন্দা ভাতার ব্লক আধিকারিকের কাছে যান তাদের অভিযোগ, যারা প্রকৃতপক্ষে আমফানের ক্ষতিগ্রস্ত তারা এখনও পর্যন্ত কোনও সাহায্য পায়নি। অথচ যাদের দোতলা পাকা বাড়ি আছে তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আমফানের ক্ষতিপূরণের টাকা ঢুকে গিয়েছে। এটা কিভাবে হল তা অবিলম্বে প্রশাসন খতিয়ে দেখুক।
পারহাট গ্রামের বাসিন্দা শান্তিরাম ঘোষ ,সন্ধ্যারানি মাঝি, বিকাশ মাঝিরা জানান, 'আমফানের ক্ষতিপূরণ দেওয়া নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে। স্থানীয় কিছু নেতা নিজেদের পেটোয়া লোকদের টাকা পাইয়ে দিচ্ছেন। শাসকদলের নেতা কর্মীরা আমফানের ক্ষতিপূরণ পেয়ে যাচ্ছে। অথচ আমরা দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েও সরকারের তরফে কোনও আর্থিক সাহায্য বা সরকারি ক্ষতিপূরণের টাকা পাইনি। আজ আমরা স্মারকলিপি দিলাম।' ভাতার ব্লক আধিকারিক বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।
আমফানের ক্ষতিপূরণ নিয়ে রাজনৈতিক তরজা চলছিলই। ভাতারের এই ঘটনা তাতে আলাদা মাত্রা যোগ করেছে। জেলা বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, জেলা প্রশাসন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উপযুক্ত খোঁজখবর না নিয়ে শাসক দলের নেতাদের কথায় আমফানের ক্ষতিপূরণ দিয়েছে। তাই কোনওরকম ক্ষতি না হলেও দুই তলা বাড়ির মালিকরা ঘর তৈরি টাকা পাচ্ছেন। অথচ যেসব প্রকৃত দরিদ্র বাসিন্দা ঝড়ে ঘরের চাল খুইয়েছেন তারা মাথা গোঁজার ত্রিপলটুকুও পাচ্ছেন না। অনেকেই অন্যের আশ্রয়ে দিন কাটাচ্ছেন। এই ঘটনার বিস্তারিত তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তারা।
অন্যদিকে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ব জানিয়েছে, শুধুমাত্র রাজনীতি করার জন্য বিজেপির পক্ষ থেকে এমন অভিযোগ তোলা হচ্ছে। দল বা রাজনৈতিক রঙ না দেখে প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দার হাতে ক্ষতিপূরণ পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে রাজ্য সরকার। কিছু ব্যক্তি হয়ত বাদ থেকে গিয়েছেন। তাঁরাও যাতে সরকারি সুবিধা পান সে ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের কাছে আর্জি জানানো হবে।
SARADINDU GHOSH
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।