রাজ্যে বর্ষাকালীন পেঁয়াজ চাষে কী লাভ হচ্ছে ? দেখে নিন

Last Updated:

এ রাজ্যের কয়েকটি জেলায় শীতকালীন পেঁয়াজ চাষ হলেও বর্ষাকালীন পেঁয়াজ চাষের রেওয়াজ তেমন ছিল না ।

#পুরুলিয়া:  এ রাজ্যের কয়েকটি জেলায় শীতকালীন পেঁয়াজ চাষ হলেও বর্ষাকালীন পেঁয়াজ চাষের রেওয়াজ তেমন ছিল না । সব মিলিয়ে এ রাজ্যে যেটুকু পেঁয়াজ উৎপাদন হয় তা রাজ্যের মানুষের চাহিদার খুব সামান্য অংশই পূরণ করে । ফলে বছরের বেশিরভাগ সময় এ রাজ্যের অধিকাংশ মানুষকে পেঁয়াজের জন্য তাকিয়ে থাকতে হয় নাসিক ও বিহারের দিকে । স্বাভাবিক ভাবেই অন্য রাজ্য থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ মাঝে মধ্যেই দুর্মূল্য হয়ে ওঠে । এবার এই পরিস্থিতিটাই বদলাতে চলেছে । রাজ্যের খরাপীড়িত বাঁকুড়া , পুরুলিয়া ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাগুলিতে শুরু হয়েছে ব্যাপক হারে বর্ষাকালীন পেঁয়াজ চাষ । এই চাষের জন্য প্রয়োজনীয় বীজের জন্যেও আর নাসিকের দিকে তাকিয়ে থাকার প্রয়োজন নেই । উদ্যান পালন দফতরের উদ্যোগে বাঁকুড়ার তালডাংরা ফার্মে সফল ভাবে চাষ হচ্ছে পেঁয়াজ বীজের ।
এতদিন পর্যন্ত রাজ্যের প্রধানত সেচ সেবিত জেলা গুলিতে সুখসাগর প্রজাতির শীতকালীন পেঁয়াজ চাষ করা হত । এপ্রিলের গোড়ার দিকে ওঠা এই পেঁয়াজের উৎপাদন চাহিদার তুলনায় এতটাই কম হত যে কয়েকমাস যেতে না যেতেই তা শেষ হয়ে যেত । এরপর বছরের প্রায় আট মাস ধরে এরাজ্যের বাজারে একছত্র আধিপত্য থাকত নাসিক থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের ।
advertisement
নাসিক থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম সেখানের ব্যবসায়ীরা নির্ধারণ করায় ও পরিবহণ খরচ অনেক বেশি পড়ায় মাঝে মধ্যেই পেঁয়াজের দাম মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যেত । পেঁয়াজের বাজারে নাসিকের এই একাধিপত্য ঠেকাতে বাঁকুড়া পুরুলিয়া ও পশ্চিম মেদিনীপুরের অসেচসেবিত এলাকায় বর্ষাকালীন পেঁয়াজ চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয় । দেখা যায় শীত কালীন পেঁয়াজ বাজারে শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বর্ষা কালীন পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করায় সারা বছরই বাজারে পেঁয়াজের দাম কম থাকছে । এরপরই ওই তিন জেলায় ব্যপক হারে বর্ষা কালীন পেঁয়াজ চাষের উদ্যোগ নেয় রাজ্যের উদ্যান পালন দফতর । কিন্তু সমস্যা দেখা দেয় বর্ষাকালীন পেঁয়াজের বীজ নিয়ে । কারন এতদিন পর্যন্ত বর্ষাকালীন পেঁয়াজের মধ্যে সব থেকে জনপ্রিয় এগ্রি ফাউন্ড ডার্ক রেড প্রজাতির বীজ এ রাজ্যে উৎপাদন হত না । নাসিক থেকে প্রতি বছর ২ হাজার থেকে ২৬০০ টাকা কিলো দরে ওই পেঁয়াজ বীজ সংগ্রহ করতে হত চাষীদের । বীজের পিছনেই মোটা অঙ্কের টাকা চলে যাওয়ায় বর্ষা কালীন পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ দেখাতেন না অনেক চাষী । এরপরই উদ্যান পালন দফতরের উদ্যোগে এগ্রি ফাউন্ড ডার্ক রেড প্রজাতির পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনের পরীক্ষা মূলক উৎপাদন শুরু করে উদ্যান পালন দফতর ।
advertisement
advertisement
গত বছর বাঁকুড়ার তালডাংরা ফার্মে পরীক্ষামূলক ভাবে পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনের পর চলতি বছর তা ব্যাপক হারে চাষ করা হয় । কৃষি বিজ্ঞানীদের ধারণা চলতি বছর এই ফার্মেই পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনের পরিমাণ সাত কুইন্টাল ছাড়িয়ে যাবে । সরকারিভাবে উৎপাদিত এই বীজ পেঁয়াজ চাষিদের কাছে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রিও করা হবে বলে জানিয়েছেন উদ্যান পালন দফতরের আধিকারিকরা । সেক্ষেত্রে চলতি বছর বর্ষাকালীন পেঁয়াজ চাষে চাষীরা নতুন করে উৎসাহ পাবে । পেঁয়াজ চাষ বৃদ্ধি পেলেই স্বাভাবিক ভাবেই সামনের মরশুম থেকে এ রাজ্যে পেঁয়াজের অস্বাভাবিক মুল্য বৃদ্ধি অনেকটাই রোধ করা যাবে বলে ধারণা কৃষি বিজ্ঞানী ও উদ্যান পালন দফতরের আধিকারিকদের ।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
রাজ্যে বর্ষাকালীন পেঁয়াজ চাষে কী লাভ হচ্ছে ? দেখে নিন
Next Article
advertisement
‘লোকের দু’টো বউ থাকতে পারে, আমার বান্ধবী থাকতে পারে না...? অর্পিতাকে নিয়ে এবার মুখ খুললেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়
‘লোকের দু’টো বউ থাকতে পারে, আমার বান্ধবী থাকতে পারে না..? অর্পিতা ইস্যুতে মুখ খুললেন পার্থ
  • ‘অর্পিতা আমার বান্ধবী, তাতে অসুবিধার কী আছে...?’

  • অর্পিতা নিয়ে এবার মুখ খুললেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়

  • অর্পিতাকে নিয়ে ‘রং চড়িয়ে’ সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে বলে দাবি

VIEW MORE
advertisement
advertisement