#হলদিয়া: একজনের পরনে হাল আমলের হলুদ রঙের মোদী জ্যাকেট। আর একজনের পরনে নীল মোদি জ্যাকেট। নেট নাগরিকদের হাসি বলছে ছেড়ে আসা সদ্য দলের নীল-সাদা রঙ ভুলতে পারেননি। জুটি'তে লুটির মতো তৃণমূলের দুই প্রাক্তন হেভিওয়েট হলদিয়ার মঞ্চে আর্কষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে রইলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সামনে। নরেন্দ্র মোদির হেলিকপ্টার যখন হলদিয়ার হেলিপ্যাড গ্রাউন্ড ছুঁল তখন মঞ্চ থেকে নেমে অপেক্ষা করছিলেন দু'জনে। প্রধানমন্ত্রীর সাথেই উঠলেন মঞ্চে। আর সেখানেই কৈলাশ বিজয়বর্গী আলাপ করিয়ে দিলেন সদ্য প্রাক্তন মন্ত্রী, তৃণমূল ছেড়ে আসা নেতা, যার বিরুদ্ধে দূর্নীতির তদন্ত শুরু করতে চায় তার সদ্য প্রাক্তন দল, সেই রাজীব বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে।
দুই হেভিওয়েট নব্য বিজেপি নেতার চার হাত, প্রধানমন্ত্রীর পদ যুগল স্পর্শ করতেই রাজীব-শুভেন্দুকে বুকে টেনে নেন প্রধানমন্ত্রী। এই তিনজনকে ঘিরে দাঁড়িয়ে তখন দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, কৈলাশ বিজয়বর্গী, রাহুল সিনহা'র মতো বিজেপি নেতারা। এর আগে অবশ্য ২৬ জানুয়ারি শুভেন্দুর সঙ্গে ছোটিসি মুলাকাত হয়েছিল নরেন্দ্র মোদির। সেখানে শুভেন্দুর ডান কাঁধে ভরসার হাত রেখেছিলেন তিনি। জানিয়ে দিয়ে গিয়েছিলেন, শুভেন্দুর কাজের প্রশংসা তিনি আগে আগে থেকেই শুনেছেন। তার ব্যাপারে সমস্ত খোঁজ খবর তিনি রাখেন। এখনও প্রতিদিন খবর রাখেন।
তবে নীল-সাদা পাঞ্জাবি-জ্যাকেটের রাজীব বন্দোপাধ্যায়ের সাথে এদিন প্রথমবার মুখোমুখি সাক্ষাৎ হল। সেখানেও রাজীব বন্দোপাধ্যায়ের কাজের ভূয়সী প্রশংসা শোনা গেছে প্রধানমন্ত্রীর গলায়। তবে দু'জনকেই পাশাপাশি দেখে আরও একবার মনে করিয়ে দিয়েছেন, বাংলা তার চাই। তার জন্যে প্রতিদিন কাজ করে যেতে হবে। তিনি ভরসা রাখেন, রাজীব-শুভেন্দুর ওপরে। সেকথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তিনি। হলদিয়ার অল্প সাক্ষাতে মোদী বুঝিয়ে দিয়েছেন রাজীব-শুভেন্দু বাংলার ভোটে হতে চলেছেন তাঁর সেনাপতি।যদিও প্রকাশ্যে এ নিয়ে মুখ খোলেননি কেউ।
তবে রাজীব বন্দোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা গিয়েছে নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন, "তোমরা আমাদের সাথে এসেছো জেনে ভালো লাগছে৷ ভালো করে কাজ করতে হবে। চিন্তা করো না সব মিটে যাবে। আমি সব খবর রাখি। বাংলা আমাদের হবেই। তোমাদের এই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।"
হলদিয়ার ভিড় দেখে প্রশংসা করেছেন শুভেন্দুর সাংগঠনিক দক্ষতার৷ চিরাচরিত টানে শুভেন্দু অধিকারীকে বলে গেছেন, "এতো মানুষ দেখে ভালো লাগছে। ভালো করে কাজ করতে হবে। তোমার সাথে আবার দেখা হবে।" তবে এদিন প্রধানমন্ত্রীর কাছে হিংসা মুক্ত, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চেয়েছেন শুভেন্দু। তবে এই দুই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব রাজনীতির মঞ্চে মোদীর সাথে আগ্রহ বাড়ালেও, আর একজনকে নিয়ে হলদিয়ায় আজ আগ্রহ ছিল। তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। যদিও তিনি বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সাথে সরকারি সভা মঞ্চে। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী দিব্যেন্দু অধিকারীকে জানিয়েছেন, "ভালো করে কাজ করো।"।