West Bardhaman News: দুর্গাপুরে 'প্রাকৃতিক মিনারেল ওয়াটারের' অফুরন্ত ভাণ্ডার! রামসায়ের ঝর্নার জল বিক্রিও করছেন অনেকে, আয়ের অঙ্ক চমকে দিতে পারে

Last Updated:

West Bardhaman News: ওই ঝর্ণার পরিশুদ্ধ ও সুস্বাদু পানীয় জল কেবল জীবনধারণের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে না। ওই জল বিক্রি করে মহিলা পুরুষ সহ শতাধিক মানুষ জীবন-জীবিকা নির্বাহ করছেন।

+
গ্রামবাসীরা

গ্রামবাসীরা রামসায়ের ঝর্ণার জল নিয়ে যাচ্ছেন

দুর্গাপুর, দীপিকা সরকারঃ মেশিনে পরিশুদ্ধ করা বোতলবন্দি কোনও মিনারেল ওয়াটার বা পাইপলাইনে সরবরাহ করা সরকারি কোনও পরিশুদ্ধ জল নয়। দুর্গাপুর খনি অঞ্চলে যুগ যুগ ধরে ঝর্নার জলই মানুষের মধ্যে জনপ্রিয়। ওই ঝর্নার পরিশুদ্ধ ও সুস্বাদু পানীয় জল কেবল জীবনধারণের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে না। ওই জল বিক্রি করে মহিলা পুরুষ সহ শতাধিক মানুষ জীবিকা নির্বাহ করছেন। দিন দিন ওই জলের জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে বলে দাবি এলাকাবাসী সহ বিক্রেতাদের।
প্রতিদিন ওই জল বিক্রি করে ২০০-৬০০ টাকা রোজকার করেন এলাকার মহিলা সহ পুরুষরা। বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষ পানীয় জল হিসেবে পাইপলাইনের জল কিংবা বাজার থেকে কেনা ছোট বড় কোম্পানির বোতলবন্দি মিনারেল জল ব্যবহার করেন। কিন্তু দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা সহ দুর্গাপুর শহরে এর ঠিক উল্টো ছবি দেখা যায়।
আরও পড়ুনঃ বিঘার পর বিঘা ধান জমিতে পোকার হানা, বর্ধমানে ধান চাষে চরম ক্ষতি! কৃষি দফতরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন চাষিরা
এই ব্লকের সরপি গ্রামে রয়েছে রামসায়ের ঝর্নার জল। সংশ্লিষ্ট এলাকা সহ আশেপাশের এলাকার সিংহভাগ মানুষ পানীয় জল হিসেবে দীর্ঘকাল ধরে এই জল স্বাচ্ছ্যন্দে ব্যবহার করে আসছেন। ওই এলাকায় একসময় ছিল লাল মোরাম ও পাথরের বিশাল মালভূমি। ওই মালভূমির ঝর্নার জল এলাকার রামসায়ের জলাশয়ের কাছে বয়ে আসত। এলাকাবাসী গর্ত খুঁড়ে জল বের করে ওই জল পানীয় জল হিসাবে ব্যবহার করতেন। শতাধিক বছর ধরে মোরাম ও পাথর কেটে বিক্রি করে ফেলায় মালভূমি সমতলের আকার নিয়েছে। ঝর্নার রূপও নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে।
advertisement
advertisement
এতকিছুর পরেও এলাকাবাসী যাতে ওই জলের পরিষেবা পায়, সেই জন্য জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ২০০৬ সালে ওই এলাকার জলের উৎসমুখগুলিতে বড় বড় আন্ডারগ্রাউন্ড রিজার্ভার তৈরি করে দেওয়া হয়। বিজ্ঞানের ভাষায় এটি আর্টেজিয় কূপ নামে পরিচিত। বিশেষজ্ঞদের দাবি, আর্টেজিয় কূপের জল নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর। এতে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফ্লোরাইড খনিজ পদার্থ থাকে। ওই রিজার্ভারে জল সঞ্চিত হয়ে উপচে একটি পাইপের মাধ্যমে পাশের একটি রিজার্ভারে পৌঁছয়। ওই রিজার্ভারের জল উপচে আবার একটি পাইপ দিয়ে বয়ে যায়। সেখান থেকে এলাকাবাসী জল সংগ্রহ করেন।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
দিনরাত প্রাকৃতিকভাবে ওই জল বয়ে যেতে থাকে। এলাকার বহু মানুষ এই জল গ্যালন বন্দি করে টাকার বিনিময়ে দূরদূরান্তে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেন। সারাদিন বাড়ি বাড়ি জল পৌঁছে ২০০-৬০০ টাকা রোজগার করেন অনেকে। এলাকায় বিয়েবাড়ি এবং অনুষ্ঠান বাড়িতে বোতলের জলের পরিবর্তে পানীয় জল হিসেবে তাঁরা রামসায়েরের জলই ব্যবহার করেন।এই জল যাতে আরও বেশি মানুষ ব্যবহার করতে পারেন তার জন্য পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
West Bardhaman News: দুর্গাপুরে 'প্রাকৃতিক মিনারেল ওয়াটারের' অফুরন্ত ভাণ্ডার! রামসায়ের ঝর্নার জল বিক্রিও করছেন অনেকে, আয়ের অঙ্ক চমকে দিতে পারে
Next Article
advertisement
Bidhannagar Rail Station: এক মৃত্যু দেখতে গিয়ে আর এক মৃত্যু! কয়েক মুহূর্তের ব্যবধানে বিধাননগর স্টেশনে জোড়া দুর্ঘটনা
এক মৃত্যু দেখতে গিয়ে আর এক মৃত্যু! কয়েক মিনিটের ব্যবধানে বিধাননগর স্টেশনে জোড়া দুর্ঘটনা
  • বিধাননগর স্টেশনে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা৷

  • ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু যাত্রীর৷

  • কী হয়েছে দেখতে গিয়ে মৃত আরও ১৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement