#বড়ঞা: প্রায় দুশো বছরের প্রাচীন এই পুজোর আয়োজন করে থাকেন সাবলপুর অগ্নিবীণা ক্লাব। এই পুজোর পেছনে এক অদ্ভুত ইতিহাস আছে বলে জানালেন উদ্যোক্তারা। এক সময় এই গ্রামে একের পর এক বাড়িতে হঠাৎই আগুন লেগে যেত। সেই আগুনে পুড়ে মৃত্যুও হয়েছে বহু মানুষের। এই অভিশাপের হাত থেকে রক্ষা পেতে শুরু হয়েছিল প্রজাপতি ব্রহ্মার পুজো, যা আজও চলে আসছে। আরও বিস্তারিত ভাবে বলতে গেলে সময়টা ছিল আজ থেকে প্রায় দুশো বছর আগে। সে সময় প্রায়দিন গ্রামে আগুন লাগার ঘটনা ঘটতেই থাকত। আগুনে পুড়ে নষ্ট হত বাড়ির খড়ের চাল। মারা যেত মানুষ, গবাদি পশু। ভয়াবহ এই আগুনের হাত থেকে গ্রামকে বাঁচাতে এক সন্ন্যাসীর শরণাপন্ন হয়েছিলেন গ্রামবাসীরা।
কথিত আছে, সেই পরিব্রাজক সন্ন্যাসী বলেছিলেন, প্রজাপতি ব্রহ্মার পুজো দিলে আর আগুনে ক্ষতি হবে না কোনও গ্রামবাসীর। ওনার আদেশ মতো আজও মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানার সাবলপুর গ্রামে প্রতি বছর মহা ধুমধাম করে প্রজাপতি ব্রহ্মার পুজো করা হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। গত দু'বছর কোভিড মহামারির কারণে অনাড়ম্বর ভাবেই পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু এবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে ব্রহ্মা পুজো, মেলা ও নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এ বার জাঁকজমকের সঙ্গে পুজো করতে পেরে খুশি গ্রামবাসীরা।
কেন আগুন লেগে যেত এই গ্রামে?
যুক্তিবাদীরা বলছেন, প্রচন্ড গরমের কারণেই খড়ের চালে আগুল লাগার ঘটনা ঘটত। তবে গ্রামবাসিদের দাবি, এই পুজোর পর থেকে তাঁরা আগুনের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন। তাই গ্রামে নিয়ম ও নিষ্ঠার সাথে এই পূজার আয়োজন করা হয়। আগে ছোট একটি মাটির মন্দির থাকলেও বর্তমানে স্থায়ী মন্দির নির্মাণ করা হয়েছে। এখানেই পুজোর আয়োজন করা হয়ে থাকে। পূজো উপলক্ষে বিশেষ হোমযজ্ঞের আয়োজন করা হয়। বহু দুর থেকে মানুষ আসেন পুজো দেখতে। আপাতত এই পুজো উপলক্ষে মেতে উঠেছেন গ্রামের বাসিন্দারা।
কৌশিক অধিকারী
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Murshidabad