#সিঙ্গুর: দলে থাকতে যাঁর সঙ্গে বনিবনা ছিল না, সেই বেচারাম মান্নার বিরুদ্ধেই লড়তে হবে তাঁকে। তৃণমূল তাঁকে প্রার্থী করেনি। এমনকী তাঁর পছন্দের প্রার্থীকেও টিকিট দেয়নি। তাই অভিমানে দল ছেড়েছিলেন সিঙ্গুরের মাস্টারমশাই রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। নব্বই ছুঁইছুঁই বয়সে বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নিয়েছিলেন। তার পুরষ্কারও পেয়েছেন তিনি। তৃণমূল ছেড়ে আসার ছদিনের মাথায় বিজেপি তাঁকে প্রার্থী করেছে। কিন্তু তাঁকে সেই সিঙ্গুর থেকেই দাঁড় করাল বিজেপি। ফলে সেই বেচারাম মান্নার বিরুদ্ধেই তাঁকে লড়তে হবে। সিঙ্গুরের মাস্টারমশাই প্রার্থী হতেই সিঙ্গুরের বিজেপি সমর্থকরা ক্ষোভ ফেটে পড়েন। তাঁকে সিঙ্গুরের প্রার্থী হিসাবে মানতে নারাজ বিজেপি কর্মীরা। গো ব্যাক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য স্লোগান ওঠে এদিন। বিজেপি কর্মীরা রাস্তায় নেমে দলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন। বিজেপি কর্মীদের বিক্ষোভ সামলাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সিঙ্গুর থানার পুলিস। কেন বিক্ষোভ! বিজেপি কর্মীদের বক্তব্য, মাত্র ছদিন আগে এসে দলে যোগ দেওয়া কাউকে প্রার্থী করলে দলের সিদ্ধান্ত তাঁরা মানবেন না। এতদিন ধরে সিঙ্গুরে যাঁরা বিজেপির পতাকা হাতে লড়াই করছেন তাঁদের কথা দলের ভাবা উচিত ছিল। রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য এদিন বলেছেন, আমার সিম্বল বদলেছে। তবে আদর্শ, সত্ত্বা বদলায়নি। আমার লড়াই মানুষের জন্য। আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল তৃণমূল। তাই আমি বিজেপিতে এসেছি। মানুষের ভাল হয় যাতে সেটাই আমি করব। প্রসঙ্গত, তৃণমূলের বেচারাম মান্নার সাংগঠনিক দক্ষতা সর্বজনবিদীত। অন্যদিকে, স্বচ্ছ ভাবমূর্তির জন্য সিঙ্গুরের মানুষের বিশ্বাস অর্জন করেছেন মাস্টারমশাই। তবে সিঙ্গুর লড়াই দেখে পরিণত হওয়া জায়গা। সেখানে পদ্মকুঁড়ি ফোটাতে কি পারবেন রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য! এই প্রশ্নের উত্তর সময়ই দেবে।
Published by:Suman Majumder
First published:
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।