East Bardhaman News: মোবাইল ছেড়ে পড়ুয়াদের হাতে মাটি-জল! কাটোয়ায় দাদাদের উৎসাহে মাটির প্রদীপ তৈরিতে মগ্ন খুদেরা, দীপাবলির আগে হু হু করে বিক্রি

Last Updated:

East Bardhaman News: কালীপুজোকে সামনে রেখে গ্রামের খুদে পড়ুয়াদের হাতেই তৈরি হচ্ছে মাটির প্রদীপ। দাদাদের কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে ভালোবেসে প্রদীপ তৈরি করছে ছোট ছোট পড়ুয়ারা। কাটোয়ায় মন ভাল করা উদ্যোগ।

+
স্কুল

স্কুল পড়ুয়ারা মাটির প্রদীপ বানাচ্ছে

কাটোয়া, বনোয়ারীলাল চৌধুরীঃ একসময় কালীপুজোর রাতে মাটির প্রদীপের আলোয় আলোকিত হয়ে উঠত শহর থেকে শুরু করে গ্রামের প্রতিটি ঘরবাড়ি। বছরখানেক আগেও এই স্বদেশি প্রদীপের চাহিদা ছিল চোখে পড়ার মতো। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সেই ছবিটা অনেকটা বদলেছে। মাটির প্রদীপের জায়গা দখল করেছে রঙিন বৈদ্যুতিক আলো। এখন আবার বাজারে সহজলভ্য হয়ে উঠেছে প্লাস্টিকের তৈরি বৈদ্যুতিক প্রদীপও। ফলে ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে বসেছে ঐতিহ্যের সেই মাটির প্রদীপ। তবুও এসবের মাঝে কাটোয়া ১ নম্বর ব্লকের কোশিগ্রামের গড়াইপাড়ায় দেখা গেল এক ভিন্ন দৃশ্য।
এখানে নতুন প্রজন্মের হাতে আবারও ফিরে এসেছে পুরনো ঐতিহ্য। কালীপুজোকে সামনে রেখে গ্রামের খুদে পড়ুয়াদের হাতেই তৈরি হচ্ছে মাটির প্রদীপ। কোশিগ্রামের গড়াইপাড়ায় কিছু বড় দাদারা ছোটদের এই কাজে উৎসাহ জোগাচ্ছেন। দাদাদের কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে ভালোবেসে প্রদীপ তৈরি করছে ছোট ছোট পড়ুয়ারা।
আরও পড়ুনঃ ধনতেরাসের সময় বিশাল ডিম্যান্ড! পালিশগ্রামে দিনরাত এক করে চলছে ‘এই’ জিনিস তৈরির কাজ, উৎসবের মরশুমে হচ্ছে ভাল আয়
উদ্যোক্তা শুভেন্দু সাহা বলেন, “স্বদেশি চিন্তাধারা ফিরিয়ে আনা এবং পাড়ার ছোট ছোট ভাই বোনেদের মোবাইল আসক্তি কমিয়ে তাঁদের শিল্পীসত্ত্বাকে উদ্বুদ্ধ করার জন্যই এই উদ্যোগ।” যে সময়ে বর্তমান প্রজন্মের অধিকাংশ শিশু মোবাইল গেম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় মগ্ন, ঠিক সেই সময় কোশিগ্রামের গড়াইপাড়ার কয়েকজন দাদার উৎসাহে এই ছোট ছেলেমেয়েরা মাটির প্রদীপ তৈরিতে ব্যস্ত। পড়াশোনার ফাঁকে তাঁরা হাতে তুলে নিয়েছে মাটি ও জল, নদীর ধার থেকে সংগ্রহ করছে মাটি। সেই মাটিকে নানা পদ্ধতিতে প্রদীপের আকার দেওয়া হচ্ছে। পরে সেগুলি শুকিয়ে রাঙানো হচ্ছে উজ্জ্বল লাল রঙে।
advertisement
advertisement
একাদশ শ্রেণীর পড়ুয়া পূজা সাহা জানায়, “মোবাইল ছেড়ে আমরা মাটির প্রদীপ তৈরি করছি, এতে আমাদেরও ভাললাগছে। এই প্রদীপ বিক্রির টাকা আমরা পুজোর কাজেই লাগাব।” প্রদীপ তৈরির পর সেগুলি স্থানীয় বাজার এবং অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে। পড়ুয়াদের কথায়, প্রদীপ বিক্রির টাকা তাঁরা আসন্ন কালীপুজোর নানা কাজে ব্যবহার করবে। খুদেরা মোবাইল ছেড়ে এহেন কাজ করার জন্য পড়ুয়াদের অভিভাবকরাও বেশ খুশি।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই প্রসঙ্গে অভিভাবক রূপালী সাহা বলেন, “আমাদের ছেলেমেয়েরা মোবাইল ছেড়ে আনন্দের সঙ্গে এই কাজটা করছে দেখে সত্যিই ভাললাগছে। ওরা আরও অনেক এগিয়ে চলুক, আমরা পাড়া-প্রতিবেশী সকলেই পাশে থাকব।” সব মিলিয়ে, কোশিগ্রামের গড়াইপাড়ার এই উদ্যোগ শুধু হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনছে না, বরং শিশুদের মোবাইল আসক্তি কাটিয়ে শিল্পচর্চায় যুক্ত করছে। মাটির গন্ধে মিশে থাকা তাঁদের এই সৃজনশীলতা ও সামাজিক দায়বদ্ধতা আজ হয়ে উঠেছে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত, যেখানে ঐতিহ্য, শিল্প ও নতুন প্রজন্ম একসঙ্গে বুনছে আশার আলো।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
East Bardhaman News: মোবাইল ছেড়ে পড়ুয়াদের হাতে মাটি-জল! কাটোয়ায় দাদাদের উৎসাহে মাটির প্রদীপ তৈরিতে মগ্ন খুদেরা, দীপাবলির আগে হু হু করে বিক্রি
Next Article
advertisement
West Bengal Weather Update: হাওয়া বদল বাংলায়, বর্ষা বিদায়ের পর ক্রমশ শুষ্ক আবহাওয়া, আগামী ক’দিন কেমন থাকবে আবহাওয়া?
হাওয়া বদল বাংলায়, বর্ষা বিদায়ের পর ক্রমশ শুষ্ক আবহাওয়া, আগামী ক’দিন আবহাওয়া কেমন?
  • হাওয়া বদল বাংলায় !

  • বর্ষা বিদায়ের পর ক্রমশ শুষ্ক আবহাওয়া

  • আগামী ক’দিন কেমন থাকবে আবহাওয়া?

VIEW MORE
advertisement
advertisement