কলকাতা: নবান্নে সর্বক্ষণের হেল্পলাইন চালু থাকছে। নবান্নের হেল্পলাইন নম্বর (০৩৩) ২২১৪৩৫২৬ এবং ১০৭০। পাশাপাশি জেলাগুলিতেও চালু করা হয়েছে হেল্পলাইন। বৃহস্পতিবার রাতে নবান্নেই থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্নে নিজের দফতর থেকেই পরিস্থিতির দিকে নজর রাখবেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে বলেন, “মানুষের জীবন হল সব চেয়ে দামি। মানুষের জীবন রক্ষা করতে হবে। স্কুলগুলি ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে সেই কারণেই। আমি আজ রাতে নবান্নেই থাকব। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সকলে কাজ করবেন।”
বিকেল ৫:৩০টা
★তীব্র ঘূর্ণিঝড় /শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বা সিভিয়ার ‘সাইক্লোনিক স্টর্ম’ হল দানা।
★অবস্থান: উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগর
★নিজস্ব অভিমুখ ও গতি উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিক। নিজস্ব গতি ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটার।(আগে ছিল ১৩ কিলোমিটার)
★পারাদ্বীপ থেকে ১৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে।
ধামারা থেকে ১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক।
সাগরদ্বীপ থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক।
★মধ্যরাত থেকে সকালে হবে ল্যান্ডফল।
★ল্যান্ডফলের সময় গতিবেগ থাকবে ১২০ কিমি প্রতি ঘণ্টা।
★ল্যান্ডফলের স্থান ভিতরকণিকা ও ধামারাতে। এর প্রভাব পুরী থেকে সাগরদ্বীপ পর্যন্ত পড়বে।
★উত্তর পশ্চিম বঙ্গোসাগরে এই মুহূর্তে তীব্র ঘূর্ণিঝড় দানার ঘূর্নায়মান গতিবেগ ১১০ থেকে ১১৫ কিলোমিটার সর্বোচ্চ ১২৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। মধ্য রাতের আগে স্থলভাগের কাছাকাছি এসে এর গতিবেগ কমবে কিছুটা ৷
বৃষ্টি শুরু হবে চার জেলায়। আগামী এক থেকে দু’ঘন্টায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সর্তকতা। বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে চার জেলায়। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং হাওড়া জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সর্তকতা আলিপুর আবহাওয়া দফতরের।
নবান্নে সর্বক্ষণের হেল্পলাইন চালু থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। নবান্নের হেল্পলাইন নম্বর (০৩৩) ২২১৪৩৫২৬ এবং ১০৭০। পাশাপাশি জেলাগুলিতেও চালু করা হয়েছে হেল্পলাইন। বৃহস্পতিবার রাতে নবান্নেই থাকবেন তিনি। নবান্নের নিজের দফতর থেকেই পরিস্থিতির দিকে নজর রাখবেন মুখ্যমন্ত্রী।
সাধারণ মানুষকে গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ মুখ্যমন্ত্রীর। সকলকে সতর্ক থাকার জন্যও বলেছেন তিনি। ওড়িশার উপকূলে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়লেও বাংলাতেও যে তার যথেষ্ট প্রভাব পড়তে চলেছে, সে কথাও জানিয়েছেন তিনি। ‘ল্যান্ডফল’ কখন হবে, নির্দিষ্ট কোনও সময় এখনও জানা যায়নি। যে কোনও সময়ে দুর্যোগ পরিস্থিতির জন্য আধিকারিকদের প্রস্তুত থাকার বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
কলকাতা বিমানবন্দরে আগের ঘোষণামতই সন্ধ্যা ৬টায় বিমান পরিষেবা বন্ধ করা হবে। একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বিমানবন্দরের ভিতরে এমনকী, বিমানবন্দরের যে টার্মিনাল বিল্ডিং প্রত্যেকটি গেটে বালির বস্তা মজুত করা রয়েছে ৷ সমস্ত রকম ব্যবস্থা এই মুহূর্তে নেওয়া হয়েছে বিমানবন্দরে। বিমানগুলিকে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাব পড়তে পারে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতেও। আর তার মধ্যে যেই ব্লকগুলিতে ক্ষতির আশঙ্কা, সেগুলি হল দাঁতন ১, ২ কেশিয়াড়ি-সহ তার পার্শ্ববর্তী এলাকা। আজ, বৃহস্পতিবার দুপুরে মেঘলা আকাশ এবং সঙ্গে হালকা ঝড় বয়েছে। আর তার মাঝেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাঁতন ১ নং ব্লকের বাইপাটনা হাইস্কুলের রেসকিউ সেন্টার পরিদর্শন করলেন পিএইচই-র প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি সুরেন্দ গুপ্তা,পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জেলাশাসক খুরশেদ আলি কাদেরী, পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার, খড়্গপুরের মহকুমাশাসক পাটিল যোগেশ অশোক রাও-সহ অনান্যরা। এনডিআরএফ টিম,মেডিক্যাল টিম,খাওয়ার ব্যবস্থা সমস্ত কিছুই করা হয়েছে বলে জানালেন জেলাশাসক খুরশেদ আলি কাদেরি। পাশাপাশি পুলিশের পক্ষ থেকে থানা এলাকাগুলিতে পাঁচটি টিম তৈরি করে টহল শুরু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছেন দ্রুত সবাই রেসকিউ সেন্টারে চলে আসুন। এদিন দাঁতনের তিনটি রেসকিউ সেন্টার পরিদর্শন করেন তারা। জেলা জুড়ে প্রায় ৩০ হাজার মানুষকে ‘সেফ’ জায়গায় আনা হয়েছে। পাশাপাশি গর্ভবতী মহিলাদের বিশেষ ব্যাবস্থা করা হয়েছে।পাশাপাশি অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
শক্তি বাড়িয়ে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। আজ, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যে ঝড়ের সম্ভাব্য ‘ল্যান্ডফল’ হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সময়ে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে জলোচ্ছ্বাস প্রবল হতে পারে, সতর্ক করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। ঢেউয়ের উচ্চতা হতে পারে সর্বোচ্চ ১৪ ফুটেরও বেশি বলে জানানো হয়েছে ৷
ঘূর্ণিঝড়ের মত প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে যোগাযোগ বিপর্যস্ত হলে হ্যাম রেডিও সেই কাজ করে। ওষুধ পৌঁছে দেওয়া থেকে যেকোনও প্রয়োজনে যোগাযোগ স্থাপন খুব জরুরি। টেলিফোন মোবাইল পরিষেবা থমকে যেতে পারে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে। স্যাটেলাইট ফোনও কাজ না করলে রেডিও ভরসা হয়ে দাঁড়ায়। তাই আরও একটা সাইক্লোনের আগে প্রস্তুত হ্যাম রেডিও স্টেশন। চুঁচুড়া কনকশালীর বাসিন্দা সৌরভ গোস্বামী তাঁর বাড়িতে মিনি রেডিও স্টেশন তৈরি করেছেন ।যেখান থেকে হ্যাম কমিউনিটির সদস্যদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখছেন। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছেন। প্রশাসনের ডাক এলেই যে কোনো সময় প্রয়োজন হলেই পৌঁছে যাবেন সাহায্য করতে। পোর্টেবল রেডিও স্টেশন তৈরি করে সেখান থেকে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারবেন। সৌরভ বলেন, ‘‘হ্যাম রেডিওর মাধ্যমে আমরা স্বেচ্ছাসেবকের কাজ করি। সরকার প্রয়োজনে আমাদের সাহায্য নেয়।’’
ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ নিয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর। তিনি বলেন, ‘‘তোমরা যে যার এলাকায় ফিরে যাও। দু’দিন খুব বৃষ্টি হবে। নিজের এলাকায় উদ্ধার কার্য করবে। মানুষের পাশে থাকবে। কোনও প্রয়োজন হলে মুখ্য সচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করবে। মানুষ যাতে সব ত্রাণ পরিষেবা পায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। মন্ত্রিসভার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমনটাই বার্তা দিলেন বলেই নবান্ন সূত্রে খবর।
৩:৩০pm
তীব্র ঘূর্ণিঝড় /শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বা সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম দানা।
অবস্থান:: উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগর। 19.2 N Latitude, 87,9 E Longitude
নিজস্ব অভিমুখ ও গতি উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিক। নিজস্ব গতি ঘণ্টায় ১৩ কিলোমিটার।
পারাদ্বীপ থেকে ১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্ব দিকে।
ধামারা থেকে ২১০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব দিক।
সাগরদ্বীপ থেকে ২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক।
মধ্যরাত থেকে সকালের মধ্যে ল্যান্ডফল ভিতরকণিকা ও ধামারাতে।
শক্তি বাড়িয়ে উপকূলের দিকে আরও এগোল ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। এই মুহূর্তে সে রয়েছে সাগরদ্বীপ থেকে মাত্র ৩১০ কিলোমিটার দূরে।
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মন্দারমনির সমুদ্র সৈকত লাগোয়া অস্থায়ী হোটেল এবং তাবুর মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে থেকে যাওয়া মানুষজনকে সরিয়ে দেওয়ার কাজ শুরু করল কোস্টাল থানার পুলিশ!এই দুর্যোগের মধ্যেও এখনও বসবাস করছিলেন তাবুর মালিক-সহ কর্মী এবং বেশকিছু মানুষ। প্রশাসনের নির্দেশকে অমান্য করেই তারা এই তাঁবু গুলির মধ্যে ছিলেন। খবর পেয়ে মন্দারমনি কোস্টাল থানার পুলিশ এসে সমস্ত তাঁবু এবং অস্থায়ী ঘর, দোকান দ্রুততার সঙ্গে খালি করছেন। ‘দানা’ ঘুর্নিঝড়ের কারণেই সমুদ্র সৈকত লাগোয়া এলাকাগুলি পর্যটক শূন্য করা হচ্ছে। তার মধ্যেই হোটেলের বেশ কিছু মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়েই এই তাঁবুগুলির মধ্যে ছিলেন। পুলিশ গিয়ে তাঁদের তাবু থেকে বের করে নিরাপদ জায়গায় পাঠিয়ে দিয়েছে।
সকাল থেকেই কখনও হালকা আবার কখনও ভারী বৃষ্টি চলছে ঝাড়গ্রামে। ঘন কালো মেঘে ঢেকেছে ঝাড়গ্রাম। যতই বেলা গড়াচ্ছে বৃষ্টির সঙ্গে বাতাসের দাপট বাড়ছে। ঝাড়গ্রাম জেলায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। যেহেতু ওড়িশার একাংশ ঝাড়গ্রাম সীমান্তের সঙ্গে লাগোয়া। ফলে চিনতা বাড়ছে ঝাড়গ্রামের সাধারণ মানুষের। আগামী দু’দিন অতি ভারী বৃষ্টির লাল সতর্কতা দেওয়া হয়েছে ঝাড়গ্রামে। এর পাশাপাশি ঝাড়গ্রাম জেলার কৃষকদের মাথায়ও হাত পড়েছে। পাকা ধান বাড়িতে তোলার প্রক্রিয়া অনেকেই শুরু করেছেন। বিঘের পর বিঘে ধান মাঠেই নষ্ট হবে বলে আশঙ্কা। সবমিলিয়ে ঘূর্ণিঝড়ের এই দাপট কতটা ঝাড়গ্রামকে গ্রাস করে, তার দিকেই তাকিয়ে জেলার মানুষ।
আরও শক্তি বাড়ল ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র। বুধবার মধ্যরাতেই সেটি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। গত কয়েক ঘণ্টায় উপকূলের দিকে আরও এগিয়েছে ‘দানা’। এ বার উপগ্রহ চিত্র বিশ্লেষণ করে আবহাওয়া দফতর জানাল, এই মুহূর্তে সাগরদ্বীপ থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড়টি। ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে আর মাত্র ২৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে এবং ধামারা থেকে ২৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে রয়েছে ‘দানা’।
★আজ, বৃহস্পতিবার ও আগামিকাল, শুক্রবার হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি এবং বাঁকুড়া জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। কোথাও অতি ভারী বৃষ্টির। কিছু এলাকায় অত্যন্ত ভারী বৃষ্টির সতর্কতা।
★পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ঝড়ের গতিবেগ সর্বোচ্চ হতে পারে ৷ সর্বোচ্চ ৯০ কিমি গতিবেগ উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৷ ১-২ মিটার জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা পূর্ব মেদিনীপুরে। ০.৫-১ মিটার জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কিছু অংশে।