#বর্ধমান: পাশের জেলার শ্রমিকদের কি ধান কাটার কাজে লাগানো যাবে? তা জানতে রাজ্য সরকারের পরামর্শ চাইল পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। পূর্ব বর্ধমান জেলায় বোরো ধান পাকতে শুরু করেছে। কালবৈশাখী ঝড় বা শিলাবৃষ্টি হলে ধানের আবার ক্ষতি হতে পারে এই আশঙ্কায় এখনই ধান কাটার কাজ শুরু করতে চাইছেন কৃষকরা। কিন্তু তাঁরা সমস্যায় পড়েছেন লকডাউন এর জেরে শ্রমিক না মেলায়। তাঁরা বলছেন, লকডাউন এর জন্য পাঞ্জাব থেকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ধান কাটার মেশিন আসেনি। এখন শ্রমিক না মিললে কিভাবে ধান কাটা যাবে তা তাঁরা বুঝে উঠতে পারছেন না। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন জেলার কৃষকরা।
এ ব্যাপারে পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক বিজয় ভারতী জানান, অন্য রাজ্যের শ্রমিকদের ধান কাটার কাজে লাগানো যাবে কিনা বা পাশের জেলার শ্রমিকদের সেই কাজে লাগানো যাবে কিনা বা জেলার অন্য প্রান্তের শ্রমিকরা ধান কাটতে বা ধান কাটা ঝাড়ার কাজ করতে পারবেন কিনা তা জানানোর জন্য রাজ্য সরকারের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। রাজ্য সরকার এ ব্যাপারে যা পরামর্শ দেবে তা মেনে এই জেলায় কাজ হবে।
রাজ্যের শস্য ভান্ডার হিসেবে পরিচিত পূর্ব বর্ধমান জেলা। দেশের অগ্রগণ্য ধান উৎপাদক জেলাগুলির মধ্যে অন্যতম এই জেলা। এই জেলার মন্তেশ্বর ভাতার মঙ্গলকোট কাটোয়া গলসি আউসগ্রাম খণ্ডঘোষে ব্যাপক পরিমাণে বোরো ধানের চাষ হয়। লকডাউনের মাঝেই সেই ধান পেকে উঠেছে। কৃষকরা বলছেন, কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ভাতার মন্তেশ্বরের অনেক জমিতে ধান চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর পরে মাঠে ধান পড়ে থাকলে প্রাকৃতিক দুর্যোগে আবার তা নষ্ট হতে পারে। কিন্তু ধান কাটার কাজে বাধ সেধেছে শ্রমিকের অভাব।
এই জেলায় পাশের বাঁকুড়া পুরুলিয়া বিহার ঝাড়খন্ড থেকে প্রচুর সংখ্যক শ্রমিক আসেন।কিন্তু এবার লকডাউন এর কারণে বাইরের রাজ্যে শ্রমিকরা আসতে পারছেন না। পাশের জেলা বাঁকুড়া পুরুলিয়া থেকে ও শ্রমিক আসবে কিনা তা আমরা বুঝে উঠতে পারছি না। পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক বিজয় ভারতী জানান, কৃষকদের এই সমস্যার কথা গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। ধান কাটার ক্ষেত্রে শ্রমিকের অভাবের বিষয়টি রাজ্য সরকারকে জানিয়ে পরামর্শ চাওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে এই ধান কাটা, ধান ঝাড়ার মরশুমে ব্লকে ব্লকে কৃষি অফিসগুলি খোলা রাখা নিশ্চিত করতে কৃষি দপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Saradindu Ghosh
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bardhaman, Corona Lockdown, Rice, Rice harvest