বয়কট চিনের ডাক, বর্ধমানের রাস্তায় চিনা টিভি, লাইট, পিটিয়ে ভাঙল জনতা

Last Updated:

চিনে তৈরি টেলিভিশন, টর্চ, বিভিন্ন লাইট থেকে শুরু করে মোবাইল ফোন সব কিছুই রাস্তায় আছড়ে ভাঙচুর চালানো হয়

#‌বর্ধমান:‌ চিনা পণ্য রাস্তায় ফেলে ভাঙচুর চালানো হল বর্ধমানে। ভাঙচুরের পর সেইসব সামগ্রীতে আগুন ধরিয়ে দিল উত্তেজিত যুবকরা। সেইসঙ্গে দেওয়া হল চিন বিরোধী স্লোগানও। বর্ধমান শহরের ভাতছালা এলাকায় এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকলেন বাসিন্দারা। ভারত চিন সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনার পারদ যত চড়ছে ততই চিনাপণ্য বর্জনের পক্ষে সরব হচ্ছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের অনেকেই। অনেক জায়গাতেই প্রতিবাদ চলছে। চলছে শহিদ জওয়ানদের সম্মান জানানোর কর্মসূচি। তারই মধ্যে চিনা ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম রাস্তায় ফেলে ভেঙে চুরমার করল বর্ধমানের বেশ কিছু যুবক।
ভারত ভূখন্ডের প্রতি চিনের আগ্রাসন, সেনা মোতায়েন ও তার জেরে ভারতীয় সেনাদের মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা দেশ। সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ দেখা গেল বর্ধমান শহরের ভাতছালা এলাকায়। বৃহস্পতিবার দুপুরে এলাকার বেশ কিছু যুবক জাতীয় পতাকা টাঙিয়ে তার নিচে চিনে প্রস্তুত বিভিন্ন ইলেকট্রনিক সামগ্রী বাড়ি থেকে নিয়ে এসে রাস্তায় ঢুকে ভাঙচুর শুরু করে দেয়। চিনে তৈরি টেলিভিশন, টর্চ, বিভিন্ন লাইট থেকে শুরু করে মোবাইল ফোন সব কিছুই রাস্তায় আছড়ে ভাঙচুর চালানো হয়। ভাঙচুরের পর সেই সব সামগ্রীতে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। পাশাপাশি ‘‌চিন হঠাও, ‌ দেশ বাঁচাও’‌ স্লোগান দেয় তাঁরা।
advertisement
এই কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া যুবকদের বক্তব্য, চিনের হাতে ভারতীয় সেনাদের প্রাণ গিয়েছে। প্রত্যুত্তরে ভারতকেও তার বদলা নিতে হবে। সেই সঙ্গে চিনে প্রস্তুত পণ্যসামগ্রী বর্জন করা উচিত বলেও মনে করছেন তাঁরা। তাঁদের বক্তব্য, চিনা সামগ্রীতে বাজার ছেয়ে গিয়েছে। এর ফলে দেশীয় শিল্প সেভাবে বাজার ধরতে পারছে না। উল্টে ভারতীয় বাজার ব্যবহার করে লাভবান হচ্ছে চিন। সে কারণেই চিনা দ্রব্য বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। তাঁদের বক্তব্য, এই কঠিন পরিস্থিতিতে দেশের প্রতিটি মানুষের এককাট্টা হওয়া উচিত। সেই শক্তি চিনের আগ্রাসনকে দমাতে সক্ষম হবে। চিনকে তাঁদের পরিকল্পিত এই হামলার জন্য চরম শিক্ষা দেওয়ার দাবি তুলছেন তাঁরা।
advertisement
advertisement
বর্ধমান শহরের মূল বাজার এলাকার অনেক দোকানেই চিনা সামগ্রী বিক্রি হয়। তবে এসবের মধ্যে বেশিরভাগই রয়েছে ইলেকট্রনিক্স সরঞ্জাম। এছাড়াও মশারি থেকে শুরু করে চিনে তৈরি প্লাস্টিকের নানান সরঞ্জাম বাজার দখল করে রেখেছে বলেই মনে করছে তারা। তাদের দাবি,আমাদের দেশেও এমন অনেক ছোটখাটো পণ্য সামগ্রী রয়েছে যেগুলিও দামে অনেক সস্তা। মানের দিক থেকেও চিনের থেকে উন্নত। সেইসব চিনা সামগ্রী যাতে দেশের বাজারে আর আসতে না পারে সে ব্যাপারে এখনই পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।
advertisement
Saradindu Ghosh
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
বয়কট চিনের ডাক, বর্ধমানের রাস্তায় চিনা টিভি, লাইট, পিটিয়ে ভাঙল জনতা
Next Article
advertisement
৪ ঘণ্টার চেষ্টায় ২৪টি দমকলের ইঞ্জিন মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হল! অগ্নিকাণ্ডের কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা
৪ ঘণ্টার চেষ্টায় ২৪টি দমকলের ইঞ্জিন মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হল! কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা
  • বড়বাজারের এজরা স্ট্রিটে বৈদ্যুতিন সামগ্রীর দোকানে ভোরে আগুন লাগে, ২৪টি দমকল ইঞ্জিন নিয়ন্ত্রণে আনে.

  • দাহ্য বৈদ্যুতিক সামগ্রী ও সংকীর্ণ রাস্তার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, ল্যাডার ব্যবহার সম্ভব হয়নি.

  • প্রাথমিক অনুমান ইলেকট্রিক্যাল শর্ট সার্কিট হলেও, ফরেন্সিক পরীক্ষার পরেই আগুনের উৎস নিশ্চিত হবে.

VIEW MORE
advertisement
advertisement