Chhatu Sankranti Mela: একবেলার ছাতু সংক্রান্তি মেলার নাম শুনেছেন? রোদ উঠে বালি গরম হলেই বাড়ির পথ ধরে সবাই

Last Updated:

Chhatu Sankranti Mela: এক বেলার মেলা উপলক্ষে নদীতে পুণ্য স্নান থেকে বেচা কেনা সবই হয়। বাংলা-ওড়িশা সীমান্তবর্তী এলাকার বিভিন্ন নদীর ঘাটে হয় একবেলার বালি মেলা

+
বালির

বালির চরে মেলা

পশ্চিম মেদিনীপুর: মেলা এখন সকলের কাছে অতি পরিচিত। সারা বছর বিভিন্ন জায়গায় নানা মেলা আয়োজিত হয়। হয় নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। বসে রকমারি দোকান থেকে খাবারের দোকান। কিন্তু মাত্র এক বেলার একটি মেলা এই বাংলায় হয় বলে জানতেন কি? তাও আবার নদীর বালির চরে। এই এক বেলার মেলায় বাংলার পাশাপাশি প্রতিবেশী ওড়িশার মানুষ‌ও অংশগ্রহণ করে।
এই এক বেলার মেলা উপলক্ষে নদীতে পুণ্য স্নান থেকে বেচা কেনা সবই হয়। বাংলা-ওড়িশা সীমান্তবর্তী এলাকার বিভিন্ন নদীর ঘাটে হয় একবেলার বালি মেলা। তপ্ত বালিতেই বসে দোকান, বিক্রি হয় হরেক রকমের জিনিসপত্রের। বহুকাল ধরে চৈত্র সংক্রান্তির দিন একবেলার এই মেলা চলে আসছে।
advertisement
advertisement
বাংলা নববর্ষের আগের দিন অর্থাৎ চৈত্র মাসের শেষ দিনে সংক্রান্তির পুণ্যতিথিতে সুবর্ণরেখা নদীর চরে বসে এই একবেলার মেলা। পশ্চিম মেদিনীপুরে দাঁতনের বেলমুলা, বালিডাংরি, সদরঘাট সহ একাধিক নদী ঘাটে হয় এই মেলা। এই মেলাকে ঘিরে রয়েছে নানান কাহিনী। চৈত্র সংক্রান্তির দিন বালি যাত্রায় মেতে ওঠেন বাংলা ও ওড়িশার মানুষজন। দুই রাজ্যের সীমান্ত এলাকায় সুবর্ণরেখা নদীর চরে এই মেলা হয়। যার নাম ছাতু সংক্রান্তির মেলা।
advertisement
এখানে মূলত সংক্রান্তির দিন পূর্ব পুরুষদের পিণ্ডদানের ধর্মীয় রীতি পালন করা হয়। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এই মেলায় চলে পূর্বপুরুষের উদ্দেশে পিণ্ড দান। তারপরেই ছাতু খাওয়া শুরু করেন মেলায় অংশ নেওয়া পুণ্যার্থীরা।
এই মেলার একটি বিশেষত্ব লক্ষ্য করা যায়। বেলমূলা থেকে বারাসতী পর্যন্ত প্রায় ৯ কিলোমিটার নদীর চরের একদিকে বাংলা ও অপরদিকে ওড়িশা। দুই রাজ্যের মানুষের যাতায়াত যাতে সহজে হতে পারে তাই এমন জায়গাগুলোতেই মেলা বসে। বহু মানুষ পূর্বপুরুষদের তর্পণের উদ্দেশ্যে নদী ঘাটে আসেন।শুধু তর্পন না, মেলায় ঘোরা ও চৈত্র সংক্রান্তির পূন্যস্নানে মাতেন দুই রাজ্যের মানুষজন।
advertisement
জলে হাঁটু মুড়ে বসে কেউ বালির উপর কলাপাতায় আতপচাল, পাকা কলা দিয়ে মণ্ড, আবার কেউ মুড়ির ছাতু, গুড়, দুধ, কলা, কাঁচা আম, আতপ চাল, তিল, মধু মিশিয়ে মণ্ড তৈরি করেন। আবার কেউ কেউ সেদ্ধ চাল, কাঁচা আম, আলু ও অন্যান্য আনাজ দিয়ে তর্পণ করেন। সঙ্গে ফুল, ধূপ তো থাকেই। পুরোহিতের বলা মন্ত্র উচ্চারণের পর তর্পণের নৈবেদ্য সুবর্ণরেখার জলে ভাসিয়ে দেওয়া হয়।
advertisement
এরপর নদীতে স্নান সেরে মেলায় ঘোরেন সবাই। রোদ লেগে বালির তপ্ত হয়ে পায়ে ছ্যাঁকা দিলেই পাততাড়ি গুটিয়ে মেলা শেষ করে সবাই আবার বাড়ির পথ ধরেন। তর্পণের জন্য আসা মানুষের প্রয়োজনীয় সামগ্রীর চাহিদার কথা মাথায় রেখে বসে মেলা। খাওয়ার দোকান থেকে যাবতীয় সামগ্রীর দোকান বসে।
advertisement
রঞ্জন চন্দ
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Chhatu Sankranti Mela: একবেলার ছাতু সংক্রান্তি মেলার নাম শুনেছেন? রোদ উঠে বালি গরম হলেই বাড়ির পথ ধরে সবাই
Next Article
advertisement
West Bengal Weather Update: ভারী বর্ষণের সতর্কতা উত্তরবঙ্গে ! দক্ষিণবঙ্গেও বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি চলবে
ভারী বর্ষণের সতর্কতা উত্তরবঙ্গে ! দক্ষিণবঙ্গেও বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি চলবে
  • ভারী বর্ষণের সতর্কতা উত্তরবঙ্গে !

  • দক্ষিণবঙ্গেও বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি চলবে

  • কলকাতা-সহ বাকি অংশে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে রবিবার পর্যন্ত

VIEW MORE
advertisement
advertisement