একদিন বাদেই গণেশ চতুর্থী! বৃষ্টিতে কী হবে ভেবেই মাথায় হাত! মুর্তি শুকোতে নাজেহাল কুমোরটুলির শিল্পীরা

Last Updated:

ধারাবাহিকভাবে বৃষ্টিতে চরম সমস্যায় কুমোরটুলির শিল্পীরা,চাহিদামতো প্রতিমা সরবরাহে করা যাবে কিনা চিন্তায় শিল্পীরা।হাতেগোনা আর দুদিন বাকি গণেশ চতুর্থীর এক প্রকার নাওয়া-খাওয়া ভুলে জোর কদমে চলছে প্রস্তুতি কিন্তু ঠাকুর শুকাতে হিমশিম অবস্থা শিল্পীদের।

+
গণেশের

গণেশের ছবি

বর্ধমান,সায়নী সরকার: ধারাবাহিকভাবে বৃষ্টিতে চরম সমস্যায় কুমোরটুলির শিল্পীরা,চাহিদামতো প্রতিমা সরবরাহে করা যাবে কিনা চিন্তায় শিল্পীরা।হাতেগোনা আর দুদিন বাকি গণেশ চতুর্থীর এক প্রকার নাওয়া-খাওয়া ভুলে জোর কদমে চলছে প্রস্তুতি কিন্তু ঠাকুর শুকাতে হিমশিম অবস্থা শিল্পীদের। ঠাকুর শুকাতে ব্যবহার করতে হচ্ছে হিটার, হ্যালোজেন থেকে শুরু করে বার্নার। প্রতিমা সময় সময়মতো শুকোচ্ছে না, রং বাকি,তার উপর আবার কাঁচামাল পেতেও সমস্যা হচ্ছে ফলে সময় মতো প্রতিমা সরবরাহ করা যাবে কি না তা নিয়েই দুশ্চিন্তায় তাঁরা।
গণেশ চতুর্থীর আর হাতেগোনা কয়েকটা দিন বাকি,এদিকে বরাত পাওয়া প্রতিমার মাটি না শুকানোয় রং তো দূর অস্ত প্রতিমা সরবরাহ করা যাবে কি না তা নিয়েই তৈরী হয়েছে অনিশ্চয়তা।
আর শুধু গনেশ পুজোয় নয় দুর্গাপূজোর আগে রয়েছে বিশ্বকর্মা পুজো, মনসা পূজোও।তাই কোথাও কোথাও হিটার,গ্যাস বার্ণার ও উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন লাইট জ্বালিয়ে প্রতিমা শুকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।কিন্তু এই পদ্ধতি পর্যাপ্ত যেমন নয় তেমনই ব্যয়বহুল ফলে একদিকে সময় ও অন্যদিকে খরচের বহর বাড়ছে বলে দাবী শিল্পীদের।অন্যদিকে,বরাত অনুযায়ী দুর্গাপুজোর প্রতিমা গড়ারও কাজ জোর কদমে চললেও সেখানেও বাধা হয়ে দাড়াচ্ছে বৃষ্টি ফলে সময়ের অভাবে তাঁদের চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন শিল্পীরা।
advertisement
advertisement
শিল্পী গৌতম পাল বলেন, প্রচুর সমস্যা, ঠাকুর না শুকালে রং করা যাবে না। এত বৃষ্টি যে ঠাকুর রোদে বের করে শুকাব তার উপায় নেই। মাত্র দুদিন সময় আছে হাতে কিন্তু ঠাকুর এখন কাঁচা রয়েছে। ফলের বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে গ্যাস বার্নার, হ্যালোজেনের ব্যবহার করতে হচ্ছে। চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। অর্জুন পাল বলেন, বৃষ্টির মধ্যে জলের দাঁড়িয়ে কাজ করতে হচ্ছে। নানা রকম জিনিসপত্র দিয়ে ঠাকুর শুকাতে হচ্ছে। বাইরে কাজ হলে প্লাস্টিক টাঙ্গিয়ে কোনরকমের কাজ করতে হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে অনেকটাই পিছিয়ে যাচ্ছে কাজ।
advertisement
বৃষ্টির কারণে প্রতিমা তৈরিতে যে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে, তা শুধু গণেশ চতুর্থী নয়, বরং আসন্ন দুর্গাপুজোর উপরেও প্রভাব ফেলছে। কুমোরটুলির শিল্পীরা নিরন্তর চেষ্টা করে চলেছেন যাতে প্রতিমার গুণগত মান বজায় থাকে এবং সময়মতো তা সরবরাহ করা যায়। তবে, প্রকৃতির এই প্রতিকূলতার ফলে একদিকে অতিরিক্ত খরচ এবং অন্যদিকে প্রতিমা তৈরি করতে বেশি সময়ও লাগছে তাদের। এখন আবহাওয়া অনুকূল হওয়ার আশায় শিল্পীরা।
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
একদিন বাদেই গণেশ চতুর্থী! বৃষ্টিতে কী হবে ভেবেই মাথায় হাত! মুর্তি শুকোতে নাজেহাল কুমোরটুলির শিল্পীরা
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement