#পূর্ব বর্ধমান: ইতিহাস বলছে,বয়স প্রায় দু হাজার বছর। তবু ক্ষয় নেই। যদিও শরীরে লেপা অবোধ্য লিপি আজও অনাবিষ্কৃত। রাঢ়বঙ্গের অধিষ্ঠাত্রী সেই দেবী সর্বমঙ্গলার হাত ধরে দুর্গাপুজো জমজমাট বর্ধমানে। মূর্তির বয়স যাই হোক, পুজো শুরু হয় তিনশো বছর আগে। বর্ধমান রাজার হাত ধরে।
কষ্টিপাথরের অষ্টাদশভূজা। দৈর্ঘ্যে বারো ইঞ্চি, প্রস্থে আট ইঞ্চি। সিংহবাহিনী, অসুরদলনী দুর্গাই সর্বমঙ্গলা রূপে পূজিতা। সর্বমঙ্গলার মূর্তি ঘিরে নানা গল্প, মিথ।
তিনশো পয়ষট্টি দিন সর্বমঙ্গলার জন্য রাজকীয় আয়োজন। ভোরে গঙ্গাজলে হাত-পা-মুখ ধুইয়ে সুগন্ধি তেল,শ্বেত ও রক্ত চন্দনে রাঙিয়ে শরবতে আপ্যায়ন। তারপর রাজবেশ ও দামী গয়নায় সাজিয়ে তোলা হয় সিংহাসনে। পুজো, মঙ্গলারতির মাঝেই চারবেলা ভোগ। দুপুরে পুষ্পান্ন, পরমান্ন, ডাল, শুক্তো, তরকারি থেকে মাগুর মাছের টক। পান খেয়ে দিবানিদ্রা। সন্ধেবেলা শীতলভোগ। রাতে লুচি,মিষ্টি।
পুজোয় আড়ম্বর দ্বিগুণ। প্রতিপদে বর্ধমানের কৃষ্ণসায়র থেকে রুপোর ঘটে জল ভরে পুজো শুরু। নবমীতে কুমারীপুজো। দশমীতে অপরাজিতা পুজোর মধ্যে দিয়ে উৎসব শেষ। আজও সর্বমঙ্গলা মন্দিরের পুজোর নির্ঘণ্টা মেনে পুজো হয় এলাকার।
পুজোয় ভোগের ছড়াছড়ি। চারবেলাই এলাহি আয়োজন। উৎসবের টানে লক্ষ ভক্তের ভিড়ে জমে ওঠে সর্বমঙ্গলার দালান।
নিউজ 18 বাংলা
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bardhaman, District Durga Puja, Durga Puja 2018, Sarbamangala Mandir