Saradindu Ghosh
#বর্ধমান: এ এক অন্যরকম বিয়ে। এক-দু’জোড়া নয়, এক্কেবারে ১০১ জোড়া।সানাই বাজিয়ে উলুধ্বনি, পুরোহিতের মন্ত্র উচ্চারনের মাধ্যমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন ১০১ জোড়া পাত্র-পাত্রী। বর্ধমানের কঙ্কালেশ্বরী কালীমাতা কমিটির উদ্যোগে বুধবার অনুষ্ঠিত হল এই গণ বিবাহ।
বর্ধমানের কাঞ্চননগরে বুধবার বিকেল থেকেই সাজ সাজ রব। সন্ধে নামতেই আলোর সাজে মোহময়ী চারপাশ। মূল অনুষ্ঠান কাঞ্চননগরের কঙ্কালেশ্বরী কালী মন্দির মাঠে। সেখানেই মূল বিয়ের মন্ডপ। ছাদনাতলা।
সন্ধে নামার আগে বর্ধমান টাউন হল থেকে ১০১ জন বরকে টোটোয় চাপিয়ে ব্যান্ড বাজিয়ে মন্ডপে নিয়ে আসা হল। প্রত্যেকের পরনে গিলে করা নতুন পাঞ্জাবি। কনেদের তখন সাজানো চলছে জলকল মাঠের বাংলোয়। চন্দনে বেনারসীতে সেজে উঠছেন একে একে ১০১ জন। শোভাযাত্রা করে মূল মঞ্চে নিয়ে আসা হল তাঁদেরও। সন্ধে লগ্নে অতিথি অভ্যাগতদের উপস্থিতিতে মালা বদল করলেন ১০১ জোড়া পাত্রপাত্রী। হল সিঁদুর দান। খই পোড়ানো। শুরু হল নতুন করে পথ চলা।
হিন্দু পাত্রপাত্রীর সংখ্যা বেশি হলেও ছিল মুসলিম পাত্রপাত্রীও। হিন্দু এবং মুসলিম রীতি মেনে এদিন এই গণবিবাহ অনুষ্ঠিত হল। বিয়ের সাজের পাশাপাশি পাত্রকে দেওয়া হল সোনার আংটি। পাত্রী পেল সোনার নাকছবি সহ খাট, আলমারি, ড্রেসিং টেবিল, সাইকেল, সেলাই মেশিন, বাসনপত্র, দান সামগ্রী, জীবন বিমা। দেওয়া হল এক মাসের চাল ডাল সহ নানান খাদ্য সামগ্রীও।
বিয়ে অথচ বরযাত্রী কনেযাত্রী নেই তাই কখনও হয়। ছিলেন তাঁরাও। বর কনে উভয়কেই বন্ধু বান্ধব আত্মীয় পরিজন আনতে বলা হয়েছেল। বিয়ের শেষে বর ও কনেযাত্রী-সহ ১০ হাজার অতিথি অভ্যাগত ভোজ খেলেন।
গণবিবাহের মূল উদ্যোক্তা প্রাক্তন কাউন্সিলার খোকন দাস বললেন, অনেকেরই সাধ থাকলেও ঘটা করে মেয়ের বিয়ে দেওয়ার সামর্থ্য নেই। আবার অনেক পাত্র নানা কারণে বিয়ের পাত্র পাননি। তাঁদের সেই ইচ্ছে পূরণ করতেই আমাদের এই উদ্যোগ। বিয়ের রাজকীয় আয়োজনে খুশী বর কনেরাও।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Mass Wedding