ভাগাড়ের মাংস পাচারের তদন্তে গঠিত সিট
Last Updated:
ভাগাড়ের মাংস পাচারের তদন্তে গঠিত হল সিট ৷ ১৫ সদস্যের সিট গঠন করল বজবজ থানার পুলিশ ৷ সোমবার ৮ অভিযুক্তকে আলিপুর আদালতে পেশ করা হবে ৷
#কলকাতা: ভাগাড়ের মাংস পাচারের তদন্তে গঠিত হল সিট ৷ ১৫ সদস্যের সিট গঠন করল বজবজ থানার পুলিশ ৷ সোমবার ৮ অভিযুক্তকে আলিপুর আদালতে পেশ করা হবে ৷ ৮ জনকেই ৭দিনের হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানাবে পুলিশ ৷ ধৃতদের বিরুদ্ধে ৩০৮ অনিচ্ছাকৃত খুন ও ৪২০ ধারায় প্রতারণা মামলা দায়ের করা হয়েছে ৷
ভাগাড় থেকে মরা পশুর মাংস সোজা রেস্তোরাঁয়। চাহিদা থাকায় দশ দিনের মধ্যেই বিক্রি হয়ে যেত সেই মাংস। পচা মাংস সংরক্ষণ করতে ব্যবহার হত একাধিক রাসায়নিক। প্যাকেটজাত করে সেই মাংসই পৌঁছে যেত শহরের হোটেল থেকে বড়বড় স্টোরে। নিউজ18 বাংলার অন্তর্তদন্তে উঠে এসেছে এমনই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
বজবজের ভাগাড় থেকে মরা পশুর মাংস সংগ্রহ। সেই মাংসই পৌঁছে যাচ্ছে রেস্তোরাঁ, হোটেল। মাংস-ভাত, বিরিয়ানি, তন্দুর, থেকে চিকেন চাপ, হাজারো লোভনীয় পদে সেই মাংসই খাচ্ছেন গ্রাহকরা। গোটা প্রক্রিয়ার পর্দাফাঁস করেছে নিউজ 18 বাংলা। ইতিমধ্যেই চক্রের দুই অন্যতম পাণ্ডা সানি মল্লিক ও শরাফত হুসেন পুলিশের জালে। ধৃতদের জেরায় উঠে আসছে একের পর এক তথ্য।
advertisement
advertisement
ভাগাড় থেকে মরা পশুর মাংস প্রথমে সংগ্রহ করা হয়
- সেই পচা মাংস ফরমালিন দিয়ে ধোয়া হয়
- মাংস থেকে চর্বি কেটে নেওয়া হত
- পচন ঠেকাতে মাংসে ক্যালসিয়াম প্রোপোয়নেট দেওয়া হয়
- পচা গন্ধ আটকাতে দেওয়া হত লিড সালফেট
- পচা মাংসে স্বাদ আনতে দেওয়া হত অ্যালুমিনিয়াম সালফেট
advertisement
- মাংস রাখা হত মাইনাস ৪৪ ডিগ্রি তাপমাত্রায়
ধৃতদের জেরায় উঠে এসেছে
- এই মাংস খোলা বাজারে বিক্রি করলে ধড়া পড়ার সম্ভাবনা
- খোলা বাজারে বিক্রি করে লাভও কম
- তাই ফ্রোজেন মার্কেটই ছিল টার্গেট
- বড়বড় স্টোর ও হোটেলে এই ভাগাড়ের মাংস সাপ্লাই হত
advertisement
ধৃত সানি মল্লিককে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে,
- মাংস সংগ্রহ থেকে সরবরাহ, সবটাই হত নগদে
- বাজারে মরা পশুর মাংসের ব্যাপক চাহিতা ছিল
- ভাগাড় থেকে সংগ্রহ করা মাংস ১০ দিনের মধ্যেই বিক্রি
view commentsLocation :
First Published :
April 30, 2018 12:08 PM IST