দলিত আইন সংশোধনের দাবি, কেন্দ্রের ওপর চাপ বাড়ালো বিরোধীরা
Last Updated:
সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেতেই তফসিলি আইন সংশোধনের জন্য কেন্দ্রের ওপর চাপ বাড়াল বিরোধীরা। দলিতদের ক্ষোভ কমাতে ওই আইন সংশোধন নিয়ে সরকারের অন্দরেও ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে।
#নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেতেই তফসিলি আইন সংশোধনের জন্য কেন্দ্রের ওপর চাপ বাড়াল বিরোধীরা। দলিতদের ক্ষোভ কমাতে ওই আইন সংশোধন নিয়ে সরকারের অন্দরেও ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে। বিরোধীদের উসকানিতেই বাড়ছে দলিত আন্দোলন, দাবি বিজেপির।
অধিকার রক্ষার দাবিতে সোমবার ভারত বনধের ডাক দিয়ে পথে নেমেছিলেন দলিতরা। বিক্ষোভ আন্দোলনকে ঘিরে হিংসা ছড়ায়। প্রাণহানির পাশাপাশি সরকারি সম্পত্তি নষ্ট হয়। কিন্তু টুঁ শব্দটি করেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু কেন চুপ প্রধানমন্ত্রী ? কর্ণাটকের শিমোগায় ভোট প্রচারে গিয়ে সেই প্রশ্নই তুলেছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি। দলিত আইন নিয়ে সুপ্রিমকোর্ট আগের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দিতে না চাওয়ায় অস্বস্তি বেড়েছে সরকারের। মওকা বুঝে চাপ বাড়িয়েছে বিরোধীরাও। তফসিলি আইন সংশোধনের দাবিতে সরব হয়েছেন তারা।
advertisement
বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট। দলিত ক্ষোভ রক্তচাপ বাড়াচ্ছে মোদি সরকারের। এদিন লোকসভায় বিবৃতি দিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, দলিতদের নিরাপত্তায় যথেষ্ট কড়া আইন রয়েছে। আগামী দিনে আরও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সামাজিক ন্যায় মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী রামদাস আটওয়ালে জানিয়েছেন,তফসিলি নিপীড়ন প্রতিরোধ আইনের সংশোধন নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছে সরকার।
advertisement
দলিতদের আন্দোলনকে আগেই সমর্থন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সংসদে চত্বরে দলিতদের বিরুদ্ধে আক্রমণের প্রতিবাদ করে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল সাংসদরা। দলিত আইন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নয়া নির্দেশের জন্য সরকারি নিষ্ক্রিয়তাকেই দায়ী করেছে তারা।
advertisement
দলিত বিক্ষোভ ঘিরে বেশি হিংসা হয়েছে মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তরপ্রদেশে। মঙ্গলবার পরিস্থিতি থমথমে থাকলেও নতুন করে কোনও হিংসা হয়নি। কারফিউও তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং রাজ্য প্রশাসনের কড়া নজরদারি রয়েছে। মধ্যপ্রদেশে গুলি চালনার ঘটনায় তিন পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।
Location :
First Published :
April 04, 2018 9:43 AM IST