#তমলুক: আজকাল বেশিরভাগ রান্নাঘরে দেখা মেলেনা কাঁসা-পিতলের থালা বাটির। কিন্তু এই হোটেলে শুরুর দিন থেকে বর্তমানেও বদলায়নি নিয়ম। প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে একইভাবে খাবার পরিবেশিত হয়ে আসছে তমলুকের একটি হোটেলে। এই হোটেলটির মূল বৈশিষ্ট্য হল, পিতল কাঁসার থালা বাটিতে খাবার-দাবার পরিবেশন করা হয়ে আসছে হোটেল শুরুর দিন থেকেই। আর তাতেই তৃপ্ত মানুষজন।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সদর শহর তমলুক। তমলুক শহরের তাম্রলিপ্ত পৌরসভার পাশেই রয়েছে এই হোটেল। হোটেলটি নিরামিষ হলেও দুপুরে বহু মানুষ এখানে খেতে আসেন। হোটেল মালিকের নাম রতন চন্দ্র ঘোষ হলেও সবাই তাঁকে ডাকেন মামা বলে। হোটেলের আসল নাম ভিন্ন হলেও, 'মামার হোটেল' নামেই সবাই চেনে। তমলুকের এই 'মামার হোটেল'-এর খাবার দাবার খেয়ে মানুষ পরিতৃপ্তি পায়। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হোটেলে পিতল বা কাঁসার থালায় ভাত ডাল শাক শুক্তো সহ অন্যান্য পদ মানুষ তৃপ্তি ভরে খায়।
নিরামিষ ঘরোয়া সুস্বাদু রান্না পিতলের থালায় পরিবেশন আর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশের টানে মানুষজন এই হোটেলেই খেতে আসেন। কাজের প্রয়োজনে তমলুকে আসা মানুষজনের দুপুরে খাওয়ার কথা মনে হলে মাথায় চলে আসে এই হোটেলটি। হোটেলের ম্যানেজার জানান, 'প্রথম দিন থেকেই পিতল বা কাঁসার থালার বাটিতে ভাত সহ অন্ন ব্যঞ্জন পরিবেশিত হচ্ছে। জল পান করার জন্য পিতলের গ্লাস ব্যবহার হয়। পিতলের থালা-বাসনে খাওয়া শরীর বা স্বাস্থ্যের পক্ষে উপযোগী। পিতলের থালা বাসন ভালোভাবে পরিষ্কার করেই খাবার পরিবেশন করা হয়।'
পিতলের থালা বাসনে খাবার দাবার খেয়ে তৃপ্তি পান সাধারণ মানুষজন। এরকমই এক ব্যক্তি জানান, 'হোটেলটি বেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। খাবার-দাবার সুস্বাদু, সেইসঙ্গে পিতলের থালা বাসনে খাবার-দাবার পরিবেশন। খেয়েদেয়ে পরিতৃপ্তি লাভ করি। প্রয়োজনে দুপুরে খাওয়ার জন্য এখানেই আসি।'
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হোটেলগুলোতে খাবার-দাবার পরিবেশনের পাত্র পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু এই হোটেলে বর্তমানেও পিতল থালা-বাসনে খাবার-দাবার পরিবেশিত হচ্ছে অর্ধশতাব্দী ধরে।
Saikat Sheeনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: East Medinipur, Tamluk