# নয়াদিল্লি: সকাল সকাল দিল্লির রাকাবগঞ্জ গুরুদ্বারে হাজির হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাস্তায় কোনও বিশেষ ব্যবস্থা না নিয়েই এলেন তিনি। সাধারণত প্রধানমন্ত্রী যাতায়াতের সময় প্রটোকল মেনে ট্রাফিক আইন বদলানো হয়। কিন্তু স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নিজেই নির্দেশ দিয়েছিলেন সাধারণ মানুষের মতোই তিনি যাবেন গুরুদ্বারে। শিখ সম্প্রদায়ের নবম গুরু তেগ বাহাদুরের মৃত্যুবার্ষিকীর একদিন পর শ্রদ্ধা জানাতে গেলেন প্রধানমন্ত্রী।
পরে তিনি জানিয়েছেন,'আজ সকালে সেই গুরুদ্বারে গেছিলাম যা গুরু তেগ বাহাদুরের পূণ্যভূমি। তাঁর দেহ এখানেই শায়িত হয়েছিল। সারা বিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে গুরুজীর অনেক ভক্ত। আমিও একজন। তাঁর দেখানো পথ আমাদের আদর্শ। গুরুজি সবসময় সত্যের পথে ছিলেন। কখনই অন্যায়কে ভয় পাননি। আশীর্বাদ চাইলাম। মনকে শান্ত করলাম'।পরে তিনি আরও জানান তাঁর সরকার গুরুজীর চারশোতম প্রকাশ পর্ব পালন করবে। পঞ্জাবিতে টুইট করেন প্রধানমন্ত্রী।
অন্যদিকে আন্দোলন করে চলা কৃষকরাও তেগ বাহাদুরের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করেছেন। অনেকেই মনে করছেন পাঞ্জাবি কৃষকদের মন পেতে এটা নতুন স্ট্র্যাটিজি সরকারের। কৃষকদের আবেগ তাড়িত কড়াই লক্ষ্য। কিন্তু কৃষকদের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে নিজেদের বক্তব্য অটল রয়েছে তাঁরা। মত পরিবর্তন বা পিছু হটার কোনও ইচ্ছে নেই। কেন্দ্রীয় সরকার নিজেদের সিদ্ধান্তই অনড়।
উল্লেখ্য প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং কৃষকদের হাত জোড় করে এই আইনের উপকারিতা বুঝিয়েছেন। প্রয়োজনে সব রকম সহায়তা এবং আলোচনা করতেও সরকার রাজি সেই বার্তাও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই টানাপোড়েন কবে শেষ হবে কেউ জানে না। স্ফুলিঙ্গ থেকে আগুন ক্রমশই বড় হচ্ছে।বিরোধীরা সুযোগ বুঝে আসরে নেমে পড়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর নতুন স্টান্ট ছাড়া এই গুরুদ্বারে যাওয়াকে আর বেশি কিছু বলতে নারাজ তাঁরা।