GBS: ‘পেটব্যথা থেকে গুলেইন বারি সিন্ড্রোম…’, বিশ্বাস হচ্ছে না পুণের অটোচালকের, মেয়ে লড়ছে আইসিইউ-তে

Last Updated:

পেটের যন্ত্রণা হচ্ছিল। সেখান থেকে থেকে কীভাবে গুলেইন বারি সিন্ড্রোমে আক্রান্ত হলেন ৮ বছরের রুক্মিণী? এখনও বুঝে উঠতে পারছেন না পুণের অটোরিকশা চালক দেবীদাস কদম।

‘পেটব্যথা থেকে গুলেইন বারি সিন্ড্রোম…’, বিশ্বাস হচ্ছে না পুণের অটোচালকের
‘পেটব্যথা থেকে গুলেইন বারি সিন্ড্রোম…’, বিশ্বাস হচ্ছে না পুণের অটোচালকের
পুণে: পেটের যন্ত্রণা হচ্ছিল। সেখান থেকে থেকে কীভাবে গুলেইন বারি সিন্ড্রোমে আক্রান্ত হলেন ৮ বছরের রুক্মিণী? এখনও বুঝে উঠতে পারছেন না পুণের অটোরিকশা চালক দেবীদাস কদম। মেয়েকে নিয়ে মহা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তিনি।
দেবীদাস বলেন, “দু’সপ্তাহ আগের কথা। ঘণ্টা দুয়েকের জন্য পেটব্যথা হয়েছিল মেয়ের। ১৬ জানুয়ারি তীব্র জ্বর আসে। অজ্ঞান হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাই। ডাক্তাররা ইউরিন ও অন্যান্য পরীক্ষা করেন। সন্দেহ ছিল। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ৮ দিনের মাথায় জানা যায় মেয়ে গুলেইন বারি-তে আক্রান্ত।’’
advertisement
advertisement
১৩ দিন ধরে পুণের একটি হাসপাতালের আইসিইউ-তে ভর্তি রুক্মিণী। ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছে। দেবীদাস বলেন, “পুর শরীর প্যারালিসিস হয়ে গিয়েছে। কিন্তু মস্তিষ্ক সচল রয়েছে। মানুষ চিনতে পারে। কিছু বললে বুঝতে পারে। কিন্তু কথা বলতে পারে না। চিকিৎসকরা বলেছেন, আরও ৩-৪ দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। যদি অবস্থার উন্নতি হয় ভাল, নাহলে অন্য পদ্ধতিতে চিকিৎসা করা হবে। আরও ৮টি ইঞ্জেকশন দেওয়া হবে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, প্রয়োজনে বাইরে থেকে ইঞ্জেকশন আনাতে হতে পারে।“
advertisement
প্রথমে অবশ্য গুলেইন বারি সিন্ড্রোম ধরা পড়েনি। ইউরিন টেস্টের পর চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন রুক্মিণীর ইউরিন ইনফেকশন হয়েছে, কিডনি ফুলে গিয়েছে। দেবীদাস বলেন, “হাসপাতালে ভর্তির পর শরীরে জিবিএস ছড়ায়। অবিলম্বে চিকিৎসা শুরু হয়। ফলে রোগ ঘাড়ের উপরে যেতে পারেনি। মস্তিষ্ক সচল রয়েছে।’’ রোগের সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। চিকিৎসকরা বলছেন, “অবস্থা গুরুতর। প্রতিদিন তাঁকে পরীক্ষা করা হচ্ছে। উন্নতি তেমন হয়নি। তবে স্থিতিশীল আছেন, দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।’’
advertisement
চার সদস্যের পরিবারে দেবীদাসই একমাত্র উপার্জনকারী। মাসিক রোজগার ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। মেয়ের চিকিৎসা খরচ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন তিনি। এখনও পর্যন্ত খরচ হয়েছে ৩ লাখ টাকা। দেবীদাস বলেন, “সব সঞ্চয় শেষ। স্ত্রীর গয়না বিক্রি করতে হয়েছে। আত্মীয়স্বজনদের কাছ থেকে ধার নিয়েছি। কোনও স্বাস্থ্য বিমা নেই। আশা করি সরকার সাহায্য করবে। ডাক্তাররা এখনও বলতে পারছেন না, ও কবে সুস্থ হবে, তাই কত খরচ হবে তাও জানি না।“
advertisement
দেবীদাসের দাবি, শুধু ভর্তুকি নয়, এর চিকিৎসার পুরো খরচ সরকারের দেওয়া উচিত। তিনি বলেন, “গত ১৪ দিন ধরে কাজে যেতে পারিনি। কোনও রোজগার নেই। পরিবার নিয়ে ভয়াবহ আর্থিক সংকটের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি।’’
বাংলা খবর/ খবর/পাঁচমিশালি/
GBS: ‘পেটব্যথা থেকে গুলেইন বারি সিন্ড্রোম…’, বিশ্বাস হচ্ছে না পুণের অটোচালকের, মেয়ে লড়ছে আইসিইউ-তে
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement