পঞ্চ অঙ্গের সমাহার, তাই জ্যোতিষশাস্ত্রের ভাষায় একে বলা হচ্ছে পঞ্চাঙ্গ। আদতে এটি গ্রহ-নক্ষত্র, বিশেষ করে চাঁদের অবস্থানের উপরে ভিত্তি করে রচিত প্রাচীন বৈদিক দিনপঞ্জি। যেখানে উল্লেখ থাকে নানা শুভ এবং অশুভ মুহূর্তের। প্রচলিত বিশ্বাস- এই মুহূর্তগুলিতে যে কাজ করা হচ্ছে, সেই অনুসারে শুভাশুভ ফললাভ হয়ে থাকে।
এই সংক্রান্ত আলোচনায় আসার আগে আরেকটি কথা একটু ব্যাখ্যা না করলেই নয়। বলা তো হচ্ছে পাঁচটি অঙ্গ, কিন্তু এগুলো আসলে কী?
ভারতীয় দিনপঞ্জির এই পাঁচটি অঙ্গ হল তিথি, বার, নক্ষত্র, যোগ এবং করণ। সেই অনুসারে ২৩ মার্চের কিছুটা পড়েছে ২০৭৭ বিক্রম সম্বতের ফাল্গুন মাসের শুক্লপক্ষের নবমী তিথিতে। রাজা বিক্রমাদিত্য যে বছর গণনার রীতি প্রবর্তন করেছিলেন, সেই বিক্রম সম্বত মেনেই এই পঞ্চাঙ্গ বর্তমানে নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। বার হল মঙ্গল এবং এই নবমী তিথি থাকবে ২৩ মার্চ সকাল ১০টা ০৭ মিনিট পর্যন্ত। এর পরে শুরু হয়ে যাবে শুক্লপক্ষের দশমী তিথি।
পঞ্চাঙ্গ মতে আজ সূর্যোদয় হয়েছে সকাল ৬টা ২১ মিনিটে, সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৬টা ৩৩ মিনিটে। অন্য দিকে, চন্দ্রোদয় হবে ২৩ মার্চ দুপুর ১টা ০০ মিনিটে । চন্দ্র অস্ত যাবে ২৪ মার্চ রাত ৩টে ১৯ মিনিটে।
এই ২০৭৭ বিক্রম সম্বতের ফাল্গুন মাসের শুক্লপক্ষের নবমী তিথির নক্ষত্র হল পুনর্বসু। ২৩ মার্চ, মঙ্গলবার রাত ১০টা ৪৬ মিনিট পর্যন্ত পুনর্বসু নক্ষত্রের অবস্থান থাকবে। এর পর তিথিতে অবস্থান করবে পুষ্যা নক্ষত্র।
সূর্য অবস্থান করবে মীন রাশিতে। চন্দ্র অবস্থান করবে মিথুন রাশিতে ২৩ মার্চ বিকেল ৪টে ৩১ মিনিট পর্যন্ত, তার পর গমন করবে কর্কট রাশিতে।।
শুভ মুহূর্ত- ২৩ মার্চ অভিজিৎ শুরু হচ্ছে দুপুর ১২টা ০৩ মিনিটে, শেষ হচ্ছে দুপুর ১২টা ৫২ মিনিটে। আজ অমৃতকাল শুরু হচ্ছে রাত ৮টা ১৪ মিনিটে, শেষ হচ্ছে রাত ৯টা ৫৫ মিনিটে। এই অভিজিৎ মুহূর্ত এবং অমৃতকালকে ভারতীয় জ্যোতিষশাস্ত্রের অন্যতম পুণ্যলগ্ন বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। যে কোনও নতুন কাজ, শুভ কাজ শুরু করার এটি প্রকৃষ্ট সময়।
অশুভ মুহূর্ত- পঞ্চাঙ্গ মতে ২৩ মার্চ রাহুকাল শুরু হচ্ছে দুপুর ৩টে ৩০ মিনিটে, শেষ হচ্ছে বিকেল ৫টা ০২ মিনিটে। এই সময়ে নতুন কোনও কাজ শুরু করাটা ঠিক হবে না।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।